Wednesday 9 January 2013

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের কতটুকু আপনার জানা। একটু সময় নিয়ে মিলিয়ে নিন। ১৯৩৮-১৯৭৫ পর্যন্ত।




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কিছু টুকরো অংশ আমি এখানে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি::::::



জন্ম: ১৯২০ সালের সতের মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।

১৯৩৮ সালে তৎকালীন বাংলার শ্রমমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে পরিচয় ও সাহচর্য লাভ।

" " মিথ্যা অভিযোগে প্রথম বারের মত গ্রেপ্তার, সাতদিন পর জামিন লাভ।

১৯৩৯ সালে সোহরাওয়ার্দীর সাথে কলকাতায় যোগাযোগ, গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলীম লীগ গঠন। শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হন।

১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পাশ।

" " কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে র্ভতি।

১৯৪৩ সালে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ কাউন্সিলের সদস্য হন।

১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলীম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেব প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১৯৪৬ সালের জুলাইয়ে কলকাতা ও বিহারে হিন্দু মুসলমান দাংগা বন্ধে ও আহতদের পূর্নবাসনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন।

১৯৪৭ এ পাকিস্তান ভাগের সময় আসামের জেলা সিলেটকে বাংলাদেশে রাখার বিষয়ে গনভোটে সক্রিয় কার্যক্রম চালান।

" " ব্যারাক পুরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে সাক্ষাত, তাকে কলকাতা-বিহার দাংগায় তোলা নৃশংস হত্যাকান্ডের ছবি এলবাম আকারে উপহার প্রদান।

" " কলকাতা ত্যাগ, ঢাকায় আগমন।

" " ঢাকায় কনফারেন্স, যুব প্রতিষ্ঠান গড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত, নাম গণতান্ত্রিক যুবলীগ, সাবজেক্ট কমিটি গঠন। শেখ মুজিব কমিটির সদস্য। পরবর্তীতে কমিউনিস্টদের অনৈতিক সংখ্যাধিক্য ও বাড়াবাড়ির কারণে শেখ মুজিব সহ মুসলিম লীগ পন্থীরা সংগঠন ত্যাগ করেন।

Wednesday 21 November 2012

বাংলার মাছ, ছবি ব্লগ।




মাছে ভাতে বাঙ্গালী......এই কথাটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কতটা বাস্তব এটা বিচারের দ্বায়িত্ব পাঠকদের। এক সময় বাংলার প্রতিটি জলাশয়(হাওর, বাউর, বিল, খাল, নদী পুকুর ইত্যাদি) ছিল হরেক রকম মাছে ভরপুর। এখন মাছের প্রাপ্যতা আর আগের মতো নেই। আমাদের আগের প্রজন্ম যেসব মাছ দেখেছে সেগুলোর কিছু কিছু আমাদের জন্য বিরল হয়ে গেছে। আমাদের পরের প্রজন্মকে হয়ত ছবি দেখিয়ে বলতে হবে এই মাছটা আমাদের দেশে ছিল, এটার নাম......ইত্যাদি ইত্যাদি। :|:|

এই পোষ্টে আমি বাংলাদেশে পাওয়া যায় বা যেত এরকম সব(প্রায়!)মাছ গুলোকে এক করার চেষ্টা করেছি। যদি কিছু বাকি থাকে আপনাদের সাহায্যে পূরণ করা হবে। একেক মাছ একেক এলাকায় ভিন্ন নামে পরিচিত। এখানে হয়তো আপনাদের মাধ্যমে তাও জানা যাবে। নতুন প্রজন্মকে মাছ সম্পর্কে ধারনা দিতে এই পোষ্ট আশা করি কাজে দিবে!!:):) আর যারা মাছ খেতে ভালোবাসি তাদের জন্য ক্ষিধা বাড়াতে সাহায্য করবে!!:P:P

চলুন তাহলে দেখে নেই আমাদের দেশি মাছ গুলো---------




Monday 19 November 2012

ভালোবাসি সঞ্জীবদা

পোষ্টটি লিখেছেন  দলছুট শুভ

" আমি তোমাকেই বলে দেবো কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে,
আমি তোমাকেই বলে দেবো সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়,
ছুঁয়ে কান্নার জল, ছুঁয়ে জ্যোৎস্নার ছায়া......... "


ভুল দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে উনি একা হেঁটে চলে গেছেন উনার বিরান পথে......

আজ ১৯ নভেম্বর। প্রিয় মানুষ সঞ্জীবদার চলে যাবার দিন। ঠিক এই দিনেই দাদা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। কত সহজে তিনি মানুষের মনে দাদার স্থান করে নিয়েছেন তা হয়তো উনিও জানতেন না। দেখতে দেখতে কেটেও গেল ৫ টি বছর। কিন্তু দাদা রয়ে গেছেন সবার অন্তরে। থাকবেনও।

" ঐ কান্না ভেজা আকাশ আমার ভালো লাগে না, থমকে থাকা বাতাস আমার ভালো লাগে না........."


সংক্ষিপ্ত জীবনী ঃ ডিসেম্বর ২৫, ১৯৬২ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৮ সালের মাধ্যমিক এবং ১৯৮০ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান দখল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে তিনি গণিত বিভাগে ভর্তি হন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে পাস কোর্সে স্নাতক পাস করেন। তারপর সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেন। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসে বাপ্পা দাকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন " দলছুট " এবং কাজ করেছেন "আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, যায় যায় দিন" পত্রিকায়। " আহা " এ্যালবামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হয় কিংবদন্তী সঞ্জীবদা এবং বাপ্পাদার দলছুটের । ২০০৭ এর আজকের এই দিনে তিনি চলে গেছেন তার জ্যোৎস্না বিহারে। মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে এপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু রয়ে গেছেন কোটি মানুষের মনে। " কিংবদন্তী " নামের মেয়ে হয়তো বাবাকে না দেখার কষ্টে আজও নীরবে কাঁদে।


" ধরতে গিয়ে হেরে গেছি, দেখতে গিয়ে থেমে গেছি, হাত বাড়ালে নেই কেউ নেই। একা নিজেই......... "


না দাদা। তুমি একা নও। কোটি মানুষ তোমায় মনে নিয়ে বসে আছে। বাংলা সঙ্গীতে এক অপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে তুমি। তোমাকে হারিয়ে বাংলা গানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল দাদা। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

" মেয়ে তুমি, এভাবে তাকালে কেন, এমন মেয়ে কি করে বানালে ঈশ্বর। আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ "

আমি উনাকে দেখিছি একজন খুবই সাধারণ মানুষ হিসেবে। কি সুন্দর করে প্রত্যেকটা মানুষের সাথে কথা বলেছিলেন। গায়ে ছিল হালকা একটা ফতুয়া। যেন মিশে ছিলেন আমাদের সাথে। এই কিংবদন্তীর কাছ থেকে অনেক কিছু পাবার আশা ছিল। সব আশা ভেঙ্গে তিনি চলে গেলেন খুব তাড়াতাড়ি।

" চোখটা এতো পুরাই কেন, ও পুড়া চোখ সমুদ্রে যাও, সমুদ্র কি তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও...... "

গানকে যেন তিনি আগলে রেখেছিলেন আপন সন্তানের মতো। মূলত ক্লাসিক্যাল গান আমরা তার কাছ থেকে বেশি পেয়েছি এবং অনেক ফোক গানও পেয়েছি। গানের জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র নিজেই নক্ষত্র হয়ে গেলেন।

" দুঃখ ব্যথায় মুখটায়ে নীল, তোমার আমার না হলো মিল, নীল দুঃখের সেই মেয়েটা পরের পরিমিতা, বুকের ভেতর জ্বলে শুধু ভালোবাসার চিতা......"

বড় অসময়ে চলে গিয়েছেন দাদা। আজ উনাকে দেখে অনেক কিংবদন্তী গড়ে উঠছে। খুবই সাধারণ মানুষ সঞ্জীব দা মৃত্যুর পড়েও মানুষের সাহায্য করে গেছেন। তার মরণোত্তর দেহটি তিনি দান করে গিয়েছেন। যাতে তার অঙ্গ নিয়ে বাঁচে থাকতে পারে আরো কিছু মানুষ।

সঞ্জীব দার এই জায়গা কখনো পূরণ হবে না। তবে সঞ্জীব দা আমাদের মাঝে চিরকাল থাকবেন।

Tuesday 13 November 2012

আর কত অপেক্ষা


বালিকা,
আর কতকাল অপেক্ষায় রাখার পর
তোমার একটা দিন আমাকে দেবে?
একটি পূর্ন দিন, যেদিন শুধু তুমি আমার হবে।
তারপর,
তারপর আমার ঘুরে বেড়াবো, কুয়াশা রোদ্দুর
আর চন্দ্রমুখী মাঠে, তোমার খোপায় বেলীফুল
হাতে ভালবাসা মাখা আমার হাত, কোলাহল
পেরিয়ে আমরা হেটে যাব অনন্ত পর্যন্ত।
ফিরে আসার আগে আমরা

বেহুলা লখিন্দরের বাসর সাজাব।
বালিকা,
একটা পূর্ন ভালবাসার দিন আমার পাওনা থেকে যাবে
যদি না দাও তো হাশরের ময়দান স্বাক্ষী
আমি পেরুবোনা পুলসেরাত
সেদিন দেওয়ার বিনিময়ে আমি আবার
পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইব।
.......................................জিয়া চৌধুরী

Thursday 8 November 2012

জিয়া চৌধুরীর তিনটি নতুন কবিতা একসাথে

আমারও সময় আসবে
জিয়া চৌধুরী

একদিন আমারও সময় আসবে
যেদিন হাশরের ময়দানে দাড়িয়ে ছুড়ে ফেলবো
রঙ্গমঞ্চের পোষাক, যেদিন
খুলে ফেলব ভদ্রতার মুখোশ, উম্মোচন করে দেব
সকল কবিতা ও কাব্য রহস্য।

সেদিন আমাকে আর তুমি খুঁজে পাবেনা
আমি হারিয়ে যাব অতলান্তিকের অতলে
তোমার প্রেম আমাকে ছোঁবেনা কখনো।

ভালবাসা পাইনি বলে একদিন বিলাপ করেছিলাম
আমার কান্নাকে তুমি অসহায়ত্ব মনে করেছিলে।
ভেবেছো আমার সবকটি ডানা কেটে
পড়ে থাকব পায়ের নিচে। ভুল -
তুমি ভুল ভেবেছিলে। তাই আজ
সাত আসমান উপর দিয়ে
জিব্রাইলের ডানায় ভর করে আমি এগিয়ে যাচ্ছি
আমি সব মুখোশ খুলে দেব।
প্রিয়তমা, অপেক্ষা করো, দেখা হবে আমাদের
হাশরের ময়দানে, আমি উম্মোচন করে দেব আমার
সকল কবিতা ও কাব্য রহস্য।
 একটু জীবন দাও
জিয়া চৌধুরী

দোহাই, আর বাজিয়োনা
তোমার বেহালার ঐ করুন সুর
আমার সহ্য হচ্ছেনা ।
আমি কাঁদতে পারিনা
আমার চোখে অশ্রু নেই
ঘুমও নেই, নির্ঘুম প্রতিরাত-
তোমার বেহালা শুনে শুনে।
আমায় আর কাদিয়োনা
আমায় একটু হাসতে দাও
একটু প্রেম দাও
একটু জীবন দাও।


তোমাকেই পড়ে মনে
জিয়া চৌধুরী

তোমাকেই পড়ে মনে
নিয়ত যে ঘ্রাণ তুমি বয়ে বেড়াও
তা আমাকে টেনে নিয়ে যায়
পৃথিবীর ওপার পর্যন্ত।
তোমার পেছনে ছুটতে ছুটতে আমি ক্লান্ত
মিন্দানাও থেকে ক্যালিফোর্নিয়া
উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরু, এমনকি
আমি চষে বেড়াই
আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত।
আমাদের বিলম্বিত প্রণয়টুকু
একটু একটু করে নি:ষেশিত
শুধু তোমার অমলিন স্মৃতিটুকু
আর তোমাকেই মনে পড়ে।

সেই জারুল গাছ, সেই স্বাক্ষীটুকু
আমি ঝুলে থাকি, অনন্তকাল ঝুলে থাকব।

Wednesday 7 November 2012

তোমার অপেক্ষায়

তোমার জন্য অপেক্ষার সময়টুকুতে
বসে বসে চিবুনোর জন্য
এক প্যাকেট বাদাম কিনে দিও-
জানি, কিছুক্ষন পরেই তুমি চলে আসবে।
যদি না আস তবে আরো এক প্যাকেট
ছাতিমের ছায়াতলে কিছুক্ষন জিরিয়ে নেব এই ফাঁকে।

তুমি যদি ঘন্টাদুয়েক পরে আস ত মোবাইলে
দরকারী কল গুলো সেরে নেব
তোমার সাথে কাটানোর জন্য
...
তুলে রাখা সময়টুকু অযথা নষ্ট হতে দেবনা।

যদি সন্ধ্যায় আস তো আগেই বলে যেও
ততক্ষনে আমার ল্যাপটপে দু একটা কবিতা হয়ে যাবে
তোমার সামনে দাড়িয়ে -
আমি দৃপ্ত স্বরের কবি হব।

যদি এক দিন পর আস, তো কি আর করা
আমি না হয় একটা দিন অপেক্ষাই করলাম, ক্ষতি কী?

যদি সপ্তাহ , মাস, বছর পরেও আস
তবে চিঠি দিও আকাশের ঠিকানায়
আমি চোখ বুজে পড়ে নেব সব কথা।

আর যদি একেবারে না আস
তবে বিষ দিয়ে যেও
তোমা ছাড়া জীবনের চেয়ে মৃতু্‌ই শ্রেয়।

জিয়া চৌধুরী---০৭-১১-১২, নাংগলমোড়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম থেকে

Sunday 4 November 2012

আমাদের ভালবাসা

১। অন্তরের শুদ্ধতম সময়ের কথাটুকি শুনি
যতটুকু ভালবাসার ঠিক ততটুকুই ভালবাসি
আর ঘৃণাটুকুও জমা থাক, তোমার আমার পূর্নমিলনী দিনে
আমাদেরই ফেলে আসা স্মৃতিটুকু নিয়েই খানিকটা সময় কাটাব।
আমাদের অনাদরে বেড়ে ওঠা প্রেমটুকু প্রশ্নবিদ্ধ নাই বা হল'
আমাদের ভালবাসাটুকু সুখে থাক।



২। তুমি ভালবাস বলেই আমি কবিতা লিখি
তুমি ভালবাস বলেই আমি স্বপ্ন দেখি বেঁচে থাকার
তুমি ভালবাস বলেই আমি বিপ্লবী হয়ে উঠি
তুমি ভালবাস বলেই পৃথিবী মনে হয় একান্ত আমার