Sunday 20 September 2015

ভারতের গরু আমদানী বন্ধ করা উচিত

ভারত আমাদের গরু দেবেনা বলে আবার গরু দিচ্ছে। এটা আমাদের গবাদী পশুর খামার ধ্বংসের একটা চক্রান্ত। কিভাবে? ভারত গরু রপ্তানী না করার ঘোষণা দেয়ায় আমাদের দেশের খামারীরা পর্যাপ্ত পরিমান গরু মজুদ করেছে। এবার কিছুটা সংকট থাকলেও আগামী বছর হতে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সেই সংকটও থাকবেনা।
কিন্তু খামারীদের কাছে পর্যাপ্ত গরু থাকার পর যদি ভারতীয় গরু প্রবেশ করে তাহলে আমাদের খামারীরা গরুর মূল্য পাবেনা। তখন তারা লস খেয়ে গরু মোটাতাজা করণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে এবং আমরা ভারতীয় গরুর উপর শতভাগ নির্ভরশীল হয়ে যাব। আমাদের দেশী পেঁয়াজের চাষ একই ভাবে কমে গিয়ে আমরা ভারতের চক্রান্তে এখন আকাশচুম্বী দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছি। আমাদের দেশীয় চিনিকল বন্ধ হওয়ার পথে। আমরা ভারতীয় চিনির উপর পুরোমাত্রায় নির্ভরশীল। আমাদের চালের উপরও একই আক্রমন এসেছে। আমাদের পর্যাপ্ত চাল থাকার পরও ভারতীয় চাল আমদানী করায় দেশী কৃষকরা দাম পায়নি ভারতীয় চালের দাপটে। এবার একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমন ধানের চাষ ব্যহত হয়েছে। অপরদিকে গত মৌসুমের ধানে যথাযথ দাম না পাওয়ায় অনেক কৃষক ধানচাষ করেইনি। যেটা চালের দামের উপর তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের সবগুলো বাজার এভাবেই ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে। আমরা যদি উৎপাদনমুখী না হয়ে আমদানী নির্ভর হয়ে পড়ি তাহলে এই জাতির উপর শনি ভর করতে বেশি দেরী লাগবেনা। ভারত বিভিন্ন দেশে বাজার সৃষ্টির জন্য নানা চক্রান্ত করতেই পারে। সতর্ক থাকতে হবে আমাদেরকেই। ভারত থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনকিছুই যাতে আমদানী না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখা উচিত। সেটা চিনি, চাল, গরু, পেঁয়াজ যাই হোক। দেশীয় শিল্প এবং কৃষি খাতের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে সরকারকে আরো যত্নবান হতে হবে। কৃষক ও শ্রমিক বাঁচলেই এদেশ বাঁচবে।

No comments:

Post a Comment