OmicronLab
has removed the UniBijoy keyboard layout from their popular Bangla
typing software “Avro” due to a copyright claim from Mustafa Zabbar.
Though the UniBijoy layout is similar to the Bijoy layout, but it wasn’t
the same as it has minimum 8 differences with the Bijoy layout. Yet
OmicronLab removed the UniBijoy keyboard to avoid controversy.
Meanwhile,
some of us are so much acquainted with the UniBijoy layout that Bangla
typing became a little difficult for us. I am one of them and i find it
very cumbersome to get used to with a new layout. So, i was trying a
solution for that.
Luckily, i found out earlier that just copying
the layout file into a specific folder or even double clicking on the
layout file installs the layout. So, i copied the UniBijoy.avrolayout file from the older Avro version 4.5.3 and installed Avro 5.1.0 and installed it and its working fine.
So, to download the UniBijoy Layout for Avro 5.1.0 or earlier, click here. (You need winrar/7zip to extract)
To download Avro keyboard, click here.
Labels
- জিয়া চৌধুরী'র কবিতা (40)
- আড্ডাবাজি (11)
- তথ্য-প্রযুক্তি (8)
- গল্প-কবিতা (7)
- বাংলার পথে (5)
- জন্মযুদ্ধ (4)
- নিবন্ধ/অনুবাদ (3)
Showing posts with label তথ্য-প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label তথ্য-প্রযুক্তি. Show all posts
Friday, 22 March 2013
Tuesday, 1 November 2011
UniBijoy / Unijoy Layout for Avro Keyboard
বিজয় আর ইউনিজয় কখনোই এক নয়।
OmicronLab has removed the UniBijoy keyboard layout from their popular Bangla typing software “Avro” due to a copyright claim from Mustafa Zabbar. Though the UniBijoy layout is similar to the Bijoy layout, but it wasn’t the same as it has minimum 8 differences with the Bijoy layout. Yet OmicronLab removed the UniBijoy keyboard to avoid controversy.Meanwhile, some of us are so much acquainted with the UniBijoy layout that Bangla typing became a little difficult for us. I am one of them and i find it very cumbersome to get used to with a new layout. So, i was trying a solution for that.
Luckily, i found out earlier that just copying the layout file into a specific folder or even double clicking on the layout file installs the layout. So, i copied the UniBijoy.avrolayout file from the older Avro version 4.5.3 and installed Avro 5.1.0 and installed it and its working fine.
So, to download the UniBijoy Layout for Avro 5.1.0 or earlier, click here. (You need winrar/7zip to extract)
To download Avro keyboard, click here.
Thursday, 3 March 2011
সময় থাকতে ফেসবুক নিয়ে ধান্দাবাজি বন্ধ করেন, গ্রামীণফোন
লেখক: মেহদী হাসান খান
সুত্র: http://www.sachalayatan.com/omicronlab/37843
১) গত মঙ্গলবার রাতে গ্রামীণফোনেরমার্কেটিং শাখা কমিউনিকেশন ডিভিশন থেকে রিফাত এবং আমি জরুরী ফোন পাই। গ্রামীণফোন ফেসবুক থেকে একটা এন্ডোর্সমেন্ট চেয়েছিল, সেটা পেতে যাচ্ছে এবং তার প্রেক্ষিতে ফেসবুক বাংলা লোকালাইজেশনের কাজ বড় আকারে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা কী জানতে চাইলে বলা হয়, এখানে অভ্র ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি বা কোন ধরনের দাবী আছে কিনা সে নিয়ে ছোট একটা মিটিং-এ বসতে হবে। উদ্যোগটা শুনে ভালো লেগেছিল। তাই “জাতীয় সঙ্গীত ভিন্নভাবে গাওয়া” অথবা “দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিট” এর মতো নষ্টামির বাইরে একটা সত্যিকার কাজের কাজ হতে যাচ্ছে ভেবে মুহূর্তের নোটিশে ছুটি জোগাড় করে ঢাকা চলে এসেছিলাম।
যাই হোক, মিটিং শেষ করে করে বুঝলাম, কর্পোরেট রাজ্যে আধিপত্য থাকলেও স্বেচ্ছাশ্রম, ক্রাউডসোর্স অথবা ওপেনসোর্স দুনিয়া সম্পর্কে জিপির এই ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট লোকজন খুব একটা ওয়াকিবহাল না। অভ্র কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার করলেও কেন এবং কিভাবে ফ্রি হয় এটা বুঝাতেই আমাদের কালোঘাম ছুটে গিয়েছে। মোজিলা পাবলিক লাইসেন্সের রেফারেন্স দাওয়ার পরেও তাদের অনুরোধে “অভ্র ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি নাই” লিখে মেইল করে দিতে হয়েছে। এবং প্রেস রিলিজটা বের হবার পর বুঝলাম, ক্রাউডসোর্সিং বা বাংলায় অনুবাদ করা দূরে থাক, বাংলা লিখতে কী লাগে সেটা নিয়ে পর্যন্ত তাদের ধারণা নাই। একই সাথে নাই ইতিমধ্যে যাঁরা স্ব-উদ্যোগে ফেসবুকের বাংলা করার কাজটা অর্ধেকের বেশি এগিয়ে নিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার মানসিকতা। তাদের উদ্যোগটা ভালো হতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য এবং প্রচারভঙ্গী নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়। হাসিব ভাইয়ের পোস্টে বিস্তারিত বলা হয়েছে, আগ্রহীরা এখান থেকে পড়ে নিন: ফেইসবুক অনুবাদের কৃতিত্ব হাইজ্যাকে গ্রামীণ ফোনের চেষ্টা
আমাকে বলা হয়েছিল এই ক্যাম্পেইন কয়েকটা পর্যায়ে করা হবে। তার অর্থ এখনো সংশোধনের সুযোগ আছে। সেজন্যেই এই লেখা।
২) কোনরকম কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান অথবা “বাংলা ভাষার আপন কাগুদের” সাহায্য ছাড়া ফেসবুকের অর্ধেকের বেশি বাংলা লোকালাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে, বাকিটাও হবে। যেমনভাবে হয়েছে উইকিমিডিয়া, ফায়ারফক্স, অপেরা, ওয়ার্ডপ্রেস, পানবিবি, পিএইচপিবিবি, নোম ইত্যাদি অসংখ্য সফটওয়্যারের লোকালাইজেশনের কাজ। আমি বাংলা কম্পিউটিং সংক্রান্ত খবরের খোঁজ রাখার চেষ্টা করি সবসময়, তারপরও যেসমস্ত স্বেচ্ছাসেবক নিজের ব্যক্তিগত সময় এবং শ্রম দিয়ে এসব কাজ করেছেন তাঁদের বেশিরভাগকেই চিনি না। কারণটা খুব সহজ, আত্মপ্রচার নিয়ে তাঁরা লালায়িত নন। তাঁরা যেটা করছেন বা করছেন সেটা নিজের ভাষার জন্য ভালোবাসা থেকে আসা দায়িত্ববোধ থেকেই। তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখুন। গ্রামীণফোন যেখানে এখন পর্যন্ত বুঝেও উঠতে পারে নাই লোকালাইজেশন প্রজেক্ট কিভাবে চলে, সেখানে “...গ্রামীণফোন ও ফেসবুক যৌথভাবে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে আপনি চাইলেই হতে পারেন এর সফল অনুবাদক...” এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার বন্ধ করুন। ফেসবুকে অনুবাদক হতে হলে কোন ছাতা ফোনেরও দরকার নাই, যদু-মধু-কদু সবাই হতে পারে। আপনারা কী খান জানিনা, কিন্তু পাবলিক “যা গিলাবেন তাই খাবে” এটা ভাবলে এখনও বোকার স্বর্গে আছেন।
৩) আপনাদের দেশপ্রেমের ওরস্যালাইন মেশানো ফর্মুলার টিভি কমার্শিয়াল আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে, খুব স্থূলভাবে তাকিয়েও সেগুলোর ভিতরের কংকালটা আমরা এখন দেখে ফেলি। তারপরও ফেব্রুয়ারি আসলেই আপনাদের মধ্যে ভাষার জন্য ভালোবাসা দেখানোর আলগা প্রতিযোগিতাটা থামে না। লোকালাইজেশনের কাজটা যদি সত্যিই করার ইচ্ছা থাকে তাহলে রকম একটা/দুইটা ফেব্রুয়ারির হুজুগে সেটা কাজ শেষ করে ফেলবেন ভাবাটা ভুল হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। ফেসবুকের উন্নয়নের সাথে সাথে এর স্ট্রিং টেবিলে নতুন নতুন সংযোজন ঘটবে, সেগুলার অনুবাদও চালিয়ে যেতে হবে। দৌড়ে এসে পানিতে ঝাপ দেয়ার আগে সেটা কত গভীর দেখে নেয়া ভালো।
৪) লোকালাইজেশন সংবেদনশীল কাজ। পুরষ্কার কপালে জুটে না, কিন্তু এদিক ওদিক হলে তিরস্কার একটাও মাটিতে পড়ে না। এর আগে মাইক্রোসফটের কল্যাণে “মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এখন অবসর নিচ্ছে” (Microsoft Windows is now shutting down) অথবা গুগলের "খোঁজনদণ্ড" (Search bar), "ঠিকানাদণ্ড" (Address bar)- এ ধরনের হাস্যকর অনুবাদ আমরা দেখেছি। আপনাদের প্রাথমিক পরিকল্পনায় বাংলা একাডেমীকে যুক্ত করার কথা ছিল বলে জানিয়েছিলেন আমাদের, প্রেস রিলিজে সেটা আর দেখা যায়নি। সম্ভব হলে কিছু যোগ্য লোক খুঁজে নিয়ে কাজে বসান। আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার আগে নিজেদের জিপিআইটি বিভাগের কাউকে হলেও দেখিয়ে নিন। শুধুমাত্র একটা ফন্ট থাকলেই অনুবাদ করা যায় এটা কোথায় পেয়েছেন?
