গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে গণধর্ষণের ভেতর দিয়ে
রাজধানী চেনানো,
স্ত্রীকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা, সমুদ্র উৎসব
আর বইমেলা...
এসবের ভেতর থেকে লাফিয়ে বেরুচ্ছে
সদর্ভে নিজের পরিচয় দেয়া খুনী,
সিংহপুরুষের মতো
হেঁটে বেড়াচ্ছে।
কবিতার শব্দাবলী ক্লান্ত; ছন্দ-উপমা-চিত্রকল্পই কচি লাউপাতা,
চৈত্রের রোদে নেতিয়ে পড়ছে।
কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তসমূহের বাইরে
দাঁড়িয়ে,
বহুদূরে, মৃতপ্রায় এক খালের পাশে
বিকেলধোয়া বাতাস ও বৃষ্টির স্নিগ্ধতায় কিছু লিখতে চাই;
অথরিটি, তুমি আমাকে কর্তৃত্বের মেয়াদ শিখাইও না!
বহু পুরনো এক কলোনীর অন্ধকারে,
কেবল খাদ্যপণ্য নয়__ রেশনে কিনেছি আগুন, হারিকেনের সলতে;
শহরের লাইব্রেরি
থেকে কিনে এনেছি টেক্সবুক।
স্বদেহের চামড়া খুলে, এখনও
কয়েক তা কাগজ বানাতে পারি;
হাতের আঙুলগুলোর মধ্যে,
শিশুরাও জানে,
মধ্যমাই দীর্ঘতম__
সেই আঙুল থেকে সরু হাড্ডিটাই খুলে নেবো,
চেঁছে চেঁছে
চোঁখা করলেই কলম।
সেই কলমে, নিজেরই রক্ত এখন কালি;
দেশপ্রেমের ঠুনকো অযুহাত আর যেকোনও প্রতারণার মুখে
সদ্য লেখা একটা কবিতা ছুঁড়ে দিলেই,
তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধ;
ডিক্লারেশান এন্ড ভিক্টোরি!
কর্তৃত্ব, তুমি তো ভয় থেকে সশব্দে স্বগতোক্তি করা,
কাপুরুষ!
পদতলহীন পরাজিতের মতো, আর কোনও হুমকি দিও না!!
No comments:
Post a Comment