Showing posts with label জিয়া চৌধুরী'র কবিতা. Show all posts
Showing posts with label জিয়া চৌধুরী'র কবিতা. Show all posts

Thursday 9 September 2021

দ্বিধা - জিয়া চৌধুরী

 দ্বিধান্বিত হয়োনা হে যুবক

বরং সুচিন্তাশীল পরিপক্ষ মানুষ হয়ে উঠো।


আজকাল তোমাদের সিদ্ধান্তরা দ্রুতই পাল্টায়,

যেভাবে ছোট্ট বাবুরা প্রতিদিন

নতুন নতুন খেলনার জন্য বায়না ধরে।


তোমরা কি ছোট্ট বাবু হয়ে গেছ?


মেঘে মেঘে বেলা তো অনেক হল?

বয়সের বাতাসে চুলেও ধরেছে পাক।


তবুও তোমাদের গন্তব্য হয়নি স্থির

তবুও তোমরা দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছ বারবার।


তোমাদের দ্বিধা দেখে হাসি পায় আমার

তোমরা কী করে সবার কথা ভাব?

নিজেদের নিয়ে দ্বিধায় থাক সারাদিন

পরের ভাবনা ভাবার সময় কি আছে মোটেও।


হে যুবক, ঝেড়ে ফেল সকল দ্বিধা ভয়,

ঝেড়ে ফেল মাথার ভিতরের বিভ্রান্তির পোকাগুলো

লক্ষ্যে থাক অবিচল, শিনা টানটান

মায়াজাল পেরিয়ে সম্মুখপানে এগিয়ে চল।


===============

দ্বিধা


জিয়া চৌধুরী

চট্টগ্রাম

Friday 1 June 2018

শিকার

জিয়া চৌধুরী
===================

হয়তো কোন একদিন সংবাদ সম্মেলন ডাকা হবে,
সাংবাদিকরা বসে থাকবে যার যার চেয়ারে,
বিপরীত পাশে কিছু উর্দিপরা লোকের পাশে হাতকড়া সহ থাকব আমি।

এডভোকেট সমরের মত আমার হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে ভয়ংকর অস্ত্র,

Friday 13 March 2015

তোর জন্য

তোর জন্য, আস্ত আমি একা আছি
 হাত দিয়ে দেখ, তোর হৃদয়ের কাছাকাছি
 শীত তো গেল
 ফাগুন এল
এই ফাগুনে তোকে ছাড়া কেমনে বাঁচি। 
আসবিনা তুই?
তোকে ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম ত্রিশ ফাগুন
 মনের ভিতর
ধিকি ধিকি জ্বলছে এই দেখ, প্রেমের আগুন।
তোর জন্য মনের দুয়ার সদাই খোলা
আয় না চলে, চুপটি করে, আপন ভোলা।
 আর কতকাল থাকবি একা, থাকবো একা,
দুজন দুদিক?
এই ফাগুনে এক হৃদয়ে, মিশে যাবো
হবো একই পথের পথিক।

Friday 21 June 2013

প্রতিটি পুরুষের ভিতর বাস করে একেকটি নারীলোভী হায়েনা

জিয়া চৌধুরী
প্রতিটি পুরুষের ভিতর বাস করে একেকটি নারীলোভী হায়েনা।
মুখোশের অন্তরালে ঢাকা থাকে মুখ
পবিত্র নিস্পাপ মুখোশে দেখা যায়না লোলুপ চাহনি
কালো সানগ্লাসের আড়ালে যেমন দেখা যায়না চোখ।
আড়চোখে তাকায় পাশে হেটে যাওয়া কিন্নরি বুকের দিকে
সেটে থাকে রমণির নিতম্বে, কটিদেশে
অথচ তার ফেসবুক দেখলে মনে হয়, উনি প্রচন্ড নারীবাদি
আড়ালে ঘুরে ফেরে, নিষিদ্ধ পাতায়
তারপর দৌড়ে যায় একাকীত্বের জায়গায়
নিজেই নিজেকে উজাড় করে, নিজস্ত হস্তমৈথুনে।