৫) প্রথমে ভেবেছিলাম গ্রামীণফোনের ত্রাণ ছাড়াই যে ৫০০ জন মানুষ ইতিমধ্যে ফেসবুক লোকালাইজেশনের কাজে অংশ নিয়েছে এবং কাজটা প্রায় শেষ করে এনেছেন তাঁদের পরে আপনাদের লাইনে দাঁড়াতে বলাটা যুক্তিযুক্ত হবে। কিন্তু আপনাদের তো আসলে সেটুকু অবদানও নাই। আপনাদের খবরের কাগজে কেনা জমি আছে, সেই যোগ্যতায় নিজেদের প্রচারকের ভূমিকাতে রাখলেই ভালো করবেন। যদি আদৌ কিছু করতে চান, যারা এখনও জানে না ফেসবুক ইতিমধ্যেই বাংলা আছে সেটা তাদের জানান, যারা বাকি কাজটুকুতে অংশ নিতে চান তাদের পথটা দেখিয়ে দিন। এবং সেইসাথে এক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা যে এই জানানো পর্যন্তই সেটা বলার সৎ সাহস দেখালে ভালো করবেন। বিজ্ঞাপনে টেলিনরের লোগোর পাশে ফেসবুকের লোগো বসানোর অনুমতি পাওয়া আপনাদের জন্য ভীষণ উল্লাসের কারণ হতে পারে, উই ডোন্ট গিভ আ শিট।
সুত্র: http://www.sachalayatan.com/omicronlab/37843
১) গত মঙ্গলবার রাতে গ্রামীণফোনের
যাই হোক, মিটিং শেষ করে করে বুঝলাম, কর্পোরেট রাজ্যে আধিপত্য থাকলেও স্বেচ্ছাশ্রম, ক্রাউডসোর্স অথবা ওপেনসোর্স দুনিয়া সম্পর্কে জিপির এই ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্ট লোকজন খুব একটা ওয়াকিবহাল না। অভ্র কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহার করলেও কেন এবং কিভাবে ফ্রি হয় এটা বুঝাতেই আমাদের কালোঘাম ছুটে গিয়েছে। মোজিলা পাবলিক লাইসেন্সের রেফারেন্স দাওয়ার পরেও তাদের অনুরোধে “অভ্র ব্যবহার করলে আমাদের আপত্তি নাই” লিখে মেইল করে দিতে হয়েছে। এবং প্রেস রিলিজটা বের হবার পর বুঝলাম, ক্রাউডসোর্সিং বা বাংলায় অনুবাদ করা দূরে থাক, বাংলা লিখতে কী লাগে সেটা নিয়ে পর্যন্ত তাদের ধারণা নাই। একই সাথে নাই ইতিমধ্যে যাঁরা স্ব-উদ্যোগে ফেসবুকের বাংলা করার কাজটা অর্ধেকের বেশি এগিয়ে নিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার মানসিকতা। তাদের উদ্যোগটা ভালো হতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য এবং প্রচারভঙ্গী নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়। হাসিব ভাইয়ের পোস্টে বিস্তারিত বলা হয়েছে, আগ্রহীরা এখান থেকে পড়ে নিন: ফেইসবুক অনুবাদের কৃতিত্ব হাইজ্যাকে গ্রামীণ ফোনের চেষ্টা
আমাকে বলা হয়েছিল এই ক্যাম্পেইন কয়েকটা পর্যায়ে করা হবে। তার অর্থ এখনো সংশোধনের সুযোগ আছে। সেজন্যেই এই লেখা।
২) কোনরকম কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান অথবা “বাংলা ভাষার আপন কাগুদের” সাহায্য ছাড়া ফেসবুকের অর্ধেকের বেশি বাংলা লোকালাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে, বাকিটাও হবে। যেমনভাবে হয়েছে উইকিমিডিয়া, ফায়ারফক্স, অপেরা, ওয়ার্ডপ্রেস, পানবিবি, পিএইচপিবিবি, নোম ইত্যাদি অসংখ্য সফটওয়্যারের লোকালাইজেশনের কাজ। আমি বাংলা কম্পিউটিং সংক্রান্ত খবরের খোঁজ রাখার চেষ্টা করি সবসময়, তারপরও যেসমস্ত স্বেচ্ছাসেবক নিজের ব্যক্তিগত সময় এবং শ্রম দিয়ে এসব কাজ করেছেন তাঁদের বেশিরভাগকেই চিনি না। কারণটা খুব সহজ, আত্মপ্রচার নিয়ে তাঁরা লালায়িত নন। তাঁরা যেটা করছেন বা করছেন সেটা নিজের ভাষার জন্য ভালোবাসা থেকে আসা দায়িত্ববোধ থেকেই। তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখুন। গ্রামীণফোন যেখানে এখন পর্যন্ত বুঝেও উঠতে পারে নাই লোকালাইজেশন প্রজেক্ট কিভাবে চলে, সেখানে “...গ্রামীণফোন ও ফেসবুক যৌথভাবে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে আপনি চাইলেই হতে পারেন এর সফল অনুবাদক...” এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার বন্ধ করুন। ফেসবুকে অনুবাদক হতে হলে কোন ছাতা ফোনেরও দরকার নাই, যদু-মধু-কদু সবাই হতে পারে। আপনারা কী খান জানিনা, কিন্তু পাবলিক “যা গিলাবেন তাই খাবে” এটা ভাবলে এখনও বোকার স্বর্গে আছেন।
৩) আপনাদের দেশপ্রেমের ওরস্যালাইন মেশানো ফর্মুলার টিভি কমার্শিয়াল আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে, খুব স্থূলভাবে তাকিয়েও সেগুলোর ভিতরের কংকালটা আমরা এখন দেখে ফেলি। তারপরও ফেব্রুয়ারি আসলেই আপনাদের মধ্যে ভাষার জন্য ভালোবাসা দেখানোর আলগা প্রতিযোগিতাটা থামে না। লোকালাইজেশনের কাজটা যদি সত্যিই করার ইচ্ছা থাকে তাহলে রকম একটা/দুইটা ফেব্রুয়ারির হুজুগে সেটা কাজ শেষ করে ফেলবেন ভাবাটা ভুল হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। ফেসবুকের উন্নয়নের সাথে সাথে এর স্ট্রিং টেবিলে নতুন নতুন সংযোজন ঘটবে, সেগুলার অনুবাদও চালিয়ে যেতে হবে। দৌড়ে এসে পানিতে ঝাপ দেয়ার আগে সেটা কত গভীর দেখে নেয়া ভালো।
৪) লোকালাইজেশন সংবেদনশীল কাজ। পুরষ্কার কপালে জুটে না, কিন্তু এদিক ওদিক হলে তিরস্কার একটাও মাটিতে পড়ে না। এর আগে মাইক্রোসফটের কল্যাণে “মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এখন অবসর নিচ্ছে” (Microsoft Windows is now shutting down) অথবা গুগলের "খোঁজনদণ্ড" (Search bar), "ঠিকানাদণ্ড" (Address bar)- এ ধরনের হাস্যকর অনুবাদ আমরা দেখেছি। আপনাদের প্রাথমিক পরিকল্পনায় বাংলা একাডেমীকে যুক্ত করার কথা ছিল বলে জানিয়েছিলেন আমাদের, প্রেস রিলিজে সেটা আর দেখা যায়নি। সম্ভব হলে কিছু যোগ্য লোক খুঁজে নিয়ে কাজে বসান। আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার আগে নিজেদের জিপিআইটি বিভাগের কাউকে হলেও দেখিয়ে নিন। শুধুমাত্র একটা ফন্ট থাকলেই অনুবাদ করা যায় এটা কোথায় পেয়েছেন?
৫) প্রথমে ভেবেছিলাম গ্রামীণফোনের ত্রাণ ছাড়াই যে ৫০০ জন মানুষ ইতিমধ্যে ফেসবুক লোকালাইজেশনের কাজে অংশ নিয়েছে এবং কাজটা প্রায় শেষ করে এনেছেন তাঁদের পরে আপনাদের লাইনে দাঁড়াতে বলাটা যুক্তিযুক্ত হবে। কিন্তু আপনাদের তো আসলে সেটুকু অবদানও নাই। আপনাদের খবরের কাগজে কেনা জমি আছে, সেই যোগ্যতায় নিজেদের প্রচারকের ভূমিকাতে রাখলেই ভালো করবেন। যদি আদৌ কিছু করতে চান, যারা এখনও জানে না ফেসবুক ইতিমধ্যেই বাংলা আছে সেটা তাদের জানান, যারা বাকি কাজটুকুতে অংশ নিতে চান তাদের পথটা দেখিয়ে দিন। এবং সেইসাথে এক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা যে এই জানানো পর্যন্তই সেটা বলার সৎ সাহস দেখালে ভালো করবেন। বিজ্ঞাপনে টেলিনরের লোগোর পাশে ফেসবুকের লোগো বসানোর অনুমতি পাওয়া আপনাদের জন্য ভীষণ উল্লাসের কারণ হতে পারে, উই ডোন্ট গিভ আ শিট।
Thursday, 24 February 2011
[লেখকঃঅভ্রনীল]উৎপল শুভ্র’র উৎপাত আর কত?
আগেই বলে রাখি যে আমি ক্রিকেটবোদ্ধা নই, ক্রিকেটপ্রেমীও নই। টিভির সামনে টানা বসে ক্রিকেট খেলা দেখিনা, ধৈর্য হয়না। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি, ওয়ান্ডে বা টেস্ট যাই হোক না কেন — বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যাচ শেষে ফলাফলটা জেনে নেই। ওটাই আমার জন্য অনেক কিছু। তবে বাংলাদেশের খেলা থাকলে অবশ্য অন্য কথা। টেস্ট ছাড়া বাকী দুটো’র জন্য কিছুক্ষণ পর পরই আপডেট জানা দরকার হয়ে পড়ে। সোজা কথা, দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের একজন সাধারণ মাপের দর্শকের চেয়েও আমার অবস্থান অনেক নিচে। ক্রিকেটের প্রতি টান নেই, তবে টান রয়েছে বাংলাদেশের প্রতি। তাই ক্রিকেট খেলতে যখন বাংলাদেশ মাঠে নামে, তখন এই টানটাই আমাকে সেই ম্যাচে বুঁদ হয়ে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই আমার এই লেখাটিকে ক্রিকেটিয়-বিশ্লেষণ ধরণের কিছু মনে করবার কোন কারণ নেই। গত কয়েকদিন ধরে উৎপল শুভ্র নামের এক সাংবাদিকের হাগড়পাগড় রিপোর্টিং পড়ে নিতান্তই মেজাজ খারাপ হয়ে এই লেখাটির জন্ম।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই যখন তাকিয়ে দেখি যে ২৩-২৪ বছরের ছেলেগুলো কী দৃপ্তভাবে সামনে থেকে আমার হত দরিদ্র দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে! যখন ২৩-২৪ বছরের নিজের দিকে তাকাই, যখন চিন্তা করি যে ষোল কোটি মানুষকে তুলে ধরা ঐ ছেলেগুলোর তুলনায় আমি নিজে কি করেছি, তখন ছেলেগুলোর জন্য এক ধরনের গর্বে বুক ভরে যায়। ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিবের কথাই ধরুন। ষোল কোটি মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে ছেলেটি ১১ জনের একটি দলকে বিশ্ব পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার ২৩ বছর বয়সে যদি আমাকে এই কাজটা দেয়া হত তাহলে ভয়ে আদৌ নিতাম কিনা কে জানে! অবশ্য আমার নেয়ার আগেও বড় কথা হচ্ছে আমাকে দেয়া হত কিনা! আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি, খেলাটাকে উপভোগ করার যোগ্যতা থাকলেও খেলাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনয়াকত্ব করার নূন্যতম যোগ্যতাও আমার নেই। যে কাজে আমার যোগ্যতা নেই, সেই কাজটিই যখন তরুণ একজন ছেলে অসম্ভব অবিচলভাবে দৃপ্ততার সাথে করে চলেছে তখন তাকে স্যালুট জানাতেই হয়। সতেরই ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের অধিনায়ককের তাই দেশের মানুষ বরণ করে নিয়েছিল তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝ দিয়ে। সেই হর্ষধ্বনি কিন্তু বাংলাদেশ দলের প্রতি দেশের মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসার অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ। সাকিব আল হাসানকে যখন অধিনায়ক করা হয় তখন তার যোগ্যতা, তার মেধা, তার অতীত পারদর্শীতা, সর্বোপরি তার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা — সব কিছুকেই বিচার করা হয়েছে। সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণার পর কাউকে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কোন ধরনের আক্ষেপ পর্যন্ত করতে শোনা যায়নি, বরং সবাই আশস্তই হয়েছিল! কারণ সাকিব আল হাসান লোকজনের কাছে সেই বিশ্বাস অর্জন করেছিল।
ভীষণ ব্যস্ততায় ইদানিং দিন কাটাচ্ছি। এরই মাঝে সময় বের করে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখলাম। আগেই বলেছি ক্রিকেট বুঝিনা। তারপরও ভারতের বিশাল রানের পাহাড় দেখে মন খারাপ হয়েছিল, কিন্তু তামিম আর ইমরুলের ব্যাটিং সূচনা দেখে সেই মন খারাপ ভাবটা বেশিক্ষণ থাকেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচে হেরে গেলেও অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে নিজের ভেতরের মন খারাপ ভাবটা আর ছিলনা। বাংলাদেশের “বিনা যুদ্ধে নাহি দেব ছাড়” ধরণের মানসিকতাটা ছিল দেখার মত। দ্বিতীয় ইনিংস দেখে একবারও মনে হয়নি যে বাংলাদেশ খেলা নিয়ে বিচলিত, তারা আগে থেকেই হার মেনে নিয়েছে — বরং ভারতের মাঝেও একসময় আতংক তৈরি করেছিল। খেলা শেষে যার সাথেই কথা হয়েছে কারো মুখে বাংলাদেশ দলকে আক্রমন করে কিছু বলতে শুনিনি, তাই ভেবেছিলাম যে দলের স্পোর্টসম্যানশিপে সবাই খুশি। ভুল ভেবেছিলাম। সবাই যে খুশি নয় সেটা জানতে পারলাম পরদিন — প্রথম আলোর সাংবাদিক উৎপল শুভ্র’র লেখা পড়ে!
