প্রিয়তার
মেজাজটা খুব খারাপ। অকারনে খারাপ নয় পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত কারনে খারাপ। দুই
সপ্তাহ পর তার নাচের কম্পিটিশনের ফাইনাল অথচ সে হাসপাতালে। কারন তার ডান পা
টার ভেতরে কাঁচ ঢুকেছে। বড়সড় জাম্বু সাইজের কাঁচ। পায়ের রগ নাকি কেটে
গেছে। ডাক্তার এক কথায় বলেছে নাচ আর হবে না অন্তত এক বছর। এর পরেও নাচতে
পারবে কিনা জানেন না। তবে এটা জানেন এখন যদি নাচতে যায় পায়ের সেলাই কেটে
যাবে। তখন আবার অপারেশন করতে হবে। অবস্থা আরো খারাপ হবে। অবশ্য নাচতে পারবে না
প্রিয়তা। পা ই নড়াতে পারছে না নাচবে আর কি করে। আগের এপিসোডগুলো টেলিকাস্টের
অপেক্ষায় আছে তবে এবার তো লাইভ। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না প্রিয়তা।
ঘটনাটা ঘটেছে গতকাল। প্রাকটিস করতে এসেছিল প্রিয়তা। ওকে এবার কেউ হারাতে পারবে না। ফাইনালের জন্য পেয়েছে কত্থক। সাথে একটু কনটেম প্রোরারি মিক্স করেছিল। ফাইনাল ওরা পাঁচজনে পাঁচ রকমের নাচ পেয়েছে। ভারতনাট্যম, কত্থক, সিনেমা, ওয়েসটার্ন আর বলিউড। এই নাচের কম্পিটিশনটা অন্য গুলোর মত নয়। বেশ ভাল মানের। জিততে পারলে পাবে ১৫ লাখ টাকা, একটা গাড়ি, শিক্ষাবৃত্তি, আরো নাচ শেখার জন্য স্কলারশীপ আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে এগ্রিমেন্ট। প্রিয়তা এবার জিতবে সবাই সে বিষয়ে নিশ্চিত। জাজেস মার্কস আজ পর্যন্ত ওর থেকে বেশী কেউ পায় নি আর ভোট ও সবসময় অনেক পাচ্ছে। তাছাড়া ফাইনালে ও আর ওর কোরিওগ্রাফার শফিক ভাই এমন কোরিওগ্রাফি করেছে কারো বাপের সাধ্য নেই জেতার। নাচটাকে টেকনিকালি আর ইমোশোনালি দ্যা বেস্ট করে ফেলেছে। ওর নাচ দেখে কড়াকড়ি কোরিগ্রাফার শফিক ভাইও কেঁদে দিয়েছেন। লোকটা প্রিয়তাকে খুব স্নেহ করেন। এই কম্পিটিশনে প্রিয়তার জন্যে যা করেছেন শফিক ভাই তা সত্যিই অকল্পনীয়।
অথচ সবার আশা ভেঙে প্রিয়তা এখন হাসপাতালের বেডে। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে ওর পায়ে এই গাবদা সাইজের কাঁচ ঢোকাটা দূর্ঘটনা নয়। একটা প্রোফেশনার কম্পিটিশনের প্রাকটিস রুমে আলো থাকবে না আর ও একটু এগুতেই এই সাইজের কাঁচ ওর পায়ে ঢোকার জন্যে অপেক্ষা করবে এরকমটা হয় না। প্রিয়তা ঘরে আলো নেই বলে শফিক ভাইকে ফোন করে ওর চেয়ারের সামনে জিনিসপত্র রাখতে গেছে তখনি টের পেল পায়ে কিছু ঢুকেছে। অথচ ব্যাথা পেল না। চেয়ারেই বসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
ঘটনাটা ঘটেছে গতকাল। প্রাকটিস করতে এসেছিল প্রিয়তা। ওকে এবার কেউ হারাতে পারবে না। ফাইনালের জন্য পেয়েছে কত্থক। সাথে একটু কনটেম প্রোরারি মিক্স করেছিল। ফাইনাল ওরা পাঁচজনে পাঁচ রকমের নাচ পেয়েছে। ভারতনাট্যম, কত্থক, সিনেমা, ওয়েসটার্ন আর বলিউড। এই নাচের কম্পিটিশনটা অন্য গুলোর মত নয়। বেশ ভাল মানের। জিততে পারলে পাবে ১৫ লাখ টাকা, একটা গাড়ি, শিক্ষাবৃত্তি, আরো নাচ শেখার জন্য স্কলারশীপ আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে এগ্রিমেন্ট। প্রিয়তা এবার জিতবে সবাই সে বিষয়ে নিশ্চিত। জাজেস মার্কস আজ পর্যন্ত ওর থেকে বেশী কেউ পায় নি আর ভোট ও সবসময় অনেক পাচ্ছে। তাছাড়া ফাইনালে ও আর ওর কোরিওগ্রাফার শফিক ভাই এমন কোরিওগ্রাফি করেছে কারো বাপের সাধ্য নেই জেতার। নাচটাকে টেকনিকালি আর ইমোশোনালি দ্যা বেস্ট করে ফেলেছে। ওর নাচ দেখে কড়াকড়ি কোরিগ্রাফার শফিক ভাইও কেঁদে দিয়েছেন। লোকটা প্রিয়তাকে খুব স্নেহ করেন। এই কম্পিটিশনে প্রিয়তার জন্যে যা করেছেন শফিক ভাই তা সত্যিই অকল্পনীয়।
অথচ সবার আশা ভেঙে প্রিয়তা এখন হাসপাতালের বেডে। ওর কেন যেন মনে হচ্ছে ওর পায়ে এই গাবদা সাইজের কাঁচ ঢোকাটা দূর্ঘটনা নয়। একটা প্রোফেশনার কম্পিটিশনের প্রাকটিস রুমে আলো থাকবে না আর ও একটু এগুতেই এই সাইজের কাঁচ ওর পায়ে ঢোকার জন্যে অপেক্ষা করবে এরকমটা হয় না। প্রিয়তা ঘরে আলো নেই বলে শফিক ভাইকে ফোন করে ওর চেয়ারের সামনে জিনিসপত্র রাখতে গেছে তখনি টের পেল পায়ে কিছু ঢুকেছে। অথচ ব্যাথা পেল না। চেয়ারেই বসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।