Tuesday 13 November 2012

আর কত অপেক্ষা


বালিকা,
আর কতকাল অপেক্ষায় রাখার পর
তোমার একটা দিন আমাকে দেবে?
একটি পূর্ন দিন, যেদিন শুধু তুমি আমার হবে।
তারপর,
তারপর আমার ঘুরে বেড়াবো, কুয়াশা রোদ্দুর
আর চন্দ্রমুখী মাঠে, তোমার খোপায় বেলীফুল
হাতে ভালবাসা মাখা আমার হাত, কোলাহল
পেরিয়ে আমরা হেটে যাব অনন্ত পর্যন্ত।
ফিরে আসার আগে আমরা

বেহুলা লখিন্দরের বাসর সাজাব।
বালিকা,
একটা পূর্ন ভালবাসার দিন আমার পাওনা থেকে যাবে
যদি না দাও তো হাশরের ময়দান স্বাক্ষী
আমি পেরুবোনা পুলসেরাত
সেদিন দেওয়ার বিনিময়ে আমি আবার
পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইব।
.......................................জিয়া চৌধুরী

Thursday 8 November 2012

জিয়া চৌধুরীর তিনটি নতুন কবিতা একসাথে

আমারও সময় আসবে
জিয়া চৌধুরী

একদিন আমারও সময় আসবে
যেদিন হাশরের ময়দানে দাড়িয়ে ছুড়ে ফেলবো
রঙ্গমঞ্চের পোষাক, যেদিন
খুলে ফেলব ভদ্রতার মুখোশ, উম্মোচন করে দেব
সকল কবিতা ও কাব্য রহস্য।

সেদিন আমাকে আর তুমি খুঁজে পাবেনা
আমি হারিয়ে যাব অতলান্তিকের অতলে
তোমার প্রেম আমাকে ছোঁবেনা কখনো।

ভালবাসা পাইনি বলে একদিন বিলাপ করেছিলাম
আমার কান্নাকে তুমি অসহায়ত্ব মনে করেছিলে।
ভেবেছো আমার সবকটি ডানা কেটে
পড়ে থাকব পায়ের নিচে। ভুল -
তুমি ভুল ভেবেছিলে। তাই আজ
সাত আসমান উপর দিয়ে
জিব্রাইলের ডানায় ভর করে আমি এগিয়ে যাচ্ছি
আমি সব মুখোশ খুলে দেব।
প্রিয়তমা, অপেক্ষা করো, দেখা হবে আমাদের
হাশরের ময়দানে, আমি উম্মোচন করে দেব আমার
সকল কবিতা ও কাব্য রহস্য।
 একটু জীবন দাও
জিয়া চৌধুরী

দোহাই, আর বাজিয়োনা
তোমার বেহালার ঐ করুন সুর
আমার সহ্য হচ্ছেনা ।
আমি কাঁদতে পারিনা
আমার চোখে অশ্রু নেই
ঘুমও নেই, নির্ঘুম প্রতিরাত-
তোমার বেহালা শুনে শুনে।
আমায় আর কাদিয়োনা
আমায় একটু হাসতে দাও
একটু প্রেম দাও
একটু জীবন দাও।


তোমাকেই পড়ে মনে
জিয়া চৌধুরী

তোমাকেই পড়ে মনে
নিয়ত যে ঘ্রাণ তুমি বয়ে বেড়াও
তা আমাকে টেনে নিয়ে যায়
পৃথিবীর ওপার পর্যন্ত।
তোমার পেছনে ছুটতে ছুটতে আমি ক্লান্ত
মিন্দানাও থেকে ক্যালিফোর্নিয়া
উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরু, এমনকি
আমি চষে বেড়াই
আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত।
আমাদের বিলম্বিত প্রণয়টুকু
একটু একটু করে নি:ষেশিত
শুধু তোমার অমলিন স্মৃতিটুকু
আর তোমাকেই মনে পড়ে।

