তোর জন্য, আস্ত আমি একা আছি
হাত দিয়ে দেখ, তোর হৃদয়ের কাছাকাছি
শীত তো গেল
ফাগুন এল
এই ফাগুনে তোকে ছাড়া কেমনে বাঁচি।
আসবিনা তুই?
তোকে ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম ত্রিশ ফাগুন
মনের ভিতর
ধিকি ধিকি জ্বলছে এই দেখ, প্রেমের আগুন।
তোর জন্য মনের দুয়ার সদাই খোলা
আয় না চলে, চুপটি করে, আপন ভোলা।
আর কতকাল থাকবি একা,
থাকবো একা,
দুজন দুদিক?
এই ফাগুনে এক হৃদয়ে, মিশে যাবো
হবো একই পথের পথিক।
Labels
- জিয়া চৌধুরী'র কবিতা (40)
- আড্ডাবাজি (12)
- তথ্য-প্রযুক্তি (8)
- গল্প-কবিতা (7)
- বাংলার পথে (5)
- জন্মযুদ্ধ (3)
- নিবন্ধ/অনুবাদ (3)
Friday 13 March 2015
Sunday 14 July 2013
প্রিয়তা (বড় গল্প) লিখক: তৃষা
প্রিয়তার
মেজাজটা খুব খারাপ। অকারনে খারাপ নয় পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত কারনে খারাপ। দুই
সপ্তাহ পর তার নাচের কম্পিটিশনের ফাইনাল অথচ সে হাসপাতালে। কারন তার ডান পা
টার ভেতরে কাঁচ ঢুকেছে। বড়সড় জাম্বু সাইজের কাঁচ। পায়ের রগ নাকি কেটে
গেছে। ডাক্তার এক কথায় বলেছে নাচ আর হবে না অন্তত এক বছর। এর পরেও নাচতে
পারবে কিনা জানেন না। তবে এটা জানেন এখন যদি নাচতে যায় পায়ের সেলাই কেটে
যাবে। তখন আবার অপারেশন করতে হবে। অবস্থা আরো খারাপ হবে। অবশ্য নাচতে পারবে না
প্রিয়তা। পা ই নড়াতে পারছে না নাচবে আর কি করে। আগের এপিসোডগুলো টেলিকাস্টের
অপেক্ষায় আছে তবে এবার তো লাইভ। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না প্রিয়তা।
ঘটনাটা ঘটেছে গতকাল। প্রাকটিস করতে এসেছিল প্রিয়তা। ওকে এবার কেউ হারাতে পারবে না। ফাইনালের জন্য পেয়েছে কত্থক। সাথে একটু কনটেম প্রোরারি মিক্স করেছিল। ফাইনাল ওরা পাঁচজনে পাঁচ রকমের নাচ পেয়েছে। ভারতনাট্যম, কত্থক, সিনেমা, ওয়েসটার্ন আর বলিউড। এই নাচের কম্পিটিশনটা অন্য গুলোর মত নয়। বেশ ভাল মানের। জিততে পারলে পাবে ১৫ লাখ টাকা, একটা গাড়ি, শিক্ষাবৃত্তি, আরো নাচ শেখার জন্য স্কলারশীপ আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে এগ্রিমেন্ট। প্রিয়তা এবার জিতবে সবাই সে বিষয়ে নিশ্চিত। জাজেস মার্কস আজ পর্যন্ত ওর থেকে বেশী কেউ পায় নি আর ভোট ও সবসময় অনেক পাচ্ছে। তাছাড়া ফাইনালে ও আর ওর কোরিওগ্রাফার শফিক ভাই এমন কোরিওগ্রাফি করেছে কারো বাপের সাধ্য নেই জেতার। নাচটাকে টেকনিকালি আর ইমোশোনালি দ্যা বেস্ট করে ফেলেছে। ওর নাচ দেখে কড়াকড়ি কোরিগ্রাফার শফিক ভাইও কেঁদে দিয়েছেন। লোকটা প্রিয়তাকে খুব স্নেহ করেন। এই কম্পিটিশনে প্রিয়তার জন্যে যা করেছেন শফিক ভাই তা সত্যিই অকল্পনীয়।
অথচ সবার আশা ভেঙে প্রিয়তা এখন হাসপাতালের বেডে। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে ওর পায়ে এই গাবদা সাইজের কাঁচ ঢোকাটা দূর্ঘটনা নয়। একটা প্রোফেশনার কম্পিটিশনের প্রাকটিস রুমে আলো থাকবে না আর ও একটু এগুতেই এই সাইজের কাঁচ ওর পায়ে ঢোকার জন্যে অপেক্ষা করবে এরকমটা হয় না। প্রিয়তা ঘরে আলো নেই বলে শফিক ভাইকে ফোন করে ওর চেয়ারের সামনে জিনিসপত্র রাখতে গেছে তখনি টের পেল পায়ে কিছু ঢুকেছে। অথচ ব্যাথা পেল না। চেয়ারেই বসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
