Sunday, 20 September 2015

ভারতের গরু আমদানী বন্ধ করা উচিত

ভারত আমাদের গরু দেবেনা বলে আবার গরু দিচ্ছে। এটা আমাদের গবাদী পশুর খামার ধ্বংসের একটা চক্রান্ত। কিভাবে? ভারত গরু রপ্তানী না করার ঘোষণা দেয়ায় আমাদের দেশের খামারীরা পর্যাপ্ত পরিমান গরু মজুদ করেছে। এবার কিছুটা সংকট থাকলেও আগামী বছর হতে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে সেই সংকটও থাকবেনা।

Thursday, 23 July 2015

রহমান হেনরীরদুইটি কবিতা

১// জেরুজালেমের পথে 

জেরুজালেমের রাস্তায় যার সাথে দেখা হয়েছিলো তাকে আমার যীশুই মনে হলো;
স্বপ্নটা ভেঙ্গে যাবার আগে পর্যন্ত প্রশস্ত একটা রাস্তা ধরে
অনেক রাত আমরা পাশাপাশি হাঁটলাম;
কথা হলো বহুপাক্ষিক বিষয়ে।
কেননা, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যাটা, তিনি বলছিলেন, দ্বিপাক্ষিক।
অতএব সে প্রসঙ্গ বাদ।

কেন্দ্রবিমুখ - রহমান হেনরীর কবিতা ১

গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে গণধর্ষণের ভেতর দিয়ে রাজধানী চেনানো,
স্ত্রীকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা, সমুদ্র উৎসব আর বইমেলা...
এসবের ভেতর থেকে লাফিয়ে বেরুচ্ছে সদর্ভে নিজের পরিচয় দেয়া খুনী,
 সিংহপুরুষের মতো হেঁটে বেড়াচ্ছে।

Tuesday, 16 June 2015

সাধনপুরের সাধু- পিশাচ কাহিনী - জিয়া চৌধুরী

চর সাধনপুর গ্রাম। গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে বিশাল এক মাঠ। মাঠের মাঝামাঝিতেই পুকুরটি। পুকুরের পূর্ব পাশে যে বিরাট বট গাছটা রয়েছে, তার তলায় আস্তানা গেড়েছে এক সাধু বাবা। ইয়া লম্বা লম্বা চুল আর দাড়ি গোফের জঙ্গল। হাত পায়ের নখগুলো বড় বড়। পরনে গেরুয়া বসন, উর্ধাঙ্গ খালি। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। একটা বাঘের চামড়ার উপর বসে থাকে। একপাশে খাড়া করে রাখা একটা ত্রিশুল। আর একটা লোটায় বিভিন্ন গাছের পাতা ও ফুল রাখা। দেখলেই ভক্তি জন্মে সাধু বাবার উপর। গ্রামের লোকজন খুব খুশি। এমন একজন মানুষ তাদের গ্রামে হাজির হয়েছে। গ্রামের লোকজন প্রতিদিন সকালে সাধুবাবার নিকট বিভিন্ন ফলমুল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির হন। সাধুবাবা সবসময় চোখ বুজে থাকেন। কারো সাথে কথা বলেননা। সবগুলো জিনিষ যেভাবেই দেয়া হয় সেভাবেই পড়ে থাকে। পরে লোকেরা তা সরিয়ে নেয়। এভাবে কেটে গেল কয়েকটা দিন। 

গ্রামের উত্তর প্রান্তে রফিক মিয়ার বাড়ি। তার দুধেল গাইটি সন্ধ্যা থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সারা গ্রাম আঁতিপাতি করে খোঁজ করেও পাওয়া গেলনা গরুটি। তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে রফিক মিয়ে ভাবতে লাগলো কোথায় গেল গরুটি। পরদিন গোয়াল ঘরের পেছনেই পাওয়া যায় গরুটিকে। মৃত। বিভৎস। কিসে জানি পুরো মাথাটা ধড় থেকে টেনে ছিড়ে ফেলেছে এমন অবস্থা। তারপর পেট ফেড়ে কলিজা বের করে ফেলেছে। গ্রামের ছেলেবুড়ো সকলে জড়ো হয়ে যায় সেখানে। এমন কাজ কার দ্বারা সম্ভব। এত বড় একটা গরুর মাথা টেনে ছিড়ে ফেলে এমন শক্তি কোন জন্তুর আছে? গ্রামের সবখানেই এনিয়ে আলোচনা চলছে? কেউ বলছে বড়সড় কোন বাঘের হামলা। কেউ বলছে বাঘ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। যেভাবে রাক্ষসের মত টেনে ছিড়ো ফেলেছে। কেউ বললো জ্বিনের কাজ। সবার মনেই এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা ও আতংক ভর করেছে। পরদিন

Friday, 13 March 2015

তোর জন্য

তোর জন্য, আস্ত আমি একা আছি
 হাত দিয়ে দেখ, তোর হৃদয়ের কাছাকাছি
 শীত তো গেল
 ফাগুন এল
এই ফাগুনে তোকে ছাড়া কেমনে বাঁচি। 
আসবিনা তুই?
তোকে ছাড়াই কাটিয়ে দিলাম ত্রিশ ফাগুন
 মনের ভিতর
ধিকি ধিকি জ্বলছে এই দেখ, প্রেমের আগুন।
তোর জন্য মনের দুয়ার সদাই খোলা
আয় না চলে, চুপটি করে, আপন ভোলা।
 আর কতকাল থাকবি একা, থাকবো একা,
দুজন দুদিক?
এই ফাগুনে এক হৃদয়ে, মিশে যাবো
হবো একই পথের পথিক।
Pages (17)Previous 1234567 Next