২০শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে “পরাজয়ে প্রাপ্তি ভবিষ্যতের রসদ” নামে উৎপল শুভ্র’র একটা লেখা বের হয়। লেখাটার প্রায় প্রতিটি লাইনেই বাংলাদেশ দলের পারফর্ম্যান্সে লেখকের হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। এক পর্যায়ে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সাকিবকে কাটাছেঁড়া করে ফেললেন। তারপর দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সাকিবের এক সাক্ষাৎকারে একই লেখক সাকিবকে পুরোপুরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একের পর এক আক্রমন চালিয়ে গেলেন। লেখাটাকে সাক্ষাৎকার না বলে বরং পুলিশি জেরা বললে আরো মানানসই হয়। যেকোন মূল্যেই তিনি চাচ্ছিলেন সাকিবের মুখ থেকে শুধু একটি কথা বের করতে যে “টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে আমি ভুল করেছি!”। তার জেরার শিরোনামটাই ছিল “টস নিয়ে এত কথা বলার কারণ দেখছি না”, পড়ে মনে হচ্ছে যেন সাকিব তার টসে করা ‘ভুল’টাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। সেই সাক্ষাৎকারে (পড়ুন ‘জেরা’) করা কয়েকটি নমুনা প্রশ্ন দেখুনঃ
“দান দান তিন দান” কিংবা “দিন দিন তিন দিন”! পর পর তিন দিন ধরে উৎপল শুভ্র সাকিবকে খুঁচিয়েই যাচ্ছেন। খুব জানতে ইচ্ছা করে কেন করছেন তিনি এটা? তিনি কি জানেন যে কত রকম বিচার বিশ্লেষণ আর পরীক্ষার নীরিক্ষার মাধ্যমে একজন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়? তিনি কি জানেন না যে টস জিতে ব্যাটিং বা ফিল্ডিং নেবার স্বিদ্ধান্ত কেবল মাত্র অধিনায়ক নেননা? তিনি কি জানেননা বাংলাদেশ দল গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেলেছে তাদের প্রথম খেলায়? তিনি কি জানেন যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরো ম্যাচ বাকী রয়েছে? মনে হয়না। নাহলে চলমান একটা টুর্নামেন্টে নিজের দেশের অধিনায়কের পেছনে এভাবে আদাজল খেয়ে লাগার অর্থ কি? সাবোটাজ? এ ছাড়া তো আর কিছু মাথায় আসছেনা? তিনি কি ইচ্ছে করেই সাবোটাজ করছেন? ইচ্ছে করেই ভেঙ্গে দিচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মানসিক শক্তি? সামনের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ যদি খারাপ করে তবে আমার তর্জনী উঠবে উৎপল শুভ্রের দিকে। আমি সব দোষ দিব উৎপল শুভ্র নামের ঐ লোকটাকে, যে কিনা আমার অধিনায়ককে হায়েনার মত নির্লজ্জভাবে কাটাকুটি করেছে!
সাকিব এই অংশটুকু তোমার জন্য ভাই! তুমি যে মাঠে স্পোর্টসম্যানশিপ আর মাঠের বাইরে স্পোকম্যানশিপের পরিচয় দিয়েছ সেটা সত্যিই অতুলনীয়। সত্যি বলতে কী আমার নগন্য ক্রিকেটিয় বিদ্যায় আমি যা বুঝি যে, বাংলাদেশ খুব ভাল এবং যোগ্য একজন অধিনায়কের হাতে রয়েছে, যে কিনা গত কয়েকমাসে আমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। উৎপল শুভ্ররা ক্ষণিকের অতিথি, এদেরকে কেউ মনে রাখেনা, মনে রাখবেওনা। দেশের লোক উৎপল শুভ্রকে চেনেনা, ওরা চেনে তোমাকে। তাই তো তুমি যখন রিকশা চড়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রবেশ করলে দেশের লোক সজোরে করতালি দিয়ে তোমাকে বরণ করে নিয়েছিল। উৎপল শুভ্ররা কখনোই তোমাকে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারবেনা, তাই ভুলে যাও সেসব লোকদের কথা। ষোল কোটি মানুষের লাল-সবুজ পতাকাটিকে তুমি তোমার দলকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যাও — আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।
আর কিছু বলার নেই, কেবলমাত্র নিচের ভিডিওটি ছাড়া!
লেখাটি অভ্রনীল ভাইয়ের ব্লগ থেকে কপিপেস্ট করা হয়েছে।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই যখন তাকিয়ে দেখি যে ২৩-২৪ বছরের ছেলেগুলো কী দৃপ্তভাবে সামনে থেকে আমার হত দরিদ্র দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে! যখন ২৩-২৪ বছরের নিজের দিকে তাকাই, যখন চিন্তা করি যে ষোল কোটি মানুষকে তুলে ধরা ঐ ছেলেগুলোর তুলনায় আমি নিজে কি করেছি, তখন ছেলেগুলোর জন্য এক ধরনের গর্বে বুক ভরে যায়। ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিবের কথাই ধরুন। ষোল কোটি মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে ছেলেটি ১১ জনের একটি দলকে বিশ্ব পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার ২৩ বছর বয়সে যদি আমাকে এই কাজটা দেয়া হত তাহলে ভয়ে আদৌ নিতাম কিনা কে জানে! অবশ্য আমার নেয়ার আগেও বড় কথা হচ্ছে আমাকে দেয়া হত কিনা! আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি, খেলাটাকে উপভোগ করার যোগ্যতা থাকলেও খেলাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনয়াকত্ব করার নূন্যতম যোগ্যতাও আমার নেই। যে কাজে আমার যোগ্যতা নেই, সেই কাজটিই যখন তরুণ একজন ছেলে অসম্ভব অবিচলভাবে দৃপ্ততার সাথে করে চলেছে তখন তাকে স্যালুট জানাতেই হয়। সতেরই ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের অধিনায়ককের তাই দেশের মানুষ বরণ করে নিয়েছিল তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝ দিয়ে। সেই হর্ষধ্বনি কিন্তু বাংলাদেশ দলের প্রতি দেশের মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসার অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ। সাকিব আল হাসানকে যখন অধিনায়ক করা হয় তখন তার যোগ্যতা, তার মেধা, তার অতীত পারদর্শীতা, সর্বোপরি তার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা — সব কিছুকেই বিচার করা হয়েছে। সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণার পর কাউকে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কোন ধরনের আক্ষেপ পর্যন্ত করতে শোনা যায়নি, বরং সবাই আশস্তই হয়েছিল! কারণ সাকিব আল হাসান লোকজনের কাছে সেই বিশ্বাস অর্জন করেছিল।
ভীষণ ব্যস্ততায় ইদানিং দিন কাটাচ্ছি। এরই মাঝে সময় বের করে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখলাম। আগেই বলেছি ক্রিকেট বুঝিনা। তারপরও ভারতের বিশাল রানের পাহাড় দেখে মন খারাপ হয়েছিল, কিন্তু তামিম আর ইমরুলের ব্যাটিং সূচনা দেখে সেই মন খারাপ ভাবটা বেশিক্ষণ থাকেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচে হেরে গেলেও অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে নিজের ভেতরের মন খারাপ ভাবটা আর ছিলনা। বাংলাদেশের “বিনা যুদ্ধে নাহি দেব ছাড়” ধরণের মানসিকতাটা ছিল দেখার মত। দ্বিতীয় ইনিংস দেখে একবারও মনে হয়নি যে বাংলাদেশ খেলা নিয়ে বিচলিত, তারা আগে থেকেই হার মেনে নিয়েছে — বরং ভারতের মাঝেও একসময় আতংক তৈরি করেছিল। খেলা শেষে যার সাথেই কথা হয়েছে কারো মুখে বাংলাদেশ দলকে আক্রমন করে কিছু বলতে শুনিনি, তাই ভেবেছিলাম যে দলের স্পোর্টসম্যানশিপে সবাই খুশি। ভুল ভেবেছিলাম। সবাই যে খুশি নয় সেটা জানতে পারলাম পরদিন — প্রথম আলোর সাংবাদিক উৎপল শুভ্র’র লেখা পড়ে!