ঘটনাটা ঘটেছে গতকাল। প্রাকটিস করতে এসেছিল প্রিয়তা। ওকে এবার কেউ হারাতে পারবে না। ফাইনালের জন্য পেয়েছে কত্থক। সাথে একটু কনটেম প্রোরারি মিক্স করেছিল। ফাইনাল ওরা পাঁচজনে পাঁচ রকমের নাচ পেয়েছে। ভারতনাট্যম, কত্থক, সিনেমা, ওয়েসটার্ন আর বলিউড। এই নাচের কম্পিটিশনটা অন্য গুলোর মত নয়। বেশ ভাল মানের। জিততে পারলে পাবে ১৫ লাখ টাকা, একটা গাড়ি, শিক্ষাবৃত্তি, আরো নাচ শেখার জন্য স্কলারশীপ আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে এগ্রিমেন্ট। প্রিয়তা এবার জিতবে সবাই সে বিষয়ে নিশ্চিত। জাজেস মার্কস আজ পর্যন্ত ওর থেকে বেশী কেউ পায় নি আর ভোট ও সবসময় অনেক পাচ্ছে। তাছাড়া ফাইনালে ও আর ওর কোরিওগ্রাফার শফিক ভাই এমন কোরিওগ্রাফি করেছে কারো বাপের সাধ্য নেই জেতার। নাচটাকে টেকনিকালি আর ইমোশোনালি দ্যা বেস্ট করে ফেলেছে। ওর নাচ দেখে কড়াকড়ি কোরিগ্রাফার শফিক ভাইও কেঁদে দিয়েছেন। লোকটা প্রিয়তাকে খুব স্নেহ করেন। এই কম্পিটিশনে প্রিয়তার জন্যে যা করেছেন শফিক ভাই তা সত্যিই অকল্পনীয়।
অথচ সবার আশা ভেঙে প্রিয়তা এখন হাসপাতালের বেডে। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে ওর পায়ে এই গাবদা সাইজের কাঁচ ঢোকাটা দূর্ঘটনা নয়। একটা প্রোফেশনার কম্পিটিশনের প্রাকটিস রুমে আলো থাকবে না আর ও একটু এগুতেই এই সাইজের কাঁচ ওর পায়ে ঢোকার জন্যে অপেক্ষা করবে এরকমটা হয় না। প্রিয়তা ঘরে আলো নেই বলে শফিক ভাইকে ফোন করে ওর চেয়ারের সামনে জিনিসপত্র রাখতে গেছে তখনি টের পেল পায়ে কিছু ঢুকেছে। অথচ ব্যাথা পেল না। চেয়ারেই বসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
Tuesday 2 July 2013
কৃষ্ণকলি- ছোট গল্প
By Robin Ahsirt
Tuesday 25 June 2013
তিমিরের জন্মদিন
By Robin Ahsirt
তিমিরের মনটা আজ খুব খারাপ।আজ ওর জন্মদিন কিন্তু ওর জন্মদিনে আজ কোন অনুষ্ঠান হবে না।কারন ওর জ্বর।একটু আধটু না ১০৪।তিমিরের বয়স অনুযায়ী বুদ্ধিটা মানানসই না।বয়স তো আট বছর কিন্তু আঠারো বছর বয়সীদের থেকেও বেশী বুদ্ধি।অকালপক্ক নয় তবে হ্যাঁ বুদ্ধি ঠিকই আছে।তিমির শুয়ে আছে তার বিছানায়।তার ঘরটা খুব্বই সুন্দর।পায়ের কাছে বারান্দা।বিশাল একটা কাঁচের দরজা।ওখান থেকে সুন্দর নীল আকাশ,পাখি সবই দেখতে পারে।পাখির কিচিরমিচির শুনতে খুব ভাল লাগে তিমিরের।সবচেয়ে ভাল লাগে বৃষ্টি।কি সুন্দর রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি হয়।ওদের ক্লাসে একটা মেয়ে আছে বৃষ্টি।বেজায় পাজি।বৃষ্টির মত স্নিগ্ধ না।এক্কেবারে সাইক্লোন ওয়ালা বৃষ্টি।খুব জ্বালায়।বড় হলে সে আর যাই হোক বৃষ্টির মত মেয়েকে বিয়ে করবে না।
Monday 24 June 2013
চেনা অচেনা
:দোস্ত।সত্যিই চলে যাবি?
:হ্যাঁ রে।কিছু করার নেই।বাবা বলে দিয়েছে,যাওয়া ছাড়া কোন গতি নেই।
:কেন যাবি?এখানে সবার অধিকার সমান।
:তুই মানছিস।ওরা তো মানছে না!
:পিসেমসাই ফিরবেন?
:বলেছেন তো আমাদের বর্ডারটা পার করে দিয়েই তিনি আর জ্যাঠা ট্রেনিং এ যাবেন।তারপর যুদ্ধে।
:গ্রামের বাকী হিন্দুরা তো এখনো কেউই যুদ্ধে যায় নি।পিসেমসাইয়ের যদি কিছু হয়?
:ধুরো পাগল।যুদ্ধে এতটুকু তো থাকবেই।কিন্তু দেখিস দেশ স্বাধীন হবে আর হলেই দৌড়ে ফিরে আসব আমরা।
:কিন্তু শুনেছি ঢাকায় নাকি সব উড়িয়ে দিয়েছে।আমাদের গ্রামটাও যদি উড়িয়ে দেয়।
:দিলে দেবে।দেশটাতো আমাদের।কোথাও না কোথাও ঠিকই জায়গা হয়ে যাবে।রাজাকারগুলো বড্ড ঝামেলা করছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেতে হবে রে।
:ওখানে যেতে কতদিন লাগবে?
:এমনিতে তো সময় লাগে রাস্তা চিনে চিনে যেতে।কিন্তু বাবার মুক্তিদের সাথে জানা পরিচয় আছে।তাড়াতাড়িই পৌছে দেবে।
:তুই মুক্তি দেখেছিস?
:হুম।অনেক।কেন তুই দেখিস নি?
:না তো।
:কেন?শফি ভাই,রাজু ভাই,আযাদ ভাই ওরা সব্বাই মুক্তি।
:কি বলছিস?
:সত্যি।
:আচ্ছা।তুই যুদ্ধে যাবি না?বাবা তো নিজেই খোলাসা করে কিছু বলছে না যাবে কি যাবে না।পিসেমসাই তো যাচ্ছেনই।
:জানি না রে।যেতে তো ইচ্ছে হয়।দেখি।বাবা যেতে না দিলে পালিয়ে যাব।
:সত্যি?তাহলে আমিও পালাব।আমাদের আবার দেখা হবে।
:হয়তো।
:আচ্ছা যদি আমাদের আর দেখা হবে না?
:হবে হবে।ঠিক হবে।এখন না হোক।বড় হই তোকে ঠিক খুঁজে বের করব।
:চিনবি কি করে?আমি বড় হলে তো স্টাইল করে দাড়ি রাখব।
:যত যাই করিস।ঠিক চিনব তোকে।
:হ্যাঁ রে।কিছু করার নেই।বাবা বলে দিয়েছে,যাওয়া ছাড়া কোন গতি নেই।
:কেন যাবি?এখানে সবার অধিকার সমান।
:তুই মানছিস।ওরা তো মানছে না!
:পিসেমসাই ফিরবেন?
:বলেছেন তো আমাদের বর্ডারটা পার করে দিয়েই তিনি আর জ্যাঠা ট্রেনিং এ যাবেন।তারপর যুদ্ধে।
:গ্রামের বাকী হিন্দুরা তো এখনো কেউই যুদ্ধে যায় নি।পিসেমসাইয়ের যদি কিছু হয়?
:ধুরো পাগল।যুদ্ধে এতটুকু তো থাকবেই।কিন্তু দেখিস দেশ স্বাধীন হবে আর হলেই দৌড়ে ফিরে আসব আমরা।
:কিন্তু শুনেছি ঢাকায় নাকি সব উড়িয়ে দিয়েছে।আমাদের গ্রামটাও যদি উড়িয়ে দেয়।
:দিলে দেবে।দেশটাতো আমাদের।কোথাও না কোথাও ঠিকই জায়গা হয়ে যাবে।রাজাকারগুলো বড্ড ঝামেলা করছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেতে হবে রে।
:ওখানে যেতে কতদিন লাগবে?