সেই জারুল গাছ, সেই স্বাক্ষীটুকু
আমি ঝুলে থাকি, অনন্তকাল ঝুলে থাকব।

Wednesday 7 November 2012

তোমার অপেক্ষায়

তোমার জন্য অপেক্ষার সময়টুকুতে
বসে বসে চিবুনোর জন্য
এক প্যাকেট বাদাম কিনে দিও-
জানি, কিছুক্ষন পরেই তুমি চলে আসবে।
যদি না আস তবে আরো এক প্যাকেট
ছাতিমের ছায়াতলে কিছুক্ষন জিরিয়ে নেব এই ফাঁকে।

তুমি যদি ঘন্টাদুয়েক পরে আস ত মোবাইলে
দরকারী কল গুলো সেরে নেব
তোমার সাথে কাটানোর জন্য
...
তুলে রাখা সময়টুকু অযথা নষ্ট হতে দেবনা।

যদি সন্ধ্যায় আস তো আগেই বলে যেও
ততক্ষনে আমার ল্যাপটপে দু একটা কবিতা হয়ে যাবে
তোমার সামনে দাড়িয়ে -
আমি দৃপ্ত স্বরের কবি হব।

যদি এক দিন পর আস, তো কি আর করা
আমি না হয় একটা দিন অপেক্ষাই করলাম, ক্ষতি কী?

যদি সপ্তাহ , মাস, বছর পরেও আস
তবে চিঠি দিও আকাশের ঠিকানায়
আমি চোখ বুজে পড়ে নেব সব কথা।

আর যদি একেবারে না আস
তবে বিষ দিয়ে যেও
তোমা ছাড়া জীবনের চেয়ে মৃতু্‌ই শ্রেয়।

জিয়া চৌধুরী---০৭-১১-১২, নাংগলমোড়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম থেকে

Sunday 4 November 2012

আমাদের ভালবাসা

১। অন্তরের শুদ্ধতম সময়ের কথাটুকি শুনি
যতটুকু ভালবাসার ঠিক ততটুকুই ভালবাসি
আর ঘৃণাটুকুও জমা থাক, তোমার আমার পূর্নমিলনী দিনে
আমাদেরই ফেলে আসা স্মৃতিটুকু নিয়েই খানিকটা সময় কাটাব।
আমাদের অনাদরে বেড়ে ওঠা প্রেমটুকু প্রশ্নবিদ্ধ নাই বা হল'
আমাদের ভালবাসাটুকু সুখে থাক।



২। তুমি ভালবাস বলেই আমি কবিতা লিখি
তুমি ভালবাস বলেই আমি স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার
তুমি ভালবাস বলেই আমি বিপ্লবী হয়ে উঠি
তুমি ভালবাস বলেই পৃথিবী মনে হয় একান্ত আমার

Wednesday 31 October 2012

আমি কবি হতে চাইনি

.......................... জিয়া চৌধুরী

আমি কখনোই একজন কবি হতে চাইনি
টুপটাপ করে কবিতা লিখতেই পারিনা
সকালে বিকালে অজস্র কবিতা লিখে ষ্ট্যাটাস দেওয়ার মত
দু:সাহস টুকু ছিলোনা কোনদিন।
মনের তাগিদে মাঝে মাঝে দু এক লাইন যা লিখি
...
তাকে কোনমতেই কবিতা বলা চলেনা
এর পরেও মাঝে মাঝে এমন কাউকে পাই
যিনি হয়তো আমার অগৌচরেই আমার কবিতার পাঠক হয়ে রয়েছেন
কোন একদিন ফেসবুকের ইনবক্সে মেসেজ আসে
আমি আপনার কবিতার ভক্ত
আপনি তো ভালই লিখেন।
ভাই, আমি লিখলাম কই?
 আমি যা লিখি ছাইপাশ তা দিয়ে কবিতা হয়?
 তবুও যারা পাশে পাশে চলেছেন
শুধু তাদের জন্যই আমি লিখে যাব
পথ চলতে চলতে যখনই সময় পাই।

Saturday 28 April 2012

বাঙ্গালী রমনী


জিয়া চৌধুরী
মরুর জোছনা দেখার সময় পাইনা
সময় পাইনা আরবি বালিকার গান শোনার
সকাল থেকে সন্ধা হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত
অবিরত  ছুটি টাকার পিছনে।
শুনেছি মরুর জোছনা নাকি খুব সুন্দর
এখনো দেখিনি জোছনা মরুর বুকে।
আমার হৃদয় আজ খা খা মরুর মত
কোন এক বাঙ্গালী রমনীর কারণে।
আমি মরুর জোছনা দেখতে চাইনা
আমি চাই প্রেয়সীর বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে
বাঙ্গালী রমনীর কোমল চাহনি
মরুর জোছনার চেয়েও বেশি টানে।

দুটি অনু কবিতা

১.
এখন কবিতার খাতায় আগুন
কবির চুলায় নেই জ্বালানী কাঠ,
কবিতারা পুড়ে খাক হয়
জ্বলে চুলা আর সিদ্ধ হয় ভাত,
আর আমার হৃদয়ে দ্রোহের আগুন জ্বলে
সে আগুনে আমি একাই পুড়ে ছাই।
২.
মধ্যজীবিরা একটু ত্যাগ স্বীকার করলেই, দেশের উন্নতি
অথচ আর কত ত্যাগ করলে তাকে ত্যাগ স্বীকার বলা হবে
মধ্যজীবি কেরানীর টাক মাথা চুলকায়-
অফিসের হিসেব মিলে
জীবনের হিসেব মিলেনা.........
@জিয়া চৌধুরী

Tuesday 10 January 2012

তোমাকে বলছি....

তোমাকে বলছি
জিয়া চৌধুরী

তোমাকে পেলে খানিকটা সময় কাটিয়ে দেয়া যেত
দু:স্বপ্ন ভুলে, ফেলে আসা অতীতের যত দু:খ।
তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে পারতাম চ্যাটরুমে কিছুক্ষন
সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে নির্লজ্জ কথা চালাচালি।
তোমার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে সময়ের খুন হওয়া
তবু তুমি আসনা- মায়াবী দুচোখে ভেসে যাওয়া সমুদ্র পার হয়ে
তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে সারা দিন
ভুলে যেতে কিংবা ভুলিয়ে দিতে যত দু:খ ভরা রাত।
প্রহরে প্রহর কেটে যায়- তোমার জন্য অপেক্ষার প্রহর কাটেনা।
তোমাকে আপন করে পাবার স্বাধ মেটেনা- কিছুতেই না।
কবিরা নিজের জীবন থেকে লিখে, বলেছেন - আউট‌‌'ল
এটা সংবিধানের কততম সংশোধনীর কথা বল্লেন আপনি।
কবি বলে কি আমি ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুখটুকু পাব না?
তাই ফয়সল বলে- কবির কোন চরিত্র নেই।

Friday 6 January 2012

আমার মা

আমার মা
জিয়া চৌধুরী

আমার মায়ের মমতায় আমার শৈশব , কৈশোর,
মায়ের আঁচলে আমার বেড়ে উঠা, সাদা কাশফুল জমিন
পরম স্নেহ আর আদরে ঘেরা আমার ছোট উঠান আমার মা
আমি মাকেই ভালবাসি, মায়ের জন্য আমার সবটুকু ভালবাসা।

আমার ছোট পৃথিবী, আমার একলা আকাশ
আমার ক্ষণে ক্ষনে কেদেঁ কেদেঁ ডেকে যাওয়া
আমার কান্না ভোলানো মায়াময় স্বর
আমার খুজে ফেরা, দুরে থাকা- আমার প্রিয় মা।

প্রতিশোধের আগুন

প্রতিশোধের আগুন
---------------------

এবার রক্তে জেগে উঠে প্রতিশোধের আগুন
ক্রোধে ক্রোধান্বিত হয় দয়িতা আপন।
মানবী নয় দয়িতা আপন দেবী
রক্ত মাংসের ভক্ত চুম্বনে পদসেবী।
দুহাজার বছরের অপেক্ষায় দিন গুনে বালক
সাথে আছে তার পিতা প্রতিপালক।
দেবীর খোজে পাড়ি দিয়ে পাহাড় নদী সমভূমি
পেরিয়ে অবশেষে মেলে দেবীর আপন ভূমি।
দেবীর দয়িতকে আপন করে চায় কালুন খানিয়া
দেবীকে ফিরিয়ে দেয় তার দয়িতকে রাখিয়া।
শত বছরের অপেক্ষার যে শেষ হয়না আর
দেবীর ক্রোধে বুঝিবা কালুন হবে ছারখার।
মিলিয়াও মিলিল না দু প্রেমিক প্রেমিকা
বাধা দুজনার দুজনে মাটি-অগ্নিশিখা।
ছলনার মায়াজালে আবদ্ধ দেবীর দয়িত
জ্বলে উঠল দেবী নিবে দয়িতের প্রতিশোধ।
দেবীর ক্রোধে পড়িল ভক্ত তপ্ত আগুনে
এভাবেই ক্রোধ প্রশমিত হল নগর কালুনে।

হেনরী রাইডার হ্যার্গাডস এর রির্টান অব শী অবলম্বনে।......... জিয়া চৌধুরী।

এক ঘুম জাগানিয়া পাখির আজ বড্ড প্রয়োজন

এক ঘুম জাগানিয়া পাখির আজ বড্ড প্রয়োজন
জিয়া চৌধুরী
১৯/৪/২০১১ইংরেজী
******************

শুধুই বাকচাতুরিই চলছে রাজদরবারে কিংবা রাজপথে
কাগজে কলমেই আমাদের উন্নতি, প্রকাশ্য শুধুই অভাব
রাজন্যবর্গের ভুড়ি বাড়ছে যতই, ততই কমছে রাজদ্রোহীদের
কুকুরের দল কামড়া কামড়ি করছে ডাস্টবিনে
আর রাজন্যবর্গের পা চাটছে অবিরত- আধহাত লম্বা জিহ্বায়
রাজদ্রোহীরা ভাবছে তারা রাজত্ব পেলে রাজ্য মুড়িয়ে দেবে সোনায়
অথচ আগেরবারের সোনার হদিস এখনি মেলেনি।
প্রজারা সব অচেতন ঘুমঘোরে- কেউ কেউ আবার ভাবছে এ বুঝি স্বপ্ন।
নিরাপত্তার অভাব বোধকরি সবারই- তাই মুখে কুলুপ
এ বুঝিবা শাখের করাত।
এক ঘুম জাগানিয়া পাখির আজ বড্ড প্রয়োজন।

আমি হাটছি অনন্ত বিপ্লবের পথে

আমি হাটছি অনন্ত বিপ্লবের পথে।
জিয়া চৌধুরী


প্রিয়তমা আমার
তোমার মেহেদী রাঙ্গানো পেলব হাত
তোমার কাজল কালো মায়াবী দুচোখ,
স্বপ্ন ভরা মন -আর
খোলাচুল বাতাসে উড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন ভুলে গিয়ে
আমি হাটছি অনন্ত বিপ্লবের পথে।
আমি চলছি সংগ্রামে -দিন বদলের স্বপ্নে-
আমি ডাকছি সবাইকে দ্রোহের পথে,
যে পথে আসবে বিজয়
আসবে মুক্তি, আসবে স্বাধীনতা।

জেগে ওঠো মানুষ, একটি তিতাসের জন্য

জেগে ওঠো মানুষ, একটি তিতাসের জন্য
জিয়া চৌধুরী

আমাদের ভিতর বারবার জেগে উঠতে চাওয়া দাবানলটা মরে গেছে অনেক আগেই।
বিপ্লবে মুক্তির পথ ভুলে ডাষ্টবিনে খাবার খুজে বেড়াই
ক্ষুধা জর্জরিত হাত মুটিবদ্ধ হয়ে দৃড়ভাবে উপরে তুলে ধরার শক্তি নেই।
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আমাদের মেরুদন্ডকে গুড়িয়ে দিয়েছে বুলডোজারের মত।
একটা স্বাধীন দেশের গল্প কপচিয়ে বেড়াবো আর কতদিন।
এখনও কি আমাদের জেগে উঠার সময় হয়নি?
কখন আমরা স্বাধীনতার জন্য সবাই এক হব?
আমাদের দাবিয়ে রেখে গলার উপর পা দিয়ে শ্বাস বন্ধ করার পরে কি?
আমরা কি কখনও বাঘের মত বাচঁতে শিখবনা।
আরেকটা বিপ্লবের সময় কি এখনও হয়নি।
হয়েছে
অবশ্যই আমরা এখনই আরেকটা বিপ্লব চাই।
ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে
আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে
শাষকের দূর্নীতি ও লুণ্টনের বিরুদ্ধে
একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাড়ানোর জন্য
আবার একটি বিপ্লব চাই।
জেগে ওঠো মানুষ,
একটি তিতাসের জন্য
একজন ফেলানীর জন্য
একজন লিমনের জন্য
পতিতা হতে বাধ্য হওয়া একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য
আবার বিপ্লব চাই।