২০শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে “পরাজয়ে প্রাপ্তি ভবিষ্যতের রসদ” নামে উৎপল শুভ্র’র একটা লেখা বের হয়। লেখাটার প্রায় প্রতিটি লাইনেই বাংলাদেশ দলের পারফর্ম্যান্সে লেখকের হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। এক পর্যায়ে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সাকিবকে কাটাছেঁড়া করে ফেললেন। তারপর দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সাকিবের এক সাক্ষাৎকারে একই লেখক সাকিবকে পুরোপুরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একের পর এক আক্রমন চালিয়ে গেলেন। লেখাটাকে সাক্ষাৎকার না বলে বরং পুলিশি জেরা বললে আরো মানানসই হয়। যেকোন মূল্যেই তিনি চাচ্ছিলেন সাকিবের মুখ থেকে শুধু একটি কথা বের করতে যে “টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে আমি ভুল করেছি!”। তার জেরার শিরোনামটাই ছিল “টস নিয়ে এত কথা বলার কারণ দেখছি না”, পড়ে মনে হচ্ছে যেন সাকিব তার টসে করা ‘ভুল’টাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। সেই সাক্ষাৎকারে (পড়ুন ‘জেরা’) করা কয়েকটি নমুনা প্রশ্ন দেখুনঃ
- টসে জিতে আপনার ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত তো এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’…
- আমজনতার মুখে মুখে একটা কথা ফিরছে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করলে ভারত চাপে পড়ে যেত। আপনি একমত?
- ঠিক আছে, আপনি ক্রিকেটীয় যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং-তাণ্ডবের সময় কখনো ‘ভুলই করলাম কি না’ মনে হয়নি?
- আলোচনাটা কি টিম মিটিংয়ে হয়েছে, নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে?
- প্রশ্নটা আবার করছি, ভারত ৩০ ওভারেই ২ উইকেটে ১৬৯ করে ফেলার পর সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়েছে কি না, এ নিয়ে নিজের মধ্যে একটুও দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি?
- সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার মূল কারণ কী?
- ৩৭০ হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ তো বীরেন্দর শেবাগ। ও যখন ওভাবে মারছিল, অসহায় লাগছিল না?
- এই ম্যাচ নিয়ে এমন হাইপ, মাঠভর্তি দর্শক—টস করতে নামার সময় কি একটু নার্ভাস লাগছিল?
- ৩৭১ টার্গেট হয়ে গেলে অধিনায়কের কী-ই বা বলার থাকে! তার পরও জিজ্ঞেস করি, ব্যাটসম্যানদের আপনি কী বলেছিলেন?
“দান দান তিন দান” কিংবা “দিন দিন তিন দিন”! পর পর তিন দিন ধরে উৎপল শুভ্র সাকিবকে খুঁচিয়েই যাচ্ছেন। খুব জানতে ইচ্ছা করে কেন করছেন তিনি এটা? তিনি কি জানেন যে কত রকম বিচার বিশ্লেষণ আর পরীক্ষার নীরিক্ষার মাধ্যমে একজন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়? তিনি কি জানেন না যে টস জিতে ব্যাটিং বা ফিল্ডিং নেবার স্বিদ্ধান্ত কেবল মাত্র অধিনায়ক নেননা? তিনি কি জানেননা বাংলাদেশ দল গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেলেছে তাদের প্রথম খেলায়? তিনি কি জানেন যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরো ম্যাচ বাকী রয়েছে? মনে হয়না। নাহলে চলমান একটা টুর্নামেন্টে নিজের দেশের অধিনায়কের পেছনে এভাবে আদাজল খেয়ে লাগার অর্থ কি? সাবোটাজ? এ ছাড়া তো আর কিছু মাথায় আসছেনা? তিনি কি ইচ্ছে করেই সাবোটাজ করছেন? ইচ্ছে করেই ভেঙ্গে দিচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মানসিক শক্তি? সামনের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ যদি খারাপ করে তবে আমার তর্জনী উঠবে উৎপল শুভ্রের দিকে। আমি সব দোষ দিব উৎপল শুভ্র নামের ঐ লোকটাকে, যে কিনা আমার অধিনায়ককে হায়েনার মত নির্লজ্জভাবে কাটাকুটি করেছে!
সাকিব এই অংশটুকু তোমার জন্য ভাই! তুমি যে মাঠে স্পোর্টসম্যানশিপ আর মাঠের বাইরে স্পোকম্যানশিপের পরিচয় দিয়েছ সেটা সত্যিই অতুলনীয়। সত্যি বলতে কী আমার নগন্য ক্রিকেটিয় বিদ্যায় আমি যা বুঝি যে, বাংলাদেশ খুব ভাল এবং যোগ্য একজন অধিনায়কের হাতে রয়েছে, যে কিনা গত কয়েকমাসে আমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। উৎপল শুভ্ররা ক্ষণিকের অতিথি, এদেরকে কেউ মনে রাখেনা, মনে রাখবেওনা। দেশের লোক উৎপল শুভ্রকে চেনেনা, ওরা চেনে তোমাকে। তাই তো তুমি যখন রিকশা চড়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রবেশ করলে দেশের লোক সজোরে করতালি দিয়ে তোমাকে বরণ করে নিয়েছিল। উৎপল শুভ্ররা কখনোই তোমাকে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারবেনা, তাই ভুলে যাও সেসব লোকদের কথা। ষোল কোটি মানুষের লাল-সবুজ পতাকাটিকে তুমি তোমার দলকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যাও — আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।
আর কিছু বলার নেই, কেবলমাত্র নিচের ভিডিওটি ছাড়া!
লেখাটি অভ্রনীল ভাইয়ের ব্লগ থেকে কপিপেস্ট করা হয়েছে।
Saturday, 19 February 2011
কল ব্লক বা ব্লাক-লিস্ট করুন বিনা পয়সায়
বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারকারী প্রায় সবাই পরিচিত-অপরিচিত নাম্বার থেকে বিভিন্ন সময়ে কল/মিসকল এর যন্ত্রনায় অতিষ্ট-বিরক্ত। কিন্তু আপনি চান না এমন বিরক্তকর বা বিশেষ বিশেষ নম্বর থেকে আপনার মোবাইলে কল / মিসকল করুক। এর জন্য আমাদের মোবাইল কোম্পানীগুলো Value Added Service চালু করেছে। মানে টাকার বিনিময়ে সীমিত সংখ্যক অনাকাঙ্খিত মোবাইল নম্বরকে ব্লক করা।
আপনি ইচ্ছে করলে বিনা পয়সায় যত খুশী যে কোন নম্বর ব্লক কে ব্লক করতে পারেন সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এমন একটি কার্যকর সুন্দর সফটওয়ার হলো হলো Best Blacklist. এর জন্য আপনার থাকতে হবে নকিয়া সিরিজের 3rd Edition (যেমন Nokia N73) হ্যান্ডসেট। এটা ব্যবহারে ব্লাক-লিস্টেট ব্যক্তি যতবার কল করবে ততবার সে Busy Number ম্যাসেজ পাবে। মজার ব্যপার হলো-ব্লাক-লিস্টেট ব্যক্তির নম্বর হতে হতে কত বার কয়টি কল, কোন তারিখ ও সময়ে করা হয়েছে রিসিপ্ট কললিস্ট এবং এর লগ ফাইলে আপনি দেখতে পাবেন।
সফটওয়্যারটি ডাউন করে আনজিপ করুন, কি-জেনাটরটসহ ইনস্টল করার সিস্টেম ..
Best Blacklist Install and Get Code:
1st Install "Best RejectCall.sisx" in your Mobile Memory.
GET Code: ... STEP BY STEP
**YOU CAN FIND FILE KEYGEN.EXE RUN THIS FILE, THE ICON IS HSPDA KEYGEN
** CLICK LINE "PLEASE SELECT AN APPLICATION" THEN CHOOSE YOUR APPLICATION WHO NEED
THE KEYGEN EXAMPLE BEST MESSAGE STORER CLICK IT
** INPUT YOUR IMEI IN LINE IMEI TO GET IMEI IN YOUR MOBILE PHONE TYPE *#06#
** INPUT YOUR EMAIL IN LINE EMAIL
**CLICK GENERATE
THEN YOU WILL SEE THE CODE INPUT THIS CODE IN YOUR MOBILE PHONE OKE GUYS ITS EASY AND FREE
আপনি ইচ্ছে করলে বিনা পয়সায় যত খুশী যে কোন নম্বর ব্লক কে ব্লক করতে পারেন সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এমন একটি কার্যকর সুন্দর সফটওয়ার হলো হলো Best Blacklist. এর জন্য আপনার থাকতে হবে নকিয়া সিরিজের 3rd Edition (যেমন Nokia N73) হ্যান্ডসেট। এটা ব্যবহারে ব্লাক-লিস্টেট ব্যক্তি যতবার কল করবে ততবার সে Busy Number ম্যাসেজ পাবে। মজার ব্যপার হলো-ব্লাক-লিস্টেট ব্যক্তির নম্বর হতে হতে কত বার কয়টি কল, কোন তারিখ ও সময়ে করা হয়েছে রিসিপ্ট কললিস্ট এবং এর লগ ফাইলে আপনি দেখতে পাবেন।
সফটওয়্যারটি ডাউন করে আনজিপ করুন, কি-জেনাটরটসহ ইনস্টল করার সিস্টেম ..
Best Blacklist Install and Get Code:
1st Install "Best RejectCall.sisx" in your Mobile Memory.
