Showing posts with label জিয়া চৌধুরী'র কবিতা. Show all posts
Showing posts with label জিয়া চৌধুরী'র কবিতা. Show all posts

Sunday 3 April 2011

<সমুদ্র দেখবো বলে ঘরে ফেরা>

প্রহরে প্রহর কেটে যায়-
যাক, তবে আমার প্রহর কাটেনা
সমুদ্র দেখার প্রচন্ড সাধ-
মেটেনা, কিছুতেই না।

তাই নীড়ে ফেরা-
তবে একেবারে নয়,
সমুদ্র দেখবো বলে আমার আজন্ম সাধ
এবার মেটাবোই।

বাসন্তী সন্ধ্যায় সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে
কে তুমি আছো বসে?
ভালবাসার সোনাবীজ ছড়িয়ে
আমার অপেক্ষাতে।

কেটে যাক অপেক্ষার প্রহর-
কেটে যাক দিন
ভাল থেকো সজনী বন্ধু আমার
ভাল থেকো চিরদিন।

স্বাধীনতার হিসাব


চল্লিশ বছর পেরিয়ে আজ হিসেবের খাতা খুলি
কি পেলাম দেশ হতে, আর কি দিলাম এই দেশকে
তা আপন মনেই বলি

বারে বারে স্বাধীন আর পরাধীন হওয়া এই দেশ
বখতিয়ার থেকে শেখ মুজিব
লক্ষ প্রাণের বিনিময়,
তবুও কি মিলেছে কাংখিত স্বাধীনতা?

স্বার্থ ও সংঘাত পদে পদে পরাধীন করে রেখেছে আমাদের
দুবেলা দুমুঠো আহার জোটেনা, জোটে নোবেল
জোটে সুপার পাওয়ারের সুপার থ্রেট
চেয়ার দাও নয়তো বানিজ্য বন্ধ।

আমরা স্বাধীন, আমরা গর্ব করেই বলি
ক্রিকেটে পাকিস্থানের বিজয়ে তাই পাড়ায় মিছিল করি।
আমরা নজরুলের মত উন্নত মম শির হতে পারিনা - তাই
রবী ঠাকুরের মত মাথা নত করি চরণ ধুলার তলে।

আমরা স্বাধীন, কথাটা শুনলেই রুপকথা বলে মনে হয়
দুনেত্রীর চেয়ার টানাটানি আর সংসদে অশ্রাব্য গালিগালাজ
জনগণের মেহনতের পয়সা হয়ে যায় মন্ত্রীদের দামি শাড়ি - স্যুট
আমরা স্বাধীন আজ। এই কথাটা যতবার শুনি ততবার মাথা হেট হয়।

আমারে যে ভালবেসে কাছে পেতে চায়

এ আমার বৃথা আকুতি
আমি জানি
যে আমার নয়,
তাকে পাবার কেন মিছে অভিনয়।

যে চায় উড়তে বন্ধনহীন, তাকে
খাচায় পুরতে চাওয়াটাই আমার বড় ভুল
সোনার খাচায় মজেনি আমার পাখি
রুপালী শিকল ছিড়ে পালিয়েছে দুর দিগন্তে

তাই আজ আমি আমার মত করেই বেচে থাকি
আমার প্রাণের বৃথা আকুতি
যে শুনতে চায়না, বুঝতে চায়না
কেন শুধু তারে পিছু ডাকাডাকি?

যে যেতে চায় - যাকনা
আমারে যে ভালবেসে কাছে পেতে চায়
তার জন্য আমার সবকিছু
উজাড় করে আমি নি:স্ব হবো।

আমার সোনার খাচাঁ আজ খালি পড়ে রয়
আমার পুরোন সংস্কার আর বংশগত গর্বের বলি হয়ে
যে ছিল আমার পুরোন সাথী
আমা হতে অনেক অনেক দুরে সরে যায়।

Wednesday 9 February 2011

আমার পাপ

আমার পাপ
জিয়া চৌধুরী


আজকাল নিজেকে বড় বেশি অসহায় বলে মনে হয় কেন?
ঝরে পড়া পাতার মত, শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষ কান্ডের মত।
এই আমি- কখনো কি কারও জন্য এতটুকু করিনি?
নাকি, যা কিছু করেছিলাম তা বিলীন হয়ে গেছে স্বার্থপরতার চোরাবালিতে।

আমার দীর্ঘশ্বাসেরা আমার সংগী হয়
আজীবন যে আমি নিজেকে অনেক বেশি সাহসী মনে করতাম
আজ আমার চেয়ে ভীতু এই পৃথিবীতে আরেকটিও নেই।
আমার ব্যর্থতা কি আমার পাপের স্বাক্ষী বহন করছে।

আসলেই কি আমি ব্যর্থ
পুত্র হিসেবে, ভাই হিসেবে, স্বামী হিসেবে, বন্ধু হিসেবে।
আমার পাশে সব থেকেও আজ আমি এত নি:স্ব কেন?
কেন আমি সব হারিয়ে হতাশার বেড়াজালে বন্দী?

নষ্ট আমি, এক বুক কষ্ট নিয়ে প্রতিটি দিন রাত পার করি।
আমার কষ্টটুকু বোঝার, আমার বুকের ভিতর জালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া
আগুনটুকু নেভানোর জন্য আমার পাশে কেউ নেই কেন?
কেন আমি আজ এত বেশি অসহায়?