যদি সুখ পেতে চাও

যদি সুখ পেতে চাও
জিয়া চৌধুরী

সুখ যদি পেতেই চাও, তো আমার কাছেই এসো
তবে তোমায় নিয়ে ঘর কখনো বাঁধব না।
সুখের পরশ বুলিয়ে তোমায় মিষ্টি প্রেমের গান শোনাব
তবে ভালবাসার দরকষাকষি আর কখনো করব না।
সুখের স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই আমি
সুখপাখিটা আমার কাছে অনেক দামী,
তোমায় আমি সুখ ছিটাবো সারা দেহে
অংগ তোমার ভরিয়ে দেবো সুখের মোহে।
তবে আমায় নিয়ে ঘর বাঁধবার স্বপ্ন কভু দেখোনা
আমি হঠাৎ করেই আসি, আবার হঠাৎ করেই যাবো
তবু তোমায় আমি এ জীবনে কভু ভুলে যাবোনা।

Sunday 3 April 2011

চতুর্মাত্রিক

চতুর্মাত্রিক
জিয়া চৌধুরী
-------------------------
চতুর্মাত্রিকে আজ আমরা বন্দি ভীষন
হীরা ভেবে ভুল করে কাচ তুলে নিই
মোহ আর ভালবাসা এক করে দিই
মোহ কেটে গেলে বলি
এত হীরে নয়- দুর ছাই দুটাকার কাচঁ।

অথচ ভালবাসা কেটে যায়না কিছুতেই
জীবনে ও মরণে এক সাথে থাকা।

তবুও আমার কাঁচকেই ভাল লাগে।
হীরা যে অনেক দামী-
বড় বড় শপিং মলের শোকেচে তাকে দেখতে ভাল লাগে।
কাচঁ পাওয়া যায় অতি সহজে।
তাই আমার কাচঁই বেশি প্রয়োজন- বহুমূল্য হীরের চেয়ে।

প্রতিশোধের আগুন ---------------------

প্রতিশোধের আগুন
---------------------

এবার রক্তে জেগে উঠে প্রতিশোধের আগুন
ক্রোধে ক্রোধান্বিত হয় দয়িতা আপন।
মানবী নয় দয়িতা আপন দেবী
রক্ত মাংসের ভক্ত চুম্বনে পদসেবী।
দুহাজার বছরের অপেক্ষায় দিন গুনে বালক
সাথে আছে তার পিতা প্রতিপালক।
দেবীর খোজে পাড়ি দিয়ে পাহাড় নদী সমভূমি
পেরিয়ে অবশেষে মেলে দেবীর আপন ভূমি।
দেবীর দয়িতকে আপন করে চায় কালুন খানিয়া
দেবীকে ফিরিয়ে দেয় তার দয়িতকে রাখিয়া।
শত বছরের অপেক্ষার যে শেষ হয়না আর
দেবীর ক্রোধে বুঝিবা কালুন হবে ছারখার।
মিলিয়াও মিলিল না দু প্রেমিক প্রেমিকা
বাধা দুজনার দুজনে মাটি-অগ্নিশিখা।
ছলনার মায়াজালে আবদ্ধ দেবীর দয়িত
জ্বলে উঠল দেবী নিবে দয়িতের প্রতিশোধ।
দেবীর ক্রোধে পড়িল ভক্ত তপ্ত আগুনে
এভাবেই ক্রোধ প্রশমিত হল নগর কালুনে।