Showing posts with label আড্ডাবাজি. Show all posts
Showing posts with label আড্ডাবাজি. Show all posts

Monday 19 November 2012

ভালোবাসি সঞ্জীবদা

পোষ্টটি লিখেছেন  দলছুট শুভ

" আমি তোমাকেই বলে দেবো কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে,
আমি তোমাকেই বলে দেবো সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়,
ছুঁয়ে কান্নার জল, ছুঁয়ে জ্যোৎস্নার ছায়া......... "


ভুল দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে উনি একা হেঁটে চলে গেছেন উনার বিরান পথে......

আজ ১৯ নভেম্বর। প্রিয় মানুষ সঞ্জীবদার চলে যাবার দিন। ঠিক এই দিনেই দাদা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। কত সহজে তিনি মানুষের মনে দাদার স্থান করে নিয়েছেন তা হয়তো উনিও জানতেন না। দেখতে দেখতে কেটেও গেল ৫ টি বছর। কিন্তু দাদা রয়ে গেছেন সবার অন্তরে। থাকবেনও।

" ঐ কান্না ভেজা আকাশ আমার ভালো লাগে না, থমকে থাকা বাতাস আমার ভালো লাগে না........."


সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ ডিসেম্বর ২৫, ১৯৬২ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৮ সালের মাধ্যমিক এবং ১৯৮০ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান দখল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে তিনি গণিত বিভাগে ভর্তি হন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে পাস কোর্সে স্নাতক পাস করেন। তারপর সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেন। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসে বাপ্পা দাকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন " দলছুট " এবং কাজ করেছেন "আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, যায় যায় দিন" পত্রিকায়। " আহা " এ্যালবামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হয় কিংবদন্তী সঞ্জীবদা এবং বাপ্পাদার দলছুটের । ২০০৭ এর আজকের এই দিনে তিনি চলে গেছেন তার জ্যোৎস্না বিহারে। মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে এপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু রয়ে গেছেন কোটি মানুষের মনে। " কিংবদন্তী " নামের মেয়ে হয়তো বাবাকে না দেখার কষ্টে আজও নীরবে কাঁদে।


" ধরতে গিয়ে হেরে গেছি, দেখতে গিয়ে থেমে গেছি, হাত বাড়ালে নেই কেউ নেই। একা নিজেই......... "


না দাদা। তুমি একা নও। কোটি মানুষ তোমায় মনে নিয়ে বসে আছে। বাংলা সঙ্গীতে এক অপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে তুমি। তোমাকে হারিয়ে বাংলা গানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল দাদা। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

" মেয়ে তুমি, এভাবে তাকালে কেন, এমন মেয়ে কি করে বানালে ঈশ্বর। আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ "

আমি উনাকে দেখিছি একজন খুবই সাধারণ মানুষ হিসেবে। কি সুন্দর করে প্রত্যেকটা মানুষের সাথে কথা বলেছিলেন। গায়ে ছিল হালকা একটা ফতুয়া। যেন মিশে ছিলেন আমাদের সাথে। এই কিংবদন্তীর কাছ থেকে অনেক কিছু পাবার আশা ছিল। সব আশা ভেঙ্গে তিনি চলে গেলেন খুব তাড়াতাড়ি।

" চোখটা এতো পুরাই কেন, ও পুড়া চোখ সমুদ্রে যাও, সমুদ্র কি তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও...... "

গানকে যেন তিনি আগলে রেখেছিলেন আপন সন্তানের মতো। মূলত ক্লাসিক্যাল গান আমরা তার কাছ থেকে বেশি পেয়েছি এবং অনেক ফোক গানও পেয়েছি। গানের জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নিজেই নক্ষত্র হয়ে গেলেন।

" দুঃখ ব্যথায় মুখটায়ে নীল, তোমার আমার না হলো মিল, নীল দুঃখের সেই মেয়েটা পরের পরিমিতা, বুকের ভেতর জ্বলে শুধু ভালোবাসার চিতা......"

বড় অসময়ে চলে গিয়েছেন দাদা। আজ উনাকে দেখে অনেক কিংবদন্তী গড়ে উঠছে। খুবই সাধারণ মানুষ সঞ্জীব দা মৃত্যুর পড়েও মানুষের সাহায্য করে গেছেন। তার মরণোত্তর দেহটি তিনি দান করে গিয়েছেন। যাতে তার অঙ্গ নিয়ে বাঁচে থাকতে পারে আরো কিছু মানুষ।

সঞ্জীব দার এই জায়গা কখনো পূরণ হবে না। তবে সঞ্জীব দা আমাদের মাঝে চিরকাল থাকবেন।

Sunday 3 April 2011

সুশীল পাঠক, সাবধান! এই নোটে বিচি আছে!

ক্লিনটন পরিবারের মেহেরবানীতে নোবেল হাঁকাইবার পর আমাদের সংসদ ভবন চত্তরে দেওয়া সঙবর্ধনায় (সায়ীদ স্যার মানপত্র পর্ছিলেন) ইউনুস কাকু একাত্তর বিষয়ে জাতিরে আর বিভক্ত না কইরা তাগো লগে (রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধী)শান্তি চুক্তি করনের আহবান জানাইছিলেন। সেইদিনই কাকুর প্রকৃত লেজটি দৃশ্যমান হইতে দেখছিলাম। নিরীহ ছড়াকার আমি তহন লিখছিলাম—‘আসেন কাকা এইবার একটা শান্তি চুক্তি করি’ নামের দীর্ঘ একটা ছড়া।পরে এই নামে বইও বাইর কর্ছি।তাতে কাকুর বিচিও স্পর্শিত হয় নাই।
কাকুর বিচি হেভি স্ট্রং। অইখানে টোকা দিলে গির্জা আর চার্চগুলায় একযোগে ঘন্টি বাইজা উঠে।ধর্মপরায়না হিলারি তার ইয়েতে চোট পান।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদে এক মন্ত্রি ব্লেকরে পাঠাইয়া দেন বাংলাদেশে—যা একটা চটকানা মাইরা আয়।এত্তো বড় সাহস!ইউনুছের বিচি টিপ্পা দিছে!!
তিনি আইসা ধাপকি দেন।কিন্তু আমাগো বিদেশ সচিব মিজারুল কায়েস অরে পাত্তা দিতে গড়িমসি করেন। বলেন, বিচি ছেঁচন বিষয়ে কুনু কথা নাই।অইটা জারি থাকপে। বিদেশ মন্ত্রি দীপুমনিও ডরাই নাই ভান করেন। ক্ষুদে মন্ত্রি ব্লেক আমাগো ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সামনে নিজের বিচি চুলকাইতে চুলকাইতে শ্যাষ ধাপকি উচ্চারণ করেন—দেইখা লমু।আম্রিকার কাছে বাংলাদেশ থিকা ইউনুছ ইম্পর্টেন্ট।তিনি আমাগো বিচি বিশেষ।আম্রিকা তার নিজস্ব বিচি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
এইদিকে বাংলাদেশে কতিপয় ভাড়া খাটা বুদ্ধিজীবীও ইউনুছ কাকুর বিচি রক্ষা আন্দোলনে শামিল হইছেন।
এ্খন আমার খালি একটা গান মনে আসে। গানটা বিচি সংক্রান্ত না হইলেও বিচি রিলেটেড।
আসেন তবে কোরাস গাই—ইচিক দানা বিচিক দানা দানার উপ্রে দানা ইচিক দানা..
-{লেখাটি বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন দ্বারা প্রকাশিত}

Sunday 20 February 2011

মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যা এবং কিছু প্রস্তাবনা।

বর্তমানে আরব আমিরাত দিরহামের বিপরীতে বাংলাদেশের মুদ্রার মান দাড়িয়েছে বিশ টাকায়। কিছু দিন আগেও যেটা আঠার টাকা ছিল। গত কয়েক মাসে দিরহাম এবং ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের মুদ্রার মান পতন এবং কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের প্রথম সারির বিশটি ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক তলবের ঘটনা যথেষ্ট আশংকার সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও কদিন আগে বাংলাদেশের শেয়ার কেলেংকারীর মত ব্যাংক কেলেংকারী ঘটে কিনা সে বিষয়ে অজানা আশংকা উকি দিচ্ছে।

বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অতীতের সব রের্কড ছাড়িয়ে গেছে। মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে এ মূল্যবৃদ্ধির কারণে। এ মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী। যারা ম্যানেজ করছে কর্তাদের আর নাকের ডগায় মুলো ঝুলিয়ে রেখে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীর।

বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্বের হার। কর্মসংস্থানের অভাব আজ বাড়িয়ে দিচ্ছে বেকারত্ব। প্রবাসেও শান্তিতে নেই প্রবাসীরা। দেশে প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্টস শিল্প সহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় গ্যান্জাম লাগিয়ে তাও ধ্বংস করতে চেষ্টা করছে মির্জাফরের দল। নতুন কর্মসংস্থান সৃস্টি করা আজ বড়ই প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে।

বিদ্যুৎ এমন এক ম্যাজিকের নাম যেটা আজ আছে কাল নেই। এ এক লুকোচুরি খেলা। গ্যাসের অপব্যবহার এর ফলে গ্যাস সমস্যা সৃস্টি হতেও আর বেশি দেরি নেই।

প্রস্তাবনা:
১। ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশে এত ব্যাংকের কোন প্রয়োজন নেই। যেগুলো থাকবে সেগুলোর শাখা এবং সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য ইনসিউরেন্স কোম্পানীর ক্ষেত্রেও। এমএলএম কোম্পানীগুলো অর্থ লুটছে ফাকি দিয়ে। এরা কোন দ্রব্য বিক্রি ছাড়াই লুটছে। এম এল এম কোম্পানীর কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এনজিওগুলোর ক্ষুদ্র ঋণে সুদের হার কমাতে হবে। শেয়ার ব্যবসায় সরকারের আরো নিয়ন্ত্রন আনতে হবে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করতে হবে।

২। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিতে রোধ করতে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানীতে শুল্ক কমাতে হবে, রপ্তানী শুল্ক বাড়াতে হবে। আমদানী কারকদের এলসি খুলতে সুবিধা এবং পন্য খালাসে আরো গতিশীল ব্যবস্থা রাখতে হবে। কৃষকদের সার ও ডিজেলের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি প্রদান করতে হবে এবং পন্য বাজারজাত করনের জন্যও পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে পন্য মজুদের জন্য আধুনিক হিমাগার বাড়াতে হবে।


৩। দেশের শিল্পকারখানায় যাতে কোনধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টি না হয় সেদিকে শতভাগ দৃস্টি রাখতে হবে। শ্রমিকরা যাতে ন্যায্যবেতন পায় তাও নিশ্চিত করতে হবে। আবার উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনেও সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশীয় শিল্প কারখানা বৃদ্ধি করতে হবে যাতে বিদেশ থেকে দ্রব্য আমদানীর চাপ কমানো যায়। ইপিজেড এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশীয় শিল্পকারখানা গুলোকে জীবিত করতে হবে। বিদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিক প্রেরণ করতে হবে এবং প্রেরীত শ্রমিকরা চুক্তি অনুযায়ী ন্যায্য বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে কিনা কিংবা তাদের থেকে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভিসা দিয়ে হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে সর্তক দৃস্টি রাখতে হবে।


৪। বাংলাদেশে গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা একেবারেই হাস্যকর। লাইনের মাধ্যমে যে গ্যাস দেয়া হয় তা আনলিমিটেড এবং দামও সস্তা। একচুল্লি তিনশটাকা, দুচুল্লি সম্ভবত সাড়ে চারশ টাকা। অথচ সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নেয়া হচ্ছে অযৌক্তিক ভাবে বার-তেরশ টাকা। লাইনের গ্যাস যথেচ্ছা অপব্যবহার হচ্ছে। গোসলের পানি গরম করতে কিংবা কাপড় শুকাতেও কিংবা দেশলাইয়ের কাঠি বাচাতে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে। লাইনের গ্যাস বিতরণ সিস্টেম বন্ধ করতে হবে। সিলিন্ডার গ্যাস এর দাম কমিয়ে এটি সহজ লভ্য করতে হবে। যেটা উন্নত বিশ্বে করা হয়। এতে করে গ্যাসের অপচয় রোধ হবে এবং সর্বপর্যায়ে গ্যাসের সরবরাহ সম্ভব হবে। কাফকোর মাধ্যমে যে হারে গ্যাস অপচয় হচ্ছে তা বাতুলতা মাত্র। এ চুক্তি বাতিল করতে হবে।

মাঝে মাঝে শুনতে পাই কচুরীপানা, পাথরকুচি কিংবা গোবর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা। এসব প্রকল্প হাস্যকর এবং উদ্ভট। কিপরিমান কচুরীপানা, পাথরকুচি কিংবা গোবর প্রয়োজন বাংলাদেশের একদিনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব তা মনেহয় গবেষনার বাইরে রাখা হয়। এসব প্রকল্প বাদ দিয়ে পারমানবিক কিংবা তাপবিদুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

আমি কোন গবেষক কিংবা রাজনীতিবিদ নই। এসব আমার অনুর্বর মস্তিস্ক প্রসুত। তবে পাঠকের মতামত এর অপেক্ষায় রইলাম।

Sunday 26 December 2010

প্রিয় শিল্পীর গান

প্রিয় শিল্পীর জন্মদিন আজ

আজ ২৫ ডিসেম্বর আমার প্রিয় শিল্পী সন্জীব চৌধুরীর জন্মদিন। যিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন আজ থেকে তিন বছর আগে ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বরে।

সন্জীবদার অসাধারণ গায়কী আর অসাধারণ সব গান যা ভোলার মত নয়। ভোরের কাগজের বিনোদন পাতার সম্পাদক ছিলেন তিনি। আর অই সময় তিনি আর বাপ্পা ছিল বিনোদন পাতাটির প্রাণ। আজ অনেক দুর থেকে তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দাদা। আমি তোমাকে মিস করছি ।



আমি তোমাকেই বলে দেব
কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে

আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছাঁয়া ।।
আমি কাউকে বলিনি সে নাম
কেউ জানেনা, না জানে আড়াল
জানে কান্নার রং, জানে জোছনার ছাঁয়া ।।

তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন
দিন হোক লাবন্য হৃদয়ে শ্রাবণ
তুমি কান্নার রং, তুমি জোছনার ছাঁয়া ।।

আমি তোমাকেই বলে দেব
কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে

আমি তোমাকেই বলে দেব
সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়

ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছাঁয়া ।।

Monday 20 September 2010

থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার *ডিভিডি রিপ এবং ফুল মুভি*

Year.............: 2009
IMDB..............: http://www.imdb.com/title/tt1514446/
Cast: Mosharof Karim, Nusrat Imrose Tisha, Rashed Uddin Topu & more....

Source...........: DVD9 Retail
Ripper...........: musafirbOy
Rip Size.........: 692 MB (1CD)
Uploaded By....: musafirbOy

Source............[ DVD9
Resolution........[ 672x368
Video Info........[ 25 fps @ 663 Kbps


Audio Info........[ AAC 128 kbps
Subtitles.........[ None
Container.........[ MKV


থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার *ডিভিডি রিপ এবং ফুল মুভি*
মিডিয়া ফায়ার পাট ১
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ২
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ৩
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ৪
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ৫
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ৬
মিডিয়া ফায়ার পার্ট ৭

হটফাইল অথবা মেগাআপলোড লিংক চাইলে ক্লিক করুন এখানে

মুল পোষ্ট করেছেন এন. মেজবাহ

Wednesday 8 September 2010

ঈদ মোবারক

আমার সব বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাংখী দের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।

ঈদ মোবারক

Tuesday 6 July 2010

দ্রোহ এখন নতুন ঠিকানায়

দ্রোহ

আমরা মাড়াতে চাই, অতিক্রমের লক্ষ্যে আমরা শুধু স্বপ্ন দেখি না, স্বপ্নের ক্যাথা ছেড়ে প্রকৃত মাটিতে হাঁটার পর্ব শুরু করি। কাঠামো অবকাঠামোর মধ্যে পচনের ব্যথিতের দায়ভার কাঁধে তুলে নিতে রাজী নই, উৎখাতের নতুন মন্ত্র পড়িয়ে পচন উন্মুখ জাতিকে দিতে চাই শুদ্ধতার স্বাদ। দেয়ালের শ্যাওলার আড়ালে ফর্সা রঙ পুনরায় পাওয়া না গেলে নির্লিপ্ততায় হারিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে চুনকামের নতুন মালমসলা তৈরীতে আমরা মনোযোগী হতে চাই। লেবু চিপসানো তেতো তর্কে না জড়িয়ে আমরা মনুষ্য জিজ্ঞাসার কারণ অনুসন্ধান করে জানাতে চাই অদৃশ্য কোন শক্তি নয়, আমাদের মাঝে লুপ্ত যে শক্তি তাই আমাদের মঞ্জিলে পৌছাবে। মানুষের অস্তিত্বের উপর আস্তা রেখে তাদেরে আমরা বিল্পবের নন্দিত ভাবনায় ভাবিত করাতে চাই।

অতিজাগতিক মোহগ্রস্ততা ত্যাগের বাসনা রাখি। ইন্দ্রিয়জ ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি ভ্রমন অভিলাষ। পৃথিবীর প্রান্তের দিকে ক্রমাগত হেঁটে যাওয়া, হাঁটতে হাঁটতে মানবপরিবারে মিশে যাওয়ার আকাঙ্খা লালন করে ঢুকে পড়ি। ওজন স্তরের ক্ষতির ভয়াবহতা উপলব্ধি হলে খাদ্য, বস্ত্র, জল, শষ্য ইত্যকার যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে, তজ্জন্য গ্লানি, অপমান, বেদনা, বিবমিশা, ক্রোধ যেন স্খলনের কারণ না হয়, বরংঞ্চ এই অনুসঙ্গ গুলিই যেন বিপুল প্রেরণা হয়ে রক্তপাত ঘটাবার দিনে ফিরে আসে। আমাদেরকে নতুন প্রণোদনা সৃষ্টির প্রয়াসে এগোতে হবে, সম্মিলিত শক্তিতে আস্থা স্থাপন করে পৌছাতে হবে।

“দ্রোহ” দ্রোহী ভাবনায় ভাবিত হতে চায়, করতে চায়। ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনের এই যে বয়ে চলা, আমরা তা অস্বীকার করে পেতে চাই স্পর্শের আনন্দ, ঘ্রাণের স্বাদ। আমরা আঘাত এলে পালিয়ে না গিয়ে প্রতি আঘাত করতে বদ্ধ পরিকর, অথবা আঘাতের প্রয়োজনীয়তা দেখলে আমরাই যেচে আঘাত করতে ব্রতী হতে চাই। চোখ বন্ধ রাখলে অন্ধকার থাকবেই, খোলা চোখে অন্ধকার তাড়িয়ে আমরা পুনর্বার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই “সবার উপরে মানুষ সত্য”।

“নতুন সূর্যোদয়” এর একটি প্রকাশনা“দ্রোহ”। বিপ্লবের নন্দিত ভাবনার সাথে মননশীলতার ক্ষেত্রও আমরা প্রসারিত করতে চাই। এতে আপনারা লিখবেন, যারা খানিকটা ভাঙ্গার স্পৃহা হৃদয়ে লালন করে তাদেরকে আমাদের সাথী হওয়ার আমন্ত্রন।


নতুন প্রজন্মের প্রিয় ঠিকানা দ্রোহ এখন সম্পূর্ন স্বতন্ত্রভাবে, নতুন আংগিকে, বর্ণিল সজ্জায়। দ্রোহ পড়ুন, দ্রোহে লিখুন এবং দ্রোহকে ছড়িয়ে দিন দিকে দিকে।

Thursday 22 April 2010

নতুন সূর্যোদয়

অপেক্ষায় আছি এক নতুন সূর্যোদয়ের
জীবনের পূর্বাকাশে কবে উকি দেবে
সমৃ্দ্ধি ও শান্তির লাল আবির ছড়িয়ে
কবে হবে এক নতুন সূর্যোদয়।

অন্ধকারে ছেয়ে গেছে
বাংলার সোনালী জমিন।
রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে অবিরাম
বাংলার আনাচে কানাচে।

অথচ স্বপ্ন দেখেছিলাম এক সোনার বাংলার
গোয়াল ভরা গরু
পুকুর ভরা মাছ
আর গোলা ভরা ধানের স্বপ্ন।ৎ

আজ স্বপ্নেরা হোঁচট খায় পদে পদে
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি আর খুন
নারীর সম্ভ্রমহানি যেন কিছুই নয়
দুনীর্তির করাল গ্রাসে বন্দী নাগরিক নিরাপত্তা।

দেশময় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ছে অবিরত
গ্যাস, বিদ্যুত, পানি সংকটে অতিষ্ঠ ম্যাংগো পিপল
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, সরকার খানিকটা অসহায় (সচেষ্ঠ যদিও)
কিন্তু সাফল্যে ধরা দেয়না কিছুতেই।

তাই জনতা চেয়ে আছে আজ পূর্বাকাশে
দ্রোহে জাগতে চাইছে আজ বুকের লাল রক্ত
অপেক্ষায় আছে তারা কবে হবে
এক নতুন সূর্যোদয়।

Tuesday 20 April 2010

যাপিত জীবনের রক্তাক্ত শিরোনাম

এখানে যাপিত জীবনেরা মার খাচ্ছে
প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত শিরোনাম,
স্ব-ভুমির প্রিয়তা ছেড়ে লোলুপ বাসনায়
ইট কাটের খাচায় বন্দী জীবন।

এখন তাদের ঘর্মে সিক্ত হয় তপ্ত বালুকা
সারা দিন কাজ করে অবিরাম;
জীবন এখানে বড়ই কঠিন
সময় এখানে খূব মূল্যবান।

এসব যাপিত জীবনের কথা শোনবার মত
কেউই নেই, কারন প্রত্যেকে নিজ চিন্তায় মগ্ন;
বড়িতে বধুর করুন আকুতি
আর কিছু টাকা পাঠালে বাচ্চার চিকিৎসা হত।

অথচ খাওয়ার পয়সা যোগাতে
এদের ভিখ মাগতে হয়।
মাসের পর মাস বেতন না পেলে
আর তো কিছুই করার নেই।

এরকম উদাহরন হাজারে হাজারে
আমি একা আর কয়জনের কথা বলব।
শকুনির দল এদের ঘাম চুষে খায়
আর এরা চেয়ে চেয়ে তা দেখে।

হায়রে বিদেশ, কে তোকে বলেছিল সোনার হরিন,
যদি সহজেই মিলত তাহলে
আর এত কষ্ট করতে হতনা কারও
গরিব সহজেই বড়লোক হয়ে যেত।