:এমনিতে তো সময় লাগে রাস্তা চিনে চিনে যেতে।কিন্তু বাবার মুক্তিদের সাথে জানা পরিচয় আছে।তাড়াতাড়িই পৌছে দেবে।
:তুই মুক্তি দেখেছিস?
:হুম।অনেক।কেন তুই দেখিস নি?
:না তো।
:কেন?শফি ভাই,রাজু ভাই,আযাদ ভাই ওরা সব্বাই মুক্তি।
:কি বলছিস?
:সত্যি।
:আচ্ছা।তুই যুদ্ধে যাবি না?বাবা তো নিজেই খোলাসা করে কিছু বলছে না যাবে কি যাবে না।পিসেমসাই তো যাচ্ছেনই।
:জানি না রে।যেতে তো ইচ্ছে হয়।দেখি।বাবা যেতে না দিলে পালিয়ে যাব।
:সত্যি?তাহলে আমিও পালাব।আমাদের আবার দেখা হবে।
:হয়তো।
:আচ্ছা যদি আমাদের আর দেখা হবে না?
:হবে হবে।ঠিক হবে।এখন না হোক।বড় হই তোকে ঠিক খুঁজে বের করব।
:চিনবি কি করে?আমি বড় হলে তো স্টাইল করে দাড়ি রাখব।
:যত যাই করিস।ঠিক চিনব তোকে।
Friday 21 June 2013
প্রতিটি পুরুষের ভিতর বাস করে একেকটি নারীলোভী হায়েনা
জিয়া চৌধুরী
প্রতিটি পুরুষের ভিতর বাস করে একেকটি নারীলোভী হায়েনা।
মুখোশের অন্তরালে ঢাকা থাকে মুখ
পবিত্র নিস্পাপ মুখোশে দেখা যায়না লোলুপ চাহনি
কালো সানগ্লাসের আড়ালে যেমন দেখা যায়না চোখ।
আড়চোখে তাকায় পাশে হেটে যাওয়া কিন্নরি বুকের দিকে
সেটে থাকে রমণির নিতম্বে, কটিদেশে
অথচ তার ফেসবুক দেখলে মনে হয়, উনি প্রচন্ড নারীবাদি
আড়ালে ঘুরে ফেরে, নিষিদ্ধ পাতায়
তারপর দৌড়ে যায় একাকীত্বের জায়গায়
নিজেই নিজেকে উজাড় করে, নিজস্ত হস্তমৈথুনে।
Friday 22 March 2013
UniBijoy / Unijoy Layout for Avro Keyboard
OmicronLab
has removed the UniBijoy keyboard layout from their popular Bangla
typing software “Avro” due to a copyright claim from Mustafa Zabbar.
Though the UniBijoy layout is similar to the Bijoy layout, but it wasn’t
the same as it has minimum 8 differences with the Bijoy layout. Yet
OmicronLab removed the UniBijoy keyboard to avoid controversy.
Meanwhile, some of us are so much acquainted with the UniBijoy layout that Bangla typing became a little difficult for us. I am one of them and i find it very cumbersome to get used to with a new layout. So, i was trying a solution for that.
Luckily, i found out earlier that just copying the layout file into a specific folder or even double clicking on the layout file installs the layout. So, i copied the UniBijoy.avrolayout file from the older Avro version 4.5.3 and installed Avro 5.1.0 and installed it and its working fine.
So, to download the UniBijoy Layout for Avro 5.1.0 or earlier, click here. (You need winrar/7zip to extract)
To download Avro keyboard, click here.
Meanwhile, some of us are so much acquainted with the UniBijoy layout that Bangla typing became a little difficult for us. I am one of them and i find it very cumbersome to get used to with a new layout. So, i was trying a solution for that.
Luckily, i found out earlier that just copying the layout file into a specific folder or even double clicking on the layout file installs the layout. So, i copied the UniBijoy.avrolayout file from the older Avro version 4.5.3 and installed Avro 5.1.0 and installed it and its working fine.
So, to download the UniBijoy Layout for Avro 5.1.0 or earlier, click here. (You need winrar/7zip to extract)
To download Avro keyboard, click here.
Subscribe to:
Posts (Atom)