GET Code: ... STEP BY STEP
**YOU CAN FIND FILE KEYGEN.EXE RUN THIS FILE, THE ICON IS HSPDA KEYGEN
** CLICK LINE "PLEASE SELECT AN APPLICATION" THEN CHOOSE YOUR APPLICATION WHO NEED
THE KEYGEN EXAMPLE BEST MESSAGE STORER CLICK IT
** INPUT YOUR IMEI IN LINE IMEI TO GET IMEI IN YOUR MOBILE PHONE TYPE *#06#
** INPUT YOUR EMAIL IN LINE EMAIL
**CLICK GENERATE
THEN YOU WILL SEE THE CODE INPUT THIS CODE IN YOUR MOBILE PHONE OKE GUYS ITS EASY AND FREE
Saturday, 27 November 2010
উবুন্টুতে বিজয়ঃ জনাব জব্বার সাহেবের নতুন চুরি
একটু আগেই জানতে পারলাম আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রনেতা জনাব মোস্তফা জব্বার উবুন্টুর জন্য বিজয় প্রবর্তন করেছেন।
এ সম্পর্কিত পোস্টটি দেওয়া হয়েছে বিজয়একুশে ডট নেট এ,
স্বভাবতই ডাউনলোড করলাম। ডাউনলোড করার পরেই হতবাক হওয়ার পালা। দেখলাম ডাউনলোডকৃত আর্কাইভটির ভিতরে দুইটি ওয়ার্ডডকুমেন্ট, কয়েকটি ফন্ট এবং একটি .mim ফাইল ও বিজয়ের লোগো সম্বলিত একটি png চিত্রফাইল।
ইন্সটলেশন ইন্সটলক্রাকশন পড়ে দেখলাম উক্ত ফাইলগুলি দ্বারা Ibus এর মাধ্যমে বিজয় লেখা যাবে।
কিন্তু উল্লেখিত আছে ,
১) বিজয় লেওয়াউট যেটি জনাব জব্বারের সম্পত্তি সেটিতে উক্ত কার চিহ্ন গুলি বর্ণের আগে টাইপ করতে হয়। কিন্তু উবুন্টু বিজয়ে শব্দ গুলি আগে লিখতে হয়।
২) বিজয় লেওয়াউটে X বাটন দ্বারা যথাক্রমে "ও" এবং " ৗ" লিখিত হয়, কিন্তু উবুন্টুর বিজয় দ্বারা লিখলে X দ্বারা যথাক্রমে "ো" এবং "ৌ" লিখিত হচ্ছে।
এবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই ইউনিজয় লেওয়াউটের কথা, যেটি "একুশে" কতৃক প্রবর্তিত স্বাধীনতা" প্রকল্পের অন্তগত একটি বাংলা লেখার ইউনিকোড ভিত্তিক লেওয়াউট এবং যেটি অনেক আগে থেকেই উইন্ডোজ,লিনাক্স এবং ম্যাকে ব্যবহার করা যায়। প্রায় সকল লিনাক্স ডিসট্রোর সাথেই এটি সংযুক্ত থাকে।
লক্ষ্য করুন,
১) ইউনিজয় লেওয়াউট একটি সম্পুর্ন ইউনিকোড ভিত্তিক লেওয়াউট, তাই এতে উক্ত কার গুলা ইউনিকোড নিয়মে অর্থাৎ শব্দের পরে দিতে হয়।
২) ইউনিজয় লেওয়াউটে X বাটন দ্বারা যথাক্রমে "ো" এবং "ৌ" লিখিত হয়।
এবার আসুন দেখা যাক ইউনিজয় লেওয়াউটটি লিনাক্স / উবুন্টুর সাথে কিভাবে সংযুক্ত হয়।
এটি m17n-db প্রকল্পের অন্তগত একটি লেওয়াউট হিসেবে কাজ করে।
উবুন্টু ইনপুট মেথড ফ্রেমওয়ার্ক (সহজ ভাবে বলতে গেলে "লেখার সফটওয়ার") এই m17n-db'র সকল লেওয়াউট সাপোর্ট করে এবং Ibus এ m17n-db'র লেওয়াউট দ্বারাই "ইউনিজয়" এবং "প্রভাত" এবং "ইন্সক্রিপ্ট" বাংলা লেওয়াউট সহ বিভিন্ন ভাষার শতাধিক লেওয়াউট দ্বারা লেখা যায়।
Ibus এবং m17n-db সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকগুলি দেখুন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Intelligent_Input_Bus
http://www.m17n.org/common/m17n-docs-en/index.html
এখন আসুন দেখা যাক এই m17n-db তে ইউনিজয় লেওয়াউট টি কিভাবে থাকে। m17n-db তে লেওয়াউট গুলির ফরম্যাট হচ্ছে .mim ফাইল।
উবুন্টুতে ইন্সটলড থাকা ইউনিজয় টি থাকে /usr/share/m17n/bn-unijoy.mim এই ঠিকানাতে।
এছাড়া সরাসরি উবুন্টুর ডেভেলমেন্ট সাইট থেকে ডাউনলোড করুন এখানে
bn-unijoy.mim ফাইলটির শুরুতেই এর লাইসেন্স সম্পর্কে পরিস্কার করে বলা আছে,
এই লাইব্রেরিটিতে এলজিপিএল ২.১ ব্যাবহার করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এর পরবর্তী সংস্করন ব্যাবহার করতে বলা হয়েছে। এলজিপিএল ২.১ লাইসেন্স ঘাটলে দেখা যায় এখানে পরিস্কার বলা আছে এই লাইসেন্স এর অন্তর্গত যে কোন কোড বা সফটওয়্যার যে কেউ বিনামুল্যে ব্যবহার, সরবরাহ ও বিতরন করতে পারবে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই মূল ডকুমেন্ট অক্ষত রাখতে হবে।
যদি কেউ এই লাইসেন্স এর অওতায় থাকা কোন ডকুমেন্ট (কোড বা সফটওয়্যার) সম্পাদনা বা পরিবর্তন করতে চান তাহলে তাকে কিছু শর্ত মানতে হবে, এগুলো হল,
১। মডিফাইড কাজটিও একটি সফটওয়্যার লাইব্রেরি হতে হবে।
২। মডিফাইড ফাইলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে মূল ফাইলের কোন কোন যায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কোন তারিখে পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩। মডিফাইড কাজের পুরোটাতেই কোন তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্স এর অধিকার দেয়া যাবে না।
৪। মডিফাইড প্রোগ্রামে যদি একই লাইসেন্স এর আওতায় থাকা অন্য কোন লাইব্রেরি ব্যাবহার করা হয় তবে তার লাইসেন্স উল্লেখ করতে হবে, এং নৈতিকভাবে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ব্যাবহৃত লাইব্রেরি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করা হচ্ছে, এবং মূল লাইব্রেরি অক্ষত রাখা হচ্ছে।
এই শর্তগুলো মেনে মডিফাইড কাজটিও একই লাইসেন্স এর আওতায় প্রকাশিত হতে হবে। মডিফাইড কাজে যদি সম্পুর্ন নতুন কিছু থেকে থাকে যা পূর্বের লাইব্রেরিতে নাই, সেটাকে এই লাইসেন্স এর বাইরে রখা যেতা পারে, তবে সেটি শুধুমাত্র স্বাধীনভাবে ঐ নির্দিষ্ট অংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই লাইসেন্স এ প্রকাশিত কাজের সাথে ব্যবহার করতে হলে সম্পুর্ন কাজটিই একই লাইসেন্স এ প্রকাশিত হতে হবে।
মূল লাইসেন্স পাওয়া যাবে এখানে
এই লাইসেন্স এ বলা আছে bn-unijoy.mim -- Bengali input method simulating Unijoy keyboard কাজটি National Institute of Advanced Industrial Science and Technology (AIST) কর্তৃক লাইসেন্সকৃত। যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার H15PRO112।
এবং বলা আছে এই ফাইলটি m17n database library এর একটি অংশ। m17n একটি ফ্রি সফটওয়্যার হলেও এটি এলজিপিএল ২.১ লাইসেন্স এর আওতায় প্রকাশিত এবং এটি ব্যবহার,বিতরন, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই লাইসেন্স এর নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
এবার দেখা যাক জনাব জব্বারের প্রবর্তিত উবুন্টু বিজয় bn-bijoy.mim এ,
এ সম্পর্কিত পোস্টটি দেওয়া হয়েছে বিজয়একুশে ডট নেট এ,
উবুন্টুর জন্য বিজয়
আনন্দ কম্পিউটার্স উবুন্টুর জন্য বিজয় বাংলা সফটওয়্যার প্রস্তুত করেছে। এই সফটওয়্যারটি দিয়ে বিজয় কীবোর্ড ব্যবহার করে ইউনিকোড পদ্ধতিতে বাংলা লেখা যায়। তবে উইন্ডোজ এবং ম্যাক ও.এস-এ বিজয় যে পদ্ধতিতে বিজয় কীবোর্ড ব্যবহার করা হয় উবুন্টুতে তার ব্যতিক্রম রয়েছে। উবুন্টুর বিজয়-এ বাংলা লিখতে হলে ,ি ,ে াে, ,ৈ ৗে কার চিহ্নগুলো বর্ণের পরে টাইপ করতে হয়। এছাড়া বিজয় কীবোর্ড একটিভ করার জন্য কন্ট্রোল ভি ব্যবহার করতে হয়।যারা উবুন্টুর জন্য বিজয় ব্যবহার করতে চান তারা মেইলে
(mustafajabbar@gmail.com) যোগাযোগ করুন।
ডাউনলোড করুন
স্বভাবতই ডাউনলোড করলাম। ডাউনলোড করার পরেই হতবাক হওয়ার পালা। দেখলাম ডাউনলোডকৃত আর্কাইভটির ভিতরে দুইটি ওয়ার্ডডকুমেন্ট, কয়েকটি ফন্ট এবং একটি .mim ফাইল ও বিজয়ের লোগো সম্বলিত একটি png চিত্রফাইল।
ইন্সটলেশন ইন্সটলক্রাকশন পড়ে দেখলাম উক্ত ফাইলগুলি দ্বারা Ibus এর মাধ্যমে বিজয় লেখা যাবে।
কিন্তু উল্লেখিত আছে ,
উবুন্টুর বিজয়-এ বাংলা লিখতে হলে ,ি ,ে াে, ,ৈ ৗে কার চিহ্নগুলো বর্ণের পরে টাইপ করতে হয়।
এখানে উল্লেখিত যে, ১) বিজয় লেওয়াউট যেটি জনাব জব্বারের সম্পত্তি সেটিতে উক্ত কার চিহ্ন গুলি বর্ণের আগে টাইপ করতে হয়। কিন্তু উবুন্টু বিজয়ে শব্দ গুলি আগে লিখতে হয়।
২) বিজয় লেওয়াউটে X বাটন দ্বারা যথাক্রমে "ও" এবং " ৗ" লিখিত হয়, কিন্তু উবুন্টুর বিজয় দ্বারা লিখলে X দ্বারা যথাক্রমে "ো" এবং "ৌ" লিখিত হচ্ছে।
এবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই ইউনিজয় লেওয়াউটের কথা, যেটি "একুশে" কতৃক প্রবর্তিত স্বাধীনতা" প্রকল্পের অন্তগত একটি বাংলা লেখার ইউনিকোড ভিত্তিক লেওয়াউট এবং যেটি অনেক আগে থেকেই উইন্ডোজ,লিনাক্স এবং ম্যাকে ব্যবহার করা যায়। প্রায় সকল লিনাক্স ডিসট্রোর সাথেই এটি সংযুক্ত থাকে।
লক্ষ্য করুন,
১) ইউনিজয় লেওয়াউট একটি সম্পুর্ন ইউনিকোড ভিত্তিক লেওয়াউট, তাই এতে উক্ত কার গুলা ইউনিকোড নিয়মে অর্থাৎ শব্দের পরে দিতে হয়।
২) ইউনিজয় লেওয়াউটে X বাটন দ্বারা যথাক্রমে "ো" এবং "ৌ" লিখিত হয়।
এবার আসুন দেখা যাক ইউনিজয় লেওয়াউটটি লিনাক্স / উবুন্টুর সাথে কিভাবে সংযুক্ত হয়।
এটি m17n-db প্রকল্পের অন্তগত একটি লেওয়াউট হিসেবে কাজ করে।
উবুন্টু ইনপুট মেথড ফ্রেমওয়ার্ক (সহজ ভাবে বলতে গেলে "লেখার সফটওয়ার") এই m17n-db'র সকল লেওয়াউট সাপোর্ট করে এবং Ibus এ m17n-db'র লেওয়াউট দ্বারাই "ইউনিজয়" এবং "প্রভাত" এবং "ইন্সক্রিপ্ট" বাংলা লেওয়াউট সহ বিভিন্ন ভাষার শতাধিক লেওয়াউট দ্বারা লেখা যায়।
Ibus এবং m17n-db সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকগুলি দেখুন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Intelligent_Input_Bus
http://www.m17n.org/common/m17n-docs-en/index.html
এখন আসুন দেখা যাক এই m17n-db তে ইউনিজয় লেওয়াউট টি কিভাবে থাকে। m17n-db তে লেওয়াউট গুলির ফরম্যাট হচ্ছে .mim ফাইল।
উবুন্টুতে ইন্সটলড থাকা ইউনিজয় টি থাকে /usr/share/m17n/bn-unijoy.mim এই ঠিকানাতে।
এছাড়া সরাসরি উবুন্টুর ডেভেলমেন্ট সাইট থেকে ডাউনলোড করুন এখানে
bn-unijoy.mim ফাইলটির শুরুতেই এর লাইসেন্স সম্পর্কে পরিস্কার করে বলা আছে,
;; bn-unijoy.mim -- Bengali input method simulating Unijoy keyboard.এটি m17n'র অন্তগত যা এলজিপিএল পাবলিক লাইসেন্সের অধিনে বিনামূল্যে ব্যবহার ও বিতরনের যোগ্য।
;; Copyright (C) 2005
;; National Institute of Advanced Industrial Science and Technology (AIST)
;; Registration Number H15PRO112
;; This file is part of the m17n database; a sub-part of the m17n
;; library.
;; The m17n library is free software; you can redistribute it and/or
;; modify it under the terms of the GNU Lesser General Public License
;; as published by the Free Software Foundation; either version 2.1 of
;; the License, or (at your option) any later version.
;; The m17n library is distributed in the hope that it will be useful,
;; but WITHOUT ANY WARRANTY; without even the implied warranty of
;; MERCHANTABILITY or FITNESS FOR A PARTICULAR PURPOSE. See the GNU
;; Lesser General Public License for more details.
;; You should have received a copy of the GNU Lesser General Public
;; License along with the m17n library; if not, write to the Free
;; Software Foundation, Inc., 51 Franklin Street, Fifth Floor,
;; Boston, MA 02110-1301, USA.
(input-method bn unijoy)
(description "Bengali input method simulating Unijoy keyboard layout.
<[url]http://ekushey.org/?page/uni_joy_layout[/url]>
")
এই লাইব্রেরিটিতে এলজিপিএল ২.১ ব্যাবহার করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এর পরবর্তী সংস্করন ব্যাবহার করতে বলা হয়েছে। এলজিপিএল ২.১ লাইসেন্স ঘাটলে দেখা যায় এখানে পরিস্কার বলা আছে এই লাইসেন্স এর অন্তর্গত যে কোন কোড বা সফটওয়্যার যে কেউ বিনামুল্যে ব্যবহার, সরবরাহ ও বিতরন করতে পারবে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই মূল ডকুমেন্ট অক্ষত রাখতে হবে।
যদি কেউ এই লাইসেন্স এর অওতায় থাকা কোন ডকুমেন্ট (কোড বা সফটওয়্যার) সম্পাদনা বা পরিবর্তন করতে চান তাহলে তাকে কিছু শর্ত মানতে হবে, এগুলো হল,
১। মডিফাইড কাজটিও একটি সফটওয়্যার লাইব্রেরি হতে হবে।
২। মডিফাইড ফাইলে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে মূল ফাইলের কোন কোন যায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কোন তারিখে পরিবর্তন করা হয়েছে।
৩। মডিফাইড কাজের পুরোটাতেই কোন তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্স এর অধিকার দেয়া যাবে না।
৪। মডিফাইড প্রোগ্রামে যদি একই লাইসেন্স এর আওতায় থাকা অন্য কোন লাইব্রেরি ব্যাবহার করা হয় তবে তার লাইসেন্স উল্লেখ করতে হবে, এং নৈতিকভাবে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ব্যাবহৃত লাইব্রেরি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করা হচ্ছে, এবং মূল লাইব্রেরি অক্ষত রাখা হচ্ছে।
এই শর্তগুলো মেনে মডিফাইড কাজটিও একই লাইসেন্স এর আওতায় প্রকাশিত হতে হবে। মডিফাইড কাজে যদি সম্পুর্ন নতুন কিছু থেকে থাকে যা পূর্বের লাইব্রেরিতে নাই, সেটাকে এই লাইসেন্স এর বাইরে রখা যেতা পারে, তবে সেটি শুধুমাত্র স্বাধীনভাবে ঐ নির্দিষ্ট অংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এই লাইসেন্স এ প্রকাশিত কাজের সাথে ব্যবহার করতে হলে সম্পুর্ন কাজটিই একই লাইসেন্স এ প্রকাশিত হতে হবে।
মূল লাইসেন্স পাওয়া যাবে এখানে
এই লাইসেন্স এ বলা আছে bn-unijoy.mim -- Bengali input method simulating Unijoy keyboard কাজটি National Institute of Advanced Industrial Science and Technology (AIST) কর্তৃক লাইসেন্সকৃত। যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার H15PRO112।
এবং বলা আছে এই ফাইলটি m17n database library এর একটি অংশ। m17n একটি ফ্রি সফটওয়্যার হলেও এটি এলজিপিএল ২.১ লাইসেন্স এর আওতায় প্রকাশিত এবং এটি ব্যবহার,বিতরন, পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই লাইসেন্স এর নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
এবার দেখা যাক জনাব জব্বারের প্রবর্তিত উবুন্টু বিজয় bn-bijoy.mim এ,
;; bn-bijoy.mim -- Bengali input method simulating Bijoy keyboard.
(input-method bn bijoy)
(description "Bengali input method simulating Bijoy keyboard layout.")
(title "বিজয়")
Sunday, 21 November 2010
এ ঘটনার পর কিভাবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে?
পড়াশোনার চাপে লেখা লেখি খুব কম ই করি। তারপরে আজ মনের দু:খ নিয়ে কিছু কথা লিখতে হচ্ছে। প্রসঙ্গ নতুন নয়, সেই পুরানোই। তবে এবার পুরানো ঘটনায় কিছুটা নতুন ভাবে।
ঘটনার সূত্রপাত:
বেশ কিছুদিন আগে, সাইফ (সাইফ দি বস) এর জেএসসি পরীক্ষা চলছিল, তার ব্লগ http://www.saiftheboss.com এ হুবুহু বিজয় এর মত করে তৈরি করা customized একটা লেআউট ছিল। নেহাত এ অভ্র বিজয় ঝামেলার পর অনেকের ই যারা আগে অভ্র ব্যবহার করে বাংলা লিখতেন, তাদের সুবিধার জন্যই এটি তৈরি করা ছিল। যাই হোক, ঘটনা গড়াতে গড়াতে বিজয় এর মোস্তফা জব্বার (ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্ণধার) এর ফেসবুক এর ওয়াল পর্যন্ত গড়াই, এবং তিনি লেআউট টি কপি রাইটের অজুহাতে টা মুছে দিতে বলেন। নেহাত এ ঝামেলাই ই যেতে চাই না, মেডিকেল এ পড়ি, উটকো ঝামেলায় জড়ানোর কোন মানেই আমি দেখি নি। আব্বা আম্মার জন্য জেএসসি পরীক্ষার মধ্যে বাসায় নেট ও ছিল না। সাইফ এর সাথেও রাজশাহী থেকে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। পরে admin হয়ে ওর ব্লগ থেকে লেআউট টি সরিয়ে রাখলাম। ঝামেলা মিটে গেল, কিন্তু প্রযুক্তি প্রেমী এক ছোট বালকের জন্য তা যেন এক অন্যরকম চ্যালেন্জ হয়ে উঠল। এত খেটে খুটে বানানো একটি কী বোর্ড আর কারো উপকারে লাগবে না, তা কী হয়? শুরু হয়ে গেল আরেকটি অধ্যায়। নতুন পথচলা:
ঠিক ই সাইফ আইন না ভেঙ্গেই তার কী বোর্ড যেন সবার কাজে লাগতে পারে সেই চেষ্টা করতে থাকে। আইডিয়া ও চলে আসে, সে বিজয় কী বোর্ড এর প্রতি টা কী স্ট্রোক এর অক্ষর গুলো কে উল্টো করে সাজিয়ে ফেলে। ফলে এক নতুন ধরণের কী বোর্ড ভেসে উঠে, যেমন বিজয় এর সব শিফট চেপে আশা অক্ষর গুলো কে সে শিফট না চেপেই দেবার ব্যবস্থা করে দেই, ফলে বিজয় কী বোর্ড এ যেটা শিফট চেপে দিতে হতো টা এখন, শিফট না চেপে দিলেই হবে। আর আগের সরাসরি গুলো শিফট চেপে আনতে হবে। আইডিয়া টি যেমন প্রশংসার যোগ্য তেমনি কৃতিত্বের দাবিদার ও। বের হল লেআউট এর নতুন ভার্সন 3। বিজয় যদি আসলেও কেও মনে প্রাণে সাপোর্ট করে এ দিয়ে লিখতে তার খুব সমস্যা হবে বই কী! যেমন সে “কলা” লিখতে যেয়ে লিখে ফিলবে “খরঅ”। মূলত যারা সাইফ এর কী বোর্ড ব্যবহার করে লিখবে, পুরাতন বিজয় ব্যবহার কারীদের এই সমস্যাই পড়তে হবে। পোস্ট টি দেখুন এখানে: http://www.saiftheboss.com/1003.htmlবিপদের সূত্রপাত :
এই কী বোর্ড লেআউট নিয়ে অভ্র আর বিজয় নিয়ে কত কেচ্ছা কাহিনী হল। কীবোর্ড বিতর্ক আর শেষ হলো না। জব্বার সাহেব মেল করলেন আমাকে আর আমার ছোট ভাই কে, অবিলম্বে এই কী বোর্ড টিও সরিয়ে নেবার জন্য। নাহলে কপিরাইট আইনের মারপ্যাচে যে সাইফ কে বেশ ভুগতে হবে, সে কথাও তিনি মেল এ লিখলেন। আমাকে লিখলেন ঈদ এর দিন তিনি পুলিশ স্টেশন এ যেতে চান না। ক্লাস 8 এ পড়া একজন ছেলেকে যদি কপিরাইট এর মারপ্যাচ বুঝাতে চান সেকি কিছু বুঝতে পারবে নাকি বুঝতে চাবে। আমি ফিরতি মেল এ জানতে চাইলাম, আপনার বিজয় এর কপিরাইট এর এক কপি আপনার ওয়েবসাইট বা কোনো পত্রিকায় দিয়ে দিন, যাতে সে বুঝতে পারে যে সে কোথায় ভুল করছে। তিনি আমাকে টাকা দিয়ে তুলে নিতে বললেন। বেশ অবাক হলাম। ক্লাস ৮ এ পড়া একটা ছেলে বিজয় কীবোর্ড থেকে আলাদা একটা কী বোর্ড বানিয়েছে, তাকে কোথায় বাহবা দিয়ে ভবিষ্যত এ আর যাতে দুনিয়া কাপান সফ্টওয়্যার বানাতে পারে তার ইন্সপিরেশন না দিয়ে তিনি আগারগও থেকে কপিরাইট এর কপি টাকা দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসতে বললেন। বিচিত্র এই দেশ! সেলুকাস! বিচিত্র আমরা!বর্তমান অবস্থা:
মা বাবা ভদ্রতা শিখিয়েছেন ছোট বেলা থেকেই। বাইরে যত কোথায় শুনি বিজয় দিয়েই বাংলা লেখার হাতেখড়ি, মোস্তফা জব্বার সাহেব কে শ্রদ্ধা করি। মেল করেছেন, বিজয় কী বোর্ড এর লে আউট ডাউনলোড লিঙ্ক আপাতত স্থগিত রেখেছি। নিজে মাইক্রোসফ্ট এর বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ টূল দিয়ে বাংলা লিখি। তিনি আব্দার করলেন তার নামে ব্লগ এ যত গুলো কমেন্ট এসেছে সেগুলো ও মুছে দিতে হবে, এও কী সম্ভব? মানুষের ভাল খারাপ কমেন্ট করবে, ভাল না লাগলে মুছে দিতে হবে?বাংলা দেশ বাংলা ভাষা নিয়ে আমার আশা:
যুদ্ধ দেখিনি, তবে ভাষার জন্যই যে যুদ্ধ হয়েছিল তা জানি। তবে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিনা জানিনা! আজও হাজার মানুষ জানে না কিভাবে ওয়েবসাইট এ বাংলা লিখতে হয়, কিভাবে তার জানা চিরাচরিত বিজয় এ সে ওয়েবসাইট এ বাংলা লিখবে, জানেনা, এক্সপি তে বিজয় ইনস্টাল থাকার পর ও কেন ফেস বুক এর বাংলা লেখা বক্স বক্স আসে। জানেনা সে কোনও কপিরাইট লংঘন করছে কিনা। জানেনা টাকা ছাড়া লিগাল ভাবে কিভাবে সে চেনা লেআউট এ সহজে বাংলা লিখতে পারবে! জানতে পারবেও না! ভাষা কে যাদের সামনে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তারাই আজ ভাষা কে শিকল দিয়ে রেখেছে। হইত কোনও ব্যক্তিস্বার্থ বা অর্থলোলুপ দৃষ্টিভঙ্গি। চেয়েছিলাম ফেব্রুয়ারী এর কড়া ভাষণের মত “সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু কর”, আপাতত ভাই পুরান চেনা লে আউট এ কোনরকম বাংলা টা লিখতে পারলেই বাচি।দেশের স্বার্থ সবার আগে!
লে আউট এর কপিরাইট থাকবে না টা বলছি না! থাকবেই! তিনি এত কস্ট করে একটি কীবোর্ড বানিয়েছেন তার মেধার মূল্য আপনি দেবেন না! মেধাসত্ব আইন বলে একটা কথা আছে না! কিন্তু যে আইনে এক মেধার জন্য হাজার মেধা বিকশিত হবার পথ রুদ্ধ হয়, যে আইনে ক্লাস ৮ এ পড়া একটি বাচ্চা ছেলে কে জেলের ভয় কিংবা উকিল আদালতের ভয় দেখতে হয়, সেখানে মেধা কী হাওয়া থেকে আসবে? দেশকে গড়বে নতুন প্রজন্ম। দেশ কে ভালো বসলে আমাদের কিছু ব্যক্তিস্বার্থ কে বলিদান দিতে হবে।শেষ কথা:
Inception মুভি তে দেখেছিলাম, নায়ক বলে “When an idea has taken hold of the brain, it is almost impossible to eradicate” সাইফ এখন নব আবিস্কারে উন্মত্ত। ওর ই তো সময়। এভাবে যদি আপনারা এক একটি প্রতিভা কে মূলেই কেটে ফেলেন, তাহলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ তো বন্ধ্যা হয়ে যাবে। শুধু নামে দেশ ডিজিটাল হলেও হতে পারে কিন্তু কাজে দেশকে আগাতে হবে। একটি মাত্র আইডিয়া ও দেশের চেহারা কে বদলে দিতে পারে, নতুন আইডিয়া কে গ্রহণ করার মানুষিকতা দাও আমাদের প্রভু। দেশকে ভালোবাসার শক্তি দাও, সাহস দাও। আমি তৌফিক হাসান (শাওন দি বস 4)
রাজশাহী মেডিকেল এ আছি. . .যে কেও লেখাটা যেখানে খুশি সেখানে নাম উল্লেখ পূর্বক শেয়ার করতে পারেন
Saturday, 17 April 2010
নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটার মনিটর এবং নিয়ন্ত্রণ করা ( mehedi akram)
কম্পিউটার ল্যাব, সাইবার ক্যাফে বা অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা কে কি করছে তা মনিটর এবং নিয়ন্ত্রণ করা দারুন এক সফটওয়্যার হচ্ছে ক্লাসরুম স্পাই। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত কম্পিউটারে এই সফটওয়্যারটি নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের দারুন কাজে দেবে।
লোকাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে এমন অফিসে কর্মকর্তারা, সাইবার ক্যাফের ব্যবহারকারীরা, কম্পিউটার ল্যাবের ছাত্ররা তাদের কম্পিউটারে বসে কে কি করছে তা মনিটর করা বা রিমোটলি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ক্লাসরুম স্পাই সফটওয়্যার দ্বারা। http://www.shamokaldarpon.com/?p=641" দ্বারা লোকাল নেটওয়ার্কের থাকা রিমোট কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু ক্লাসরুম স্পাই এর মত এতো ভালভাবে মনিটর করা যায় না। মাত্র ১১ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি www.eduiq.com বা www.classroomspy.com সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
[img]http://i44.tinypic.com/bfs7ih.jpg[/img]
সফটওয়্যার ইনস্টল করা: সফটওয়্যারটির দুটি অংশের একটি হচ্ছে Console আর একটি হচ্ছে Agent| এই Console মুডটা হচ্ছে নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের জন্য আর Agent মুডটা হচ্ছে যাদের মনিটর করা সেই কম্পিউটারের জন্য।
সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার সময় Click here to install ″Classroom Spy Professional Console″ এবং Click here to install ″Classroom Spy Agent″ নামের দুটি বাটন আসবে। এখন Stealth Agent Install চেকবক্স চেক করে Click here to install ″Classroom Spy Agent″ বাটনে ক্লিক করে ইনস্টল করুন এবং পাসওয়ার্ড সেট করুন যা পরবর্তীতে এই কম্পিউটারটিকে রিমোট করার সময় প্রয়োজন হবে। শেষে Start Agent বাটনে ক্লিক করে সার্ভিস চালু করুন এবং ইনস্টল সমাপ্ত করুন।
নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কম্পিউটারে Classroom Spy Professional Console মুড ইনস্টল করে চালু করুন তাহলে প্রথমবার পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে যা পরবর্তীতে Classroom Spy Professional Console চালু করতে লাগবে।
রিমোট কম্পিউটার যোগ করা: প্রথমে Classroom Spy Professional চালু করে বাম পাশের প্যানেল থেকে Add Computer বাটনে ক্লিক করুন। এবার Remote computer (host or IP) এ রিমোট কম্পিউটারের নাম বা আইপি এড্রেস লিখুন, Nikename এ কম্পিউটারটির নাম দিন (বোঝার সুবিধার্থে) এবং Agent’s password এ উক্ত রিমোট কম্পিউটারের সেট করা পাসওয়ার্ড দিন। Advanced Options ট্যাবে গিয়ে Color Level কালার 16M নির্বাচন করে Basic Options ট্যাবে এসে Remote Assistant Configure / Installation বাটনে ক্লিক করুন এবং উক্ত কম্পিউটারের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Connect বাটনে করে Classroom Spy Configuration এ পুনরায় রিমোট কম্পিউটারের Agent’s password দিয়ে Ok করুন এবং সবশেষে Add Computer ডায়ালগ বক্সে Ok করুন। তাহলে Classroom Spy Professional এর Remote Screens ট্যাবে কম্পিউটারটির বর্তমান অবস্থান দেখা যাবে। এভাবে আরো রিমোট কম্পিউটার যোগ করা যাবে।
রিমোট কম্পিউটার মনিটর করা: রিমোট কম্পিউটার মনিটর করতে চাইলে Remote Screens ট্যাবে প্রদর্শিত থাকা কম্পিউটারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Zoom Remote Screen এ ক্লিক করলে বড় পর্দায় উক্ত কম্পিউটারের ডেক্সটপ দেখা যাবে। উক্ত কম্পিউটারটি কোন কাজ করতে চাইলে Enable Control চেক বক্স চেক করলে মাউস বা কীবোর্ড দ্বারা উক্ত কম্পিউটারে কাজ করা যাবে। আর প্রদর্শিত থাকা কম্পিউটারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Remote Control এ ক্লিক করলে Enable Control সক্রিয় হয়ে বড় আকারে দেখা যাবে। উক্ত ডেক্সটপটি পূর্ণ পর্দায় দেখতে Full Screen বাটনে ক্লিক করতে হবে।
রিমোট কম্পিউটারে ম্যাসেজ পাঠানো: রিমোট কম্পিউটারের সবগুলোকে বা নির্দিষ্ট কোন কম্পিউটারে ম্যাসেজ পাঠাতে Classroom Spy Professional এর Show Massage/Block Computer ট্যাবে গিয়ে ডানপাশের প্যানেল থেকে কম্পিউটারগুলো নির্বাচন করে Mesage text এ ম্যাসেজ লিখে নিচের Show Message / Block Computer বাটনে ক্লিক করুন তাহলে নির্বাচিত কম্পিউটারগুলোতে ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে। ম্যাসেজ উইন্ডো রিমোট কম্পিউটারের ব্যবহারকারীরা বন্ধ করতে পারবে আর নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটর সকল কম্পিউটারে পাঠানো ম্যাসেজ বন্ধ করতে Hide Message / Block Computer বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
নিজের ডেক্সটপ শেয়ার করা: নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নিজের ডেক্সটপটি শেয়ার দিতে চাইলে Classroom Spy Professional এর Share Desktop ট্যাবে গিয়ে ডানপাশের প্যানেল থেকে যে যে রিমোট কম্পিউটারে ডেক্সটপ শেয়ার দিতে চান সেগুলো নির্বাচন করে Start Sharing Desktop বাটনে ক্লিক করুন। রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপকে নিস্ক্রিয় করে শুধুমাত্র আপনার ডেক্সটপকে দেখাতে বাধ্য করতে চাইলে নিচের Full Screen এবং Lock Computers চেক করুন শেয়ার দিতে পারেন। এছাড়াও Color Level থেকে কালারের মান পরিবর্তন করতে পারবেন। শেয়ার বন্ধ করতে Stop Sharing Desktop বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
ডেক্সটপ রেকর্ড করা: রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপ রেকর্ড করতে Desktop Recorder ট্যাবে গিয়ে Record বাটনে ক্লিক করুন এবং যে যে রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপ রেকর্ড করতে চান সেগুলো নির্বাচন করে Ok করুন। তাহলে ডেক্সটপ মনিটর শুরু করলে উক্ত রিমোট কম্পিউটারে সেভ হবে। রেকর্ড করা ভিডিও দেখতে চাইলে Open Network Share বাটনে ক্লিক করলে সেভ হওয়া ফোল্ডার খুলবে।
কম্পিউটার বন্ধ করা রির্স্টাট করা: রিমোট কম্পিউটার বন্ধ, রিস্টার্ট, হাইবারনেট, স্ট্যান্ডবাই, লগঅফ, স্ক্রিনসেভার চালু, স্ক্রিনসেভার বন্ধ বা লক করতে চাইলে Tools ট্যাবে যান এবং নির্দিষ্ট বাটনে ক্লিক করে রিমোট কম্পিউটারগুলো নির্বাচন করে Ok করলেই হবে। এখান থেকে রিমোট কম্পিউটারের কমান্ড প্রম্পট, রান বা ওয়েবসাইট চালু করা যাবে।
প্রোসেস থাকা প্রোগ্রাম বন্ধ করা: রিমোট কম্পিউটারগুলো থেকে প্রোসেস চলতে থাকা নির্দিষ্ট কোন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে Processes ট্যাবে গিয়ে যে প্রোসেসটি বন্ধ করতে চান সেটি নির্বাচন করে Kill all with the same name বাটনে ক্লিক করে রিমোট কম্পিউটার নির্বাচন করে Ok করলেই হবে।
পোর্ট বন্ধ করা: রিমোট কম্পিউটারের কোন পোর্ট বন্ধ করতে চাইলে Internet Control ট্যাবে গিয়ে বন্ধ করতে পারেন।
এছাড়াও Classroom Spy Professional Console এর Add Group of LAN Computers বাটনে ক্লিক করে নেটওয়ার্কে থাকা সকল (নির্বাচন করে) কম্পিউটারগুলোতে Classroom Spy Professional Agent ইনস্টল করা যাবে।
পূর্বে প্রকাশ: http://www.shamokaldarpon.com/?p=2110
লোকাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে এমন অফিসে কর্মকর্তারা, সাইবার ক্যাফের ব্যবহারকারীরা, কম্পিউটার ল্যাবের ছাত্ররা তাদের কম্পিউটারে বসে কে কি করছে তা মনিটর করা বা রিমোটলি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ক্লাসরুম স্পাই সফটওয়্যার দ্বারা। http://www.shamokaldarpon.com/?p=641" দ্বারা লোকাল নেটওয়ার্কের থাকা রিমোট কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু ক্লাসরুম স্পাই এর মত এতো ভালভাবে মনিটর করা যায় না। মাত্র ১১ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি www.eduiq.com বা www.classroomspy.com সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
[img]http://i44.tinypic.com/bfs7ih.jpg[/img]
সফটওয়্যার ইনস্টল করা: সফটওয়্যারটির দুটি অংশের একটি হচ্ছে Console আর একটি হচ্ছে Agent| এই Console মুডটা হচ্ছে নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের জন্য আর Agent মুডটা হচ্ছে যাদের মনিটর করা সেই কম্পিউটারের জন্য।
সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার সময় Click here to install ″Classroom Spy Professional Console″ এবং Click here to install ″Classroom Spy Agent″ নামের দুটি বাটন আসবে। এখন Stealth Agent Install চেকবক্স চেক করে Click here to install ″Classroom Spy Agent″ বাটনে ক্লিক করে ইনস্টল করুন এবং পাসওয়ার্ড সেট করুন যা পরবর্তীতে এই কম্পিউটারটিকে রিমোট করার সময় প্রয়োজন হবে। শেষে Start Agent বাটনে ক্লিক করে সার্ভিস চালু করুন এবং ইনস্টল সমাপ্ত করুন।
নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কম্পিউটারে Classroom Spy Professional Console মুড ইনস্টল করে চালু করুন তাহলে প্রথমবার পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে যা পরবর্তীতে Classroom Spy Professional Console চালু করতে লাগবে।
রিমোট কম্পিউটার যোগ করা: প্রথমে Classroom Spy Professional চালু করে বাম পাশের প্যানেল থেকে Add Computer বাটনে ক্লিক করুন। এবার Remote computer (host or IP) এ রিমোট কম্পিউটারের নাম বা আইপি এড্রেস লিখুন, Nikename এ কম্পিউটারটির নাম দিন (বোঝার সুবিধার্থে) এবং Agent’s password এ উক্ত রিমোট কম্পিউটারের সেট করা পাসওয়ার্ড দিন। Advanced Options ট্যাবে গিয়ে Color Level কালার 16M নির্বাচন করে Basic Options ট্যাবে এসে Remote Assistant Configure / Installation বাটনে ক্লিক করুন এবং উক্ত কম্পিউটারের এ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Connect বাটনে করে Classroom Spy Configuration এ পুনরায় রিমোট কম্পিউটারের Agent’s password দিয়ে Ok করুন এবং সবশেষে Add Computer ডায়ালগ বক্সে Ok করুন। তাহলে Classroom Spy Professional এর Remote Screens ট্যাবে কম্পিউটারটির বর্তমান অবস্থান দেখা যাবে। এভাবে আরো রিমোট কম্পিউটার যোগ করা যাবে।
রিমোট কম্পিউটার মনিটর করা: রিমোট কম্পিউটার মনিটর করতে চাইলে Remote Screens ট্যাবে প্রদর্শিত থাকা কম্পিউটারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Zoom Remote Screen এ ক্লিক করলে বড় পর্দায় উক্ত কম্পিউটারের ডেক্সটপ দেখা যাবে। উক্ত কম্পিউটারটি কোন কাজ করতে চাইলে Enable Control চেক বক্স চেক করলে মাউস বা কীবোর্ড দ্বারা উক্ত কম্পিউটারে কাজ করা যাবে। আর প্রদর্শিত থাকা কম্পিউটারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Remote Control এ ক্লিক করলে Enable Control সক্রিয় হয়ে বড় আকারে দেখা যাবে। উক্ত ডেক্সটপটি পূর্ণ পর্দায় দেখতে Full Screen বাটনে ক্লিক করতে হবে।
রিমোট কম্পিউটারে ম্যাসেজ পাঠানো: রিমোট কম্পিউটারের সবগুলোকে বা নির্দিষ্ট কোন কম্পিউটারে ম্যাসেজ পাঠাতে Classroom Spy Professional এর Show Massage/Block Computer ট্যাবে গিয়ে ডানপাশের প্যানেল থেকে কম্পিউটারগুলো নির্বাচন করে Mesage text এ ম্যাসেজ লিখে নিচের Show Message / Block Computer বাটনে ক্লিক করুন তাহলে নির্বাচিত কম্পিউটারগুলোতে ম্যাসেজ প্রদর্শিত হবে। ম্যাসেজ উইন্ডো রিমোট কম্পিউটারের ব্যবহারকারীরা বন্ধ করতে পারবে আর নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটর সকল কম্পিউটারে পাঠানো ম্যাসেজ বন্ধ করতে Hide Message / Block Computer বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
নিজের ডেক্সটপ শেয়ার করা: নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নিজের ডেক্সটপটি শেয়ার দিতে চাইলে Classroom Spy Professional এর Share Desktop ট্যাবে গিয়ে ডানপাশের প্যানেল থেকে যে যে রিমোট কম্পিউটারে ডেক্সটপ শেয়ার দিতে চান সেগুলো নির্বাচন করে Start Sharing Desktop বাটনে ক্লিক করুন। রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপকে নিস্ক্রিয় করে শুধুমাত্র আপনার ডেক্সটপকে দেখাতে বাধ্য করতে চাইলে নিচের Full Screen এবং Lock Computers চেক করুন শেয়ার দিতে পারেন। এছাড়াও Color Level থেকে কালারের মান পরিবর্তন করতে পারবেন। শেয়ার বন্ধ করতে Stop Sharing Desktop বাটনে ক্লিক করলেই হবে।
ডেক্সটপ রেকর্ড করা: রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপ রেকর্ড করতে Desktop Recorder ট্যাবে গিয়ে Record বাটনে ক্লিক করুন এবং যে যে রিমোট কম্পিউটারের ডেক্সটপ রেকর্ড করতে চান সেগুলো নির্বাচন করে Ok করুন। তাহলে ডেক্সটপ মনিটর শুরু করলে উক্ত রিমোট কম্পিউটারে সেভ হবে। রেকর্ড করা ভিডিও দেখতে চাইলে Open Network Share বাটনে ক্লিক করলে সেভ হওয়া ফোল্ডার খুলবে।
কম্পিউটার বন্ধ করা রির্স্টাট করা: রিমোট কম্পিউটার বন্ধ, রিস্টার্ট, হাইবারনেট, স্ট্যান্ডবাই, লগঅফ, স্ক্রিনসেভার চালু, স্ক্রিনসেভার বন্ধ বা লক করতে চাইলে Tools ট্যাবে যান এবং নির্দিষ্ট বাটনে ক্লিক করে রিমোট কম্পিউটারগুলো নির্বাচন করে Ok করলেই হবে। এখান থেকে রিমোট কম্পিউটারের কমান্ড প্রম্পট, রান বা ওয়েবসাইট চালু করা যাবে।
প্রোসেস থাকা প্রোগ্রাম বন্ধ করা: রিমোট কম্পিউটারগুলো থেকে প্রোসেস চলতে থাকা নির্দিষ্ট কোন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে Processes ট্যাবে গিয়ে যে প্রোসেসটি বন্ধ করতে চান সেটি নির্বাচন করে Kill all with the same name বাটনে ক্লিক করে রিমোট কম্পিউটার নির্বাচন করে Ok করলেই হবে।
পোর্ট বন্ধ করা: রিমোট কম্পিউটারের কোন পোর্ট বন্ধ করতে চাইলে Internet Control ট্যাবে গিয়ে বন্ধ করতে পারেন।
এছাড়াও Classroom Spy Professional Console এর Add Group of LAN Computers বাটনে ক্লিক করে নেটওয়ার্কে থাকা সকল (নির্বাচন করে) কম্পিউটারগুলোতে Classroom Spy Professional Agent ইনস্টল করা যাবে।
পূর্বে প্রকাশ: http://www.shamokaldarpon.com/?p=2110
Subscribe to:
Posts (Atom)