Wednesday 12 January 2011

আমাকে বাঁচতে দাও

আমাকে বাচতেঁ দাও
জিয়া চৌধুরী

১১-০১-১১
আমাকে বাচঁতে দাও
আমি বাঁচতে চাই
তৃষ্ণায় যে বুকের ছাতি ফেটে যায়।
আমার সারা শরীরে ব্যাথা
আমার শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে কেন?
আমাকে বাচাঁও, বাঁচতে দাও।
আমাকে এবারের মত ছেড়ে দাও।
আমি আর কখনো সীমান্ত পার হবোনা
আমি আর কখনো প্রিয় দেশ ছেড়ে তোমাদের দেশে যাবনা।
আমাকে আর একবার বাচতেঁ দাও
আজ সন্ধ্যায় আমি বধু সাজে সাজব
আমার জন্য অপেক্ষা করবো আমার হবু বর
আমাকে তার কাছে ফিরতে দাও।
তোমরা কি মানুষ? নাকি পিশাচ
আমি আধঘন্টা যাবত ঝুলে আছি রক্তাক্ত যন্ত্রনায়
তোমরা পাকি হায়েনার চেয়েও নির্মম, বর্বর
নিরীহ নারীর উপর গুলি চালিয়ে তোমারা বাহাদুর সাজ।
তোমাদের ক্ষমা নেই
আমার স্বদেশবাসী তোমাদের ক্ষমা করবেনা
আমার প্রতিটি রক্তফোটার বদলা তারা নেবেই নেবে।

Wednesday 5 January 2011

চতুর্মাত্রিক

চতুর্মাত্রিক
জিয়া চৌধুরী

-------------------------
চতুর্মাত্রিকে আজ আমরা বন্দি ভীষন
হীরা ভেবে ভুল করে কাচ তুলে নিই
মোহ আর ভালবাসা এক করে দিই
মোহ কেটে গেলে বলি
এত হীরে নয়- দুর ছাই দুটাকার কাচঁ।
অথচ ভালবাসা কেটে যায়না কিছুতেই
জীবনে ও মরণে এক সাথে থাকা।
তবুও আমার কাঁচকেই ভাল লাগে।
হীরা যে অনেক দামী-
বড় বড় শপিং মলের শোকেচে তাকে দেখতে ভাল লাগে।
কাচঁ পাওয়া যায় অতি সহজে।
তাই আমার কাচঁই বেশি প্রয়োজন- বহুমূল্য হীরের চেয়ে।

Wednesday 8 December 2010

গর্জে উঠি আরেকবার

আমি বিজয় দেখতে চাই......
রক্তে রঞ্জিত হওয়া
আমার সবুজ সোনার দেশে
আমি বিজয় দেখতে চাই।

আমি সেই বিজয় চাই
যেখানে আমার সোনার শিশুরা
হেসে খেলে কাটাবে তাদের শৈশব।

আমি সেই বিজয় চাই
যেখানে আমার চপল বালক বালিকারা
দলবেধে স্কুলে যাবে।

আমি সেই বিজয় চাই
যেখানে কিশোরী তরুনীদের মনে
থাকবেনা বখাটের ভয়।

যেখানে বেকার থাকবেনা
যেখানে চিকিৎসার অভাবে
মারা যাবেনা অসহায় বৃদ্ধা
যেখানে সন্ত্রাস, ঘুষ, সুদ ইত্যাদি থাকবেনা।
যেখানে নারী নির্যাতন হবেনা।

আমি এমন এক বিজয় চাই
আসুন সবাই মিলে
গর্জে উঠি আরেকবার।

Sunday 28 November 2010

আসুন একটা কবিতা লিখি

আসুন একটা কবিতা লিখি
রচনাকাল শুরু: ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৫৮

লেখক সংখ্যা: এখন পর্যন্ত-৭৭জন।

(সম্পাদকীয়: আমরা অনেকে মিলে এই কবিতাটি লিখবো..। মন্তব্যের ঘরে আপনিও লিখে ফেলুন এর অংশ হিসেবে কটি লাইন। যা সংযুক্ত হবে মূল লেখায়। মুক্তিকামী মানুষ যেমন লিখেছে বাংলাদেশ। এটি সেরকম একটি প্রয়াশ। আপনিও সামিল হন...............)

( মূলভাবনা: সেবু মোস্তাফিজ)

[sb( লেখক: (২)জীবনানন্দদাশের ছায়া ,(৩) রাজসোহান ,(৪)মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্,(৫) পাহাড়ের কান্না , (৬)লুতফুল বারি পান্না, (৭)সোমহেপি, (৮)দেহপূজা, (৯)রিমঝিম বেষ্ট , (১০) রাজিবুল ইসলাম , (১১)অন্ধ আগন্তুক , (১২) শ্রীমান, (১৩) স্বপ্ন সওদাগর, (১৪)ওরাকল ,(১৫)ইলিয়াস সাগর ,(১৬) বাবুল হোসেইন , (১৭)কোয়ানটাম সায়েনস ,(১৮)শাওন ইমতিয়াজ , (১৯)জাফর বায়েজীদ,(২০)মনপবন , (২১)এবং অথবা আমি,(২২) মনিরুল হাসান, (২৩)নিভৃতচারী ,(২৪) অদ্ভুত শূন্যতা,(২৫) অসময়ের আমি ,(২৬)নুরুন নেসা বেগম ,(২৭) আদনান ফারাদী,(২৮)মুহসিন,(২৯) নীল ভোমরা,(৩০)তানভীর চৌধুরী পিয়েল,(৩১)নাঈম (৩২)জলকমল , (৩৩) নিস্সঙ্গ যোদ্ধা,(৩৪)পাহাড়ের কান্না ,(৩৫) আর.এইচ.সুমন , (৩৬)প্লাস_মাইনাস(৩৭)দুরন্ত স্বপ্নচারী ,(৩৮)ফকির ইলিয়াস, (৩৯)মাসুম আহমদ ১৪ ,(কালপুরুষ) ,(৪১)সৈয়দ নূর কামাল, (৪২)রাঙ্গাকলম,(৪৩)সাইফ সামির,(৪৪)আসাদ /পারেভজ,(৪৫)আকাশদেখি, (৪৬)পঙ্খিরাজ,(৪৭) সজল হাজারি , (৪৮) রক্ত রঙ ,(৪৯) জুন, (৫০) কাঠফুল , (৫১)শাহেদ খান , (৫২)ইসমাইল চৌধুরী , (৫৩)আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়, (৫৪)শামীম শরীফ সুষম, (৫৫)হারুন আল নাসিফ (৫৬)ফকির আবদুল মালেক , (৫৭)জিয়া চৌধুরী ,(৫৮)আজম মাহমুদ ., (৫৯) আজাদ আল্-আমীন,(৬০) মাধব ,(৬১)জাভেদ জামাল,(৬২)প্লেটো,(৬৩)সাদাকালামন,(৬৪) আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন,(৬৫)হোদল রাজা,(৬৬) ১৯৭১স্বাধীনতা,(৬৭) অগ্নিলা, (৬৮)মিয়াজী, (৬৯)আবদুর রহমান (রোমাস),(৭০)আবদুল্লাহ তানভীর,(৭১)সাজেদা সুলতানা,(৭২)হতাশার স্বপ,(৭৩)রাষ্ট্রপ্রধান,(৭৪)মিটন আলম , ,(৭৫)নীল_পরী ,(৭৬) মাহবুবুল আজাদ .................(১০০)এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল ।) )


মূল অংশ
সেবু মোস্তাফিজ

আসুন একটা কবিতা লিখি।
সকলের সম্মিলিত চেষ্টায়
একটা কবিতা; শেষ কবিতা,
যার পর আর কোন কবিতা লেখার দরকার হবেনা।

দক্ষিনের কবি আপনি আসুন
আসুন পশ্চিমের কবি,
পূর্বের যারা আছেন তারাও আসুন
আর উত্তরের আমি এবং আমার প্রস্তুত।

কবিতার দীর্ঘতা নিয়ে ভাববেন না
এই বাংলার এক ইঞ্চি জমিনও ফাঁকা রবেনা।
পুরো মানচিত্র ভরে যাবে বর্ণ শব্দ আর বাক্যে,
তারপর গোটা বাংলাদেশ নিজেই একটা কবিতা হয়ে যাবে।

আসুন দক্ষিনের ভাব-ভালোবাসা নিয়ে
পশ্চিমের গোধলী এবং চিরন্তন সূর্যাস্ত,
উত্তরের সাওয়াতাল বিদ্রোহ আর
তারপর পূর্বের নতুন সূর্যোদয়।

এ আমন্ত্রন নয় এ মিনতি হে কবি
আসুন কবিতায় আঁকি সাহসী বাংলার ছবি।

কবির জেল হয়, হাজত হয় কবিরও হয় ফাঁসি
কবে কোথায় কবিতার ক্ষয় হয়েছে যুগে যুগে?
তাই আসুন সম্মিলিত প্রচেষ্টায়
বাংলার উর্বর গাভিন জমিনে একটা কবিতা লিখি।


২য় অংশ
জীবনানন্দদাশের ছায়া ,

আসুন একটা কবিতা লিখি।
সময়ের দীর্ঘতা কোন বিষয় নয়,
আমরা সবাই মিলে বয়ে যাবো শেষের শেষ পর্যন্ত
একটি কবিতা লিখতে লিখতে।
আর সেই কবিতা রয়ে যাবে বসুধার একোনে-ওকোনে,
দিন থেকে দিনে, রাতে, সময়-অসময়ে।

৩য় অংশ
রাজসোহান

আসুন একটি কবিতা লিখি ,
সবার কাছ থেকে শিখি..........

৪র্থ অংশ
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্

আসুন কবিতা লিখি স্বাধীনতার প্রসব বেদনার,
যে বেদনা একটি জাতিকে মা কে চিনতে শেখায়।

৫ম অংশ
পাহাড়ের কান্না

আমায় এমন একটি কবিতা দাও,
যে কবিতা মুক্তির কথা বলবে,
সংগ্রামের কথা বলবে-
আমার মায়ের কথা বলবে।
মাটির কথা বলবে।
আমি সেই কবিতা লিখতে চাই।।
যে কবিতা শোষিত দূর্বলের ভাষা বুঝবে।
আমি কেমন করে লিখবো?
আমায় ভাষা দাও..
আমি যে লিখতে চাই
আমি যে লিখতে চাই।
এ লেখার কাজ চলুক বছরের পর বছর
কবিতার কোন শেষ নেই।
কবিতা চলতে থাকবে নিরন্তর।

৬ষ্ঠ অংশ
লুতফুল বারি পান্না

এমন একটি কবিতা লিখি...
শাপলা আর ইলিশের ছবি আঁকবে যুথবদ্ধতায়
যেরকম একটি কবিতা
দোয়েল আর বাঘের ছবি আঁকবে একই ব্যঞ্জনায়
৫২ থেকে একাত্তরের প্রতিটি বীরত্বগাঁথা
গড়ে দেবে কবিতার নিটোল সৌষ্ঠব

৭ম অংশ
সোমহেপি

সবাই আসুন সম্মলিত প্রচেষ্টায় একটি কবিতা লিখি
কিষাণ ভাইয়েরা আসুন,কিষাণী বউয়েরা আসুন
শ্রমিকেরা আসুন,কামার কুমার তাতী চামার
আসুন সবাই মিলে আমরা একটা কবিতা লিখি
কবিতার নাম হবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ একবার শুধু একবার পাঠ করলেই
শত্রুর হৃদয় বিদ্ধ হয়ে যাবে,বাংলার বুকে
জোঁকের মত লেপটে থাকা নষ্ট রাজনীতিকদের বুকে
ছিটিয়ে দেয়া যাবে একমুঠো নুন
ঝরে ঝরে পড়ে যাবে এদেশের সব রক্তচোষা উঁকুন।
তাই সবাই আসুন উপর নিচ সব তল্লাটের মানুষ
সবাই মিলে একটি কবিতা লিখি।

৮ম অংশ

দেহপূজা

আসুন সে কবিতায়
ভুবন জমিনে আকিঁ মানবতার ছবি,
হ্রদয়ে লালন করি প্রেমের রবি।

৯ম অংশ
রিমঝিম বেষ্ট

আসুন একটি কবিতা লিখি...
যে কবিতা জীবনের কথা বলবে
যে কবিতা ভালবাসার কথা বলবে;
যে কবিতায় থাকবেনা কোন ছন্দপতন
তরঙ্গায়িত হবে ছিপছিপে তন্বি মেয়ের মতন।
আসুন একটি কবিতা লিখি...

১০ম অংশ
রাজিবুল ইসলাম

আসুন একটা কবিতা লিখি
বন্ধুত্বের কবিতা
যে কবিতা ছুবে পৃথিবীর
সকল আনাহারি মানুষের মুখ।

১১তম অংশ

. ১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:২৩
অন্ধ আগন্তুক

আসুন একটা কবিতা লিখি
বোধহীনতায়, বাস্তবতায় অর্ধচন্দ্র মিলিয়ে
শব্দগুলো আকড়ে ধরুক হাজারখানেক লিখিয়ে।

অংশ: ১২
১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৩২
শ্রীমান
কবিতায় লেখি সেই রক্তাক্ত কাহিনী।

রক্তাক্ত হই কত বার, বার বার
সেলুলয়েডের মত ঝটিতে চলে যায় দৃশ্যপট
ভাষার দাবিতে জমাট বাধা রক্ত ঐ পিচঢালা রাজপথ
ভেঙ্গে দেয়া শহীদ মিনারে উড়তে থাকে ধূলোর সাথে রক্তবিন্দু
ছেড়া পাজামা আর শাড়ীতে লেগে থাকা রক্ত শুকিয়ে প্যাপিরাস
৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।

রক্তাক্ত হই আবার..কত বার, বার বার
যখন কেউ তেড়ে আসে পাটকাঠির মত ফুটফুটে ছেলেটির দিকে
বোনের আঁচল ধরে যখন টান দেয় বখাটে যুবক
নিঃস্পেষিত সমাজের উপর চাপিয়ে দেয়া কলংকের বোঝা কমাতে,
বারবার পরিবর্তন আর পরবির্ধনের মধ্য দিয়ে
বুক পেতে নেই অসংখ্য বুলেটে
মেধাশূণ্য হয় বিদ্যাপিঠ, অরক্ষিত হয় সীমান্ত,
ভেসে যায় রক্তাক্ত লাশ কত ঐ নর্দমার কালচে পানিতে।

এখন আমার বুকের পাজরায় শুকিয়ে যাওয়া রক্তের চিহ্ন
তলাহীন চটিজুতায় উঠে আসে ইতিহাসের ছেড়া পাতা,
অন্ধাকারে শুনতে পাই শীর্নকায়ার দীর্ঘ নিঃশ্বাষ
ছানি পরা চোখে গড়িয়ে যায় অশ্রু ধারা
আর কি দেখা হবেনা আমার সোনার বাংলা
সবুজ শ্যামলিমায় মিলাবে কবে দৃস্টির সীমানা ।।

অংশ:১৩
. ১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৬
স্বপ্ন সওদাগর

আসুন লিখি একটা খাটি কবিতা
চিৎকারে, চিৎকারে উৎসবমুখর একটা কবিতা।
গালাগালহীন চিৎকার!
যার যে রং আছে তার আছড়ের কবিতা।
হাতে হাত, হাভাতের ভাত, আর রং ছড়ানোর কবিতা।
যদি চাই বলতে, তবে বলতে দেবার কবিতা!
আর যদি বলো, তোমরাই ঠিক আমরা পশ্চাৎপদ;
তবে তোমার কবিয়ানায় 'কিন্চিত' অসহিষ্নুতা প্রকাশের কবিতা!
আর 'রং' সেতো থাকলোই প্রতিবাদের জন্য!

অংশ: ১৪
১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
ওরাকল

আসুন একটি কবিতা লিখি, যে কবিতা গাইবে সত্যের জয়গান
মিথ্যার কৃষ্ণগহ্বর থেকে মুক্ত হোক সত্যের আলোক ধারা
সত্যের আলোয় আলোকিত হোক আমাদের বসুন্ধরা।
আসুন একটি কবিতা লিখি, মুটে-মজুর কৃষক কামারের ঘাম দিয়ে;
সবুজ শ্যামল বাংলায় পরাজিত হোক শোষকের কাল হাত
স্বাধীন আকাশে মুক্ত বিহঙ্গ হোক শোষিতের গোপন ইচ্ছে।
আসুন একটি কবিতা লিখি, জীবন ও যৌবনের জন্য
সদ্বজাত শিশু কিংবা রাস্তার ধুলায় লুটান বৃদ্ধার মুখ চেয়ে
সপ্নের ঠিকানা গড়তে এক হোক সপ্নবাজ যুবকের কর্মঠ হাত।

অংশ:১৫
১৯ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৪২
ইলিয়াস সাগর

যে কবিতা হবে- হৃদয় সোপান
অবঘুমে হারাবে না জীবনের গান
অধরা আরতী ঢেলে ভরাবে জীবন
মানবজমিনে হবে- আলোর বপন...

মনোফোনে ভায়োলেন্স; অযাচিত দ্রোহ
মুছে দিয়ে এনে দেবে মানবিক মোহ ।

অংশ:১৬
১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
বাবুল হোসেইন

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতায় থাকবে মানবতার জয়গান,
যে কবিতা মানুষের স্বীকৃতি দিতে পারে
পারে আমাদের অমানবিক সত্তাকে ভেঙ্গে-চুরে একাকার করে দিতে
যার বলিষ্ট হাতের ছোঁয়ায় কদর্যতা রূপ নেবে ভালোবাসায়

আসুন না সেরকম একটা কবিতা লিখি?

যে কবিতা হবে জীবনের মানচিত্র !!

অংশ:১৭
৩. ১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫
কোয়ানটাম সায়েনস

পারবে আমার সাথে যেতে বন্ধু কবিবর?
যদি পার তবে আমি লিখব
আনন্তকাল ধরে লিখব।
সেই কবিতা...তুমিও লেখো আমিও লিখি।

অংশ:১৮
৪. ১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
শাওন ইমতিয়াজ

লিখতে চাই...
চিনতে চাই কবিতা ,কবিতার মাঝে কবি,
ভাবনাগুলোকে করে দেব একাকার।
ছড়িয়ে যাক আলো-আঁধারের খেলা
এই চলমান যাপিত বিশ্বের।

কবিতার এপিঠকে বগলে নিয়ে
হেঁটে যাব অনন্তের পথে।
আর ওপিঠকে ছেঁড়ে দিব অন্তহীন মহাশূন্যে
তারপর হবো বাংলাদেশ।

অংশ:১৯
৫. ১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
জাফর বায়েজীদ

কখনই কবিতা লিখিনি তুবও আসুন লিখি,
তারপরও ইচ্ছে করছে সাহস করে
প্রথম কোন অস্পৃর্শকে ছুয়ে দিতে।

হয়তো এই কবিতাটাই আমার কথা বলবে ...
হয়তো এই কবিতাটাই তোমার কথা বলবে ...
হয়তো এই কবিতাটাই তোমাদের কথা বলবে ...
হয়তো এই কবিতাটাই আমার ভালবাসার মানুষের কথা বলবে ...

আমি জানি, একটা কবিতা পারে না অনেক কিছুই;
কিন্তু যা পারে, তাতে হয়তো এই কবিতাটাই
তোমাকে, আমাকে, আমাদের সবাইকে
কিছুক্ষনের জন্য হলেও ভুলিয়ে রাখতে পারে।
চিনিয়ে দিতে পারে সোদা মাটির গন্ধ।

অংশ:২০
৬. ১৯ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:১০
মনপবন

আসুন লিখি সেই কবিতা
যার জন্য করেছি কত প্রতীক্ষা,
সেই নব ঘন বর্ষায়,সেই অতৃপ্ত চাহনীর পরে
সেই ধুলী ওড়া বাউল বাতাসের তোড়ে
পীচ ঢালা কালো রাস্তায় হারিয়ে
তবু তুমি ধরা দাওনি আমায়।
অথচ আজ কার আহবানে এসেছ!
সে কী এই ভাংগা মন বলে,
সে কী না পাওয়ার বেদনা বলে,
সে কী ব্যার্থতার গ্লানী বলে!
জানি আসে চাদ ভাংগা ঘরেই
আলেয়ার দেবী হয়ে,
তুমি ও এলে শেষে
সব হারার সব হয়ে
যেমন আসো।
তবু এসো লিখি একটি কবিতা দুজনে
বাংলার প্রান্তরে...........

অংশ:২১
এরং অথবা আমি

আগন্তুক আমন্ত্রন..........
আসুন এখানে, দেখুন এই অসময়ে আমরা জেগে আছি
আপনার দেখা সেই বিকেলটা এখন আর নেই
নিভে গেছে অন্ধকারের সাথে সাথে
দক্ষিনা হওয়ার মিছিল আর নেই।

এখন রাস্তা ঘাট পুকুর পার বাড়ীর উঠোন
বদলে দিয়েছে নিছক সচেতনতার বিজ্ঞাপণ
বদলে গিয়েছে কতকাল গতকাল আর নেই
এই চোখে ঠিকই সব গেথে আছে কাল হয়ে
আবারো সকাল হবে, আকাশে নীল জাগবেই।

আসুন এখানে নানা রঙের বর্ষা ভেজানো তরী
আর ভড়া নদীর বাঁকা পার সাজানো জলে
আর কিছুক্ষন না হয় জেগে দেখি কি হয়
কতটা বদলে যেতে পারে মানুষ নাকি সময়?
আসুন এখানে, দেখুন এই অসময়ে আমরা জেগে আছি

অংশ:২২

২০ শে মে, ২০১০ রাত ১:৩৮
মনিরুল হাসান

আসুন সেই কবিতা লিখি
যাতে রবে আলোর আশা ভরা বাংলার গান,
দুই হাতে বিশ্ব জয়ের সকল সমাধান।
ভবিষ্যতের দিন ভরা থাকে যেন সুখী মানুষের তালিকা,
আজিকে যাহারা রয়েছে বালক এবং রয়েছে বালিকা।
তারও লিখবে বাংলাদেশ শিরনামে কবিতা।

অংশ: ২৩
২০ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮
নিভৃতচারী

আসুন একটি কবিতা লিখি, যার স্বপ্ন দেখেছিলাম এক নতুন প্রহরে
কোন এক নাম-না-জানা শিশুর আধো আধো বোলে,
হয়তবা কোন এক চঞ্চলা-চপলা কিশোরীর নিষ্পলক চোখে
অথবা এক জ্যৈষ্ঠের দুপুরে ঘর্মাক্ত কুলির কঠোর বাহুতে,
কিম্বা ছেলেহারা কোন এক দুঃখিনী মায়ের অশ্রুসজল বিলাপে
লেখনি আমার আজ দুর্বার, গাইছে শুধু তাদেরই জয়গান ।
হিংস্র হায়েনারা চেয়েছিল মোদের কন্ঠ স্তব্ধ করতে, পেরেছে কি?
পারেনি, পারবেও না কোনদিন, সদা জাগ্রত মোদের প্রাণ
রয়েছি চিরশ্বাশত, চির অক্ষয় হয়ে, শত বাঁধা পেরিয়ে
একটি স্বপ্ন দেখব বলে, একটি কবিতা লিখব বলে ।

অংশ: ২৪
২১ শে মে, ২০১০ রাত ১২:২৩
অদ্ভুত শূন্যতা

আসুন একটা কবিতা লিখি
একটা স্বপ্নের ছবি আঁকি
সমবেত ইচ্ছের অক্ষর বুনে দিই
আকাঙ্খার পাললিক মৃত্তিকায়,
দামাল কৃষকের মত
তারপর, পিঠে রোদ মেখে
পরিচর্যা করি সমূহ মাঙ্গলিক ফসল।
ঐশ্বরীক ধ্যানের মত গভীর মমতায়
লালিত হবে আমাদের কবিতা,
খরা ও ব্ন্যার অবহেলায়
যতই আহত হোক
আমাদের যুথবদ্ধ শুশ্রূষায়
আমারা পৌছবোই নবান্নের উৎসবে।

অংশ:২৫
২১ শে মে, ২০১০ রাত ২:২৩
অসময়ের আমি

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা হবে স্বপ্নহীনতায় স্বপ্নের ফেরিওয়ালা......
যে কবিতার ছন্দে থাকবে বিদ্রোহের ডাক
সকল অন্যায় আর অনাচার জ্বলে পুঁড়ে যাক।

চলো কবি না হয়েও একটা কবিতা লিখি
যে কবিতায় থাকবে আন্দোলনের আহবান
যে কবিতা পড়ে থমকে যাবে খুনীর পিস্তল,
আর মানবতাবিরোধিরা গাইবে মানবতার গান।

আসুন একটা কবিতা লিখার স্বপ্ন দেখি
বুকের পাজর নিংরিয়ে একটা কবিতা লিখি
কবিতায় থাকবে ঘৃণা , মান অভিমান, আর ভালবাসা,
মৃত্যুর পথযাত্রীরাও দেখবে বাচার আশা

এমন একটা কবিতা লিখতেই হবে
যে কবিতা আমাদের স্বপ্ন দেখার স্বপ্নে রবে।

অংশ:২৬
২১ শে মে, ২০১০ সকাল ৮:৫১
নুরুন নেসা বেগম

আমরা যে কবিতা লিখবো
থাকবে না বিষন্নতার ছাপ, জীবন কে ঘিরবো
ভালবাসায়, ত্যাগে, নিষ্ঠায়, সততায়,
কর্মে উজ্জীবিত হবে আগামী প্রজন্ম মমতায়।

অংশ:২৭
২১ শে মে, ২০১০ ভোর ৬:৪৬
আদনান ফারাদী
আসুন একটা কবিতা লিখি...
কবি -কবিতা লিখি কত সময় অসময়
নেশাখোরের খরস্রোতা নেশায় কত কলম ভাঙ্গে
কত রজনী জেগেছি ছিঁচকে চোরের মতন
রাতের স্নিগ্ধ সমীরণের কোল থেকে ছেঁকে নিতে দুটো চরণ

ওরা কত আপন ছিল কবির
দ্বিতীয় হৃদয় যেন ধুকপুক করত তুফানমেলের বেগে
ছাড়িয়ে যেত মানবীর হিমালয় কোমল
কবির মুচকি হাসি, ওরাও মিটিমিটি হাসে

তারপর......
বহুদিন মন কষে গিয়েছে
মরেছে সে বারবার-ওরাও
বিরহের বেদনায় কবি গুমরেছে। ভেঙেছে।
দ্বিতীয় পুনরুত্থানের অপেক্ষায়!
বাংলাদেশ শিরনামে নতুন কবিতা লেখার অপেক্ষায়....
আসুন বন্ধুরা সবাই মিলে সেই কবিতা লিখি।

অংশ:২৮
২১ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:১৯
মুহসিন

আসুন একটা কবিতা লিখি তেমনই
তাবৎ বাংলার জনগণ অংশ নিবে তাতে
পৃথিবী অবাক চোখে তাকিয়ে রবে
কিনা পারে বাংলার দামাল সন্তানেরা?

এদেশের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে পারে
রচনা করতে সুন্দর ভবিষ্যৎ
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে দিতে
গড়ে এক নতুন জগত।

কি আসে যায়, কবিতার মর্মার্থ কি,
যখন কবিতা লিখবো বলো আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি!

আজ বাংলার সাহসী সন্তানেরা
গর্বভরে তাকিয়ে দেখো
শত সহস্র কবি অকবি মিলে
বিনেসুতার কি অপূর্ব মালা আমরা তৈরী করে রেখেছি।

আসুন আজ তেমনই এক কবিতা লিখি,
আমাদের হৃদয়পটে, বাংলার এই মনভূমে।

অংশ:২৯
২১ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
নীল ভোমরা

আসুন হে কবি
সবাই মিলে আঁকি সেই ছবি
সততা শ্রম আর মেধার রঙে
একটু একটু করে গাঁথি
সবুজ জমিনে লাল সুতোয়
যেমন বেনারসি বোনে তাঁতী।

অংশ:৩০
২১ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
তানভীর চৌধুরী পিয়েল

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা পূর্ণ হবে অসীমে পৌছে।

অংশ:৩১
২১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
নাঈম

আসুন সবাই একটি কবিতা লিখি
যে কবিতায় আঁকা হবে
সুখ, দুঃখ আর জীবনেরই ছবি।
কবিতা দিয়েই দেখব মোরা
জগত-সংসার
কবিতা নিয়েই হাসব মোরা
খুলব স্বপ্নদুয়ার।

অংশ:৩২
২১ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬
জলকমল

আসুন একটা কবিতা লেখি তেমনই.........
প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ গড়ার হাতিয়ার হবে যেটি.....


একটি কবিতা নয়, একটি হাতিয়ার
একাত্তুরের চেয়েও ভয়াবহ যার গতি
শত্রুর বুক ভেঙ্গে করে চুরমার
কোটি যোদ্ধা মেরে ফেলে করে নিরস্ত্র নৃপতি।

প্রতিবাদ নয় প্রতিরোধ হবে সে কবিতার প্রান,
অন্যায় আর জুলুমশাহীর মসনদে দেবে হানা,
মিথ্যাকে ছুড়ে ফেলে গাবে সত্যের জয়গান
প্রতিবাদী হবে একা হলেও শুনবে না কারো মানা....।

আসুন একটি কবিতা লেখি তেমনই.....

অংশ:৩৩
২১ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪
নিস্সঙ্গ যোদ্ধা

আসুন একটা কবিতা লিখি ...

যে কবিতার ছন্দ না থাকলেও,
পড়তে লাগবে বেশ,
যে কবিতা লিখবো আমরা,
পড়বে বাংলাদেশ।

অংশ:৩৪
২১ শে মে, ২০১০ রাত ১১:৪০
পাহাড়ের কান্না

আমায় এমন একটি কবিতা লিখতে দাও,
যে কবিতা মুক্তির কথা বলবে,
সংগ্রামের কথা বলবে-
আমার মায়ের কথা বলবে।
মাটির কথা বলবে।
আমি সেই কবিতা লিখতে চাই।।
যে কবিতা শোষিত দূর্বলের ভাষা বুঝবে।
আমি কেমন করে লিখবো?
আমায় ভাষা দাও..
আমি যে লিখতে চাই
আমি যে লিখতে চাই।

অংশ:৩৫
২২ শে মে, ২০১০ রাত ১২:৩০
আর.এইচ.সুমন

আসুন আমরা একটা কবিতা লিখি..
যে কবিতা দেশ মাটি ও মানুষের কথা বলে..
যে কবিতা আমাদের মনুষত্ব্যকে জাগিয়ে তোলে..
আসুন আমারা একসাথে সেই কবিতা লিখি..
যে কবিতায় সবুজের মায়া মাখা..
যে কবিতায় নদীর পাড়ের বটের ছায়া ঢাকা..
যেখানে বসে ক্লান্ত কৃষক একটু প্রশান্তি খোজে..
যেখানে বসে রাখাল বাঁশিতে সুর তোলে..
আসুন আমরা এমন একটা কবিতা লিখি..
যেখানে থাকে মায়ের আদর বাবার শাসন..
ভাইয়ের ভালবাসা আর বোনের খুনসুটির পরশ..
আসুন আমার সেইদিনের কবিতা লিখি..
যেদিন মানুষ অনাহারে থাকবেনা..
একফোটা দুধের জন্য ছোট্ট শিশুটি ..
মায়ের বুকে আচড় কাটবেনা..
প্রচন্ড শীতে কোন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কাঁদবেনা..
একটুকরো গরম কাপড়ের জন্য..
আসুন আমার একটা সুন্দর কবিতা লিখি..
একটা সুন্দর পৃথিবীর কথা ভেবে..
যে পৃথিবীতে মানুষ বাঁচবে মানুষের মত..
যেখানে থাকবেনা কোন দুঃখ কষ্ট..
মারামারি হানাহানি আর যুদ্ধ বিবাদ..
আসুন আমারা বাঁচতে শিখি..
এই কবিতার মত সরল ভাবে..
যেন সবাই মোদের মানুষ ভাবে..

অংশ: ৩৬
২২ শে মে, ২০১০ রাত ১২:৩৩
প্লাস_মাইনাস

আসুন একটা কবিতা লিখি
মানুষ হয়ে বাঁচার কবিতা
সবার উপর মানুষ সত্য
এই কথাটা বলার কবিতা
আসুন একটা কবিতা লিখি
মানুষের কবিতা...

অংশ:৩৭
২২ শে মে, ২০১০ রাত ১:২১
দুরন্ত স্বপ্নচারী

আসুন একটি কবিতা লেখি
যে কবিতা সীমানা পেরিয়ে যাবে
যে কবিতায় দূর্বাঘাসের গন্ধ রবে।

আসুন একটি কবিতা লেখি
যে কবিতা সবুজের বুকে সিঁদুর রাঙাবে
যে কবিতায় স্বপ্ন রবে।

আসুন একটি কবিতা লেখি
যে কবিতা পদ্মার জল হবে
যে কবিতায় একাত্তরের স্বপ্ন রবে।

অংশ:৩৮
২২ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:০১
ফকির ইলিয়াস

একটা কবিতা লিখে যাবো..
এবং এই শব্দের আঙুল রেখে যাবো তোমাদের জন্য , হে প্রজন্ম
হে ভোরের ফেরিঅলা, দূর্বাঘাসের আলোয় যে গ্রাম ধরে রাখে
আমাদের বুকের ওজন। ভালোবাসায় যে মানুষ হাত ধরে , শক্ত
মাটির। বেয়ে যায় নৌকোর ধ্যান , মাঝি । নেমে আসে কালের
সকাশে প্রেম, ফেরারী নদীর।

অংশ:৩৯
২২ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:০৩
মাসুম আহমদ ১৪

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা ভাত-মাছের সতিন হবে
ক্ষুধা মিটাবে অন্যদিকে ক্ষুধা বাড়াবে ।

অংশ:৪০
২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৪৯
কালপুরুষ

জানি-
খুব কষ্টে আছেন, খুব হতাশায় আছেন।
এ'ও জানি পেটে ক্ষুধার জ্বালা আছে, মনে ক্ষোভ আছে।
রুগ্ন দুটি হাতে ভিক্ষার থালা,
ঐ হাতে কলম ধরার কোন বাসনা নেই-
তবুও আসুন একটি কবিতা লিখি।
নাহ্, পয়সার বিনিময়ে নয়- বিবেকের তাড়নায় একটু লিখি।
প্রতিবাদের ভাষা যদি হয় কবিতা-
তবে রাজপথ হয়ে উঠুক কবিতার খাতা
ভাঙ্গা ইটের টুকরো হয়ে উঠুক প্রতিবাদি কলম
আঁচড়ে আঁচড়ে লিখে যাই বুভুক্ষ মানুষের না-পড়া কবিতা।
এই কবিতা কোন বইয়ে ছাপা হবেনা জানি-
এই কবিতার কোন প্রচ্ছদ নেই-
এই কবিতার বিবর্ণ মলাট ওল্টালেই দেখবেন
লাখো মানুষের করুণ মুখের প্রতিচ্ছবি।
আমার দেশ আমার কবিদের দেশ-
আমরা রাজপথে কবিতার পতাকা ওড়াই-
গুলি খাই, রক্তাক্ত হই, তবুও সুযোগ পেলেই
রাজপথে কিংবা দেয়ালের গায়ে কবিতা লিখে যাই।

অংশ:৪১
২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:০৮
সৈয়দ নূর কামাল

আসুন একটি কবিতা লিখি
পদ্মা মেঘনা কর্ণফুলির স্রোতে বয়ে চলা
হাজার বছরের ইতিহাস আঁকি
বদ্বীপীয় ঐতিহ্যে লালিত গেরুয়া বসন
বাউল সুরের উড়াল পাখি

আসুন একটি কবিতা লিখি
সবুজ বসনা বাংলা মায়ের শাড়ির তুলি
সোনার হরফে ঝুলিয়ে রাখি
পনের কোটি সন্তানের ভালোবাসা-সিক্ত
মোহময়ী যে মায়ের আঁখি

আসুন একটি কবিতা বলি
মহাকালের প্রতিটি ক্ষণকে বর্ণমালায় গেঁথে
জীবনের ক’টি শব্দ বুনি
ছন্দ-গন্ধে সাজিয়ে তুলি
ঘাম-চিকচিকে শরীরের দেহরেখা
ভাটির ইটের সাথে সাথে তপ্ত-তনু
হনুফা বেগমের দিন-পাঁচালি

অংশ:৪২
২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
রাঙ্গাকলম

আসুন একটি কবিতা লিখি সবাই মিলে
ধ্বংসের কবিতা,
শোষনের রাজ্য ধ্বংসের কবিতা
পায়ের তলায় শোষনের তালিকা ফেলে
আসুন সবুজ ঘাসে মানবতার কবিতা লিখি সবাই মিলে।
কবিতার চাষ হওয়া দরকার
সময়ের প্রয়োজনেই কবিতা।

পায়ের তলায় পড়ে থাকা রক্ত ভেঁজা জমিতে
লাগুক কৃষকের চোখ
লাগুক লাঙ্গল কাঁদা জলের ছোঁয়া।

দক্ষিণা হাওয়ার প্রশান্তি, উত্তরের লু-হাওয়া
পশ্চিমের অন্ধকার ভয় আর পূবের আশার সূর্যোদয়
মোটের উপর যার হাতে যা আছে
সেটাই হোক কবিতার সম্বল।

কবিতা বলুক নিজের ভাষা
তিল না ধরা সোনার তরি হোক বাংলার মাটি
প্রতিটি যুবক, জনগণই হোক
কবিতার এক একটি প্রতিবাদী ধ্বনি,
হয়ে উঠুক তিতুমীরের হাতের লাঠি
প্রতিটি হৃদয় হয়ে উঠুক দুর্গ, কেল্লা।



অংশ:৪৩
২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
সাইফ সামির

এখনই সময়...
আসুন শত হাত মিলিয়ে
একটি কবিতা লিখি...
যার অক্ষরগুলো হবে
সত্য, স্বাধীন, সুন্দর!

তোমাকে কবি না হলেও চলবে
একটি মানুষ - হ্যাঁ
ভেতরে-বাইরে একটি মানুষ হলেই
তুমিও লিখে ফেলতে পার
মানুষের জন্য কবিতা!

তোমার সাধারণ ভাষা
অসাধারণ হয়ে উঠবে
যদি পার নুয়ে পড়া মাথাটি
আকাশ পানে ফেরাতে
আকাশের বিশালতা দুচোখে মেখে
বাতাসের গভীরতা ফুসফুসে ভরে
যদি চিৎকার করে উঠতে পার
তোমাকে যারা শোষণ করছে
তাদের চোখে তাকিয়ে
ব্যস, তোমার এই প্রতিবাদী
রূপটি হয়ে উঠবে চমৎকার একটি কবিতা
আর অন্তমিলের জন্য আমরা তো আছিই!

মনে না পুষে আজই লিখে ফেল কবিতাটি
তরতাজা শব্দের শোরগোল উঠুক চারদিকে
আমরা মানুষেরা মানুষের জন্য লিখবো
শত কবিতা মিলিয়ে একটি মহাকবিতা!

অংশ:৪৪
২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
আসাদ /পারেভজ

কবি হওয়ার বাসনায় নয়-
নয় কোন মেকী ফানুষের লোভে
আসুন একটি কবিতা লিখি
এক খাঁটি মানুষের ক্ষোভে । ।

সুকান্তের মত কিংবা নজরুল
প্রেরনা যোগাক অগ্নী শপথ
পর জনমের ভুল । ।

গান্ধীর অহিংসা কিংবা
সূয সেনের রক্তের দামে
আসুন একটি কবিতা লিখি
কোটি মানুষের ঘামে । ।

অংশ:৪৫
২৩ শে মে, ২০১০ রাত ১:৫৩
আকাশদেখি

আসুন এমন একটা কবিতা লিখি,
যে কবিতা স্বপ্ন দেখায়,
একটা নতুন দিনের...
বাঁচতে শেখায়
নতুন করে।
আমার এই দেশের জন্য
এই কবিতা ছাড়া আর কিবা দিতে পারি?

অংশ:৪৬
২৪ শে মে, ২০১০ রাত ১২:৩৫
পঙ্খিরাজ

এই দেখুন,
পিঞ্জিরে জমেছে পূর্বজদের হাড়
সবুজ মাটি যারা রাঙিয়েছিলো রক্তে
আকাশের সূর্যটা ছিনিয়ে এনেছিল পরম স্পর্ধায়
দীপ্ত স্টেনগানে খইয়ের মতো ফুটেছিল শব্দরা
কি এক আবেগে উন্মাতাল
আসুন কবিতায় আজ তার কথা লিখি, তাদের কথা লিখি
একটা মেয়ে বিদ্যালয়ের চৌকাট মাড়ায় নি কখনো
অথচ দেখুন
সুইয়ের প্রতিটি নিপুন খোচায় কি অদ্ভুদ
ডলারের মোহ একে দেয়
যাপিত ক্লান্তির যাপনে
তার সুকটিন বাহু যুগল
টেনে নিয়ে চাকা
শতাব্দির ট্রেনে তুলে দিয়েছে বিশ্বাসের গতি
অথবা ভাবুন একবার তার কথা
রক্তে টগবগে বিদ্রোহ নিয়ে
যে ক্লান্ত তরুন সারা রাত,
সারারাত স্বপ্ন বুনেছে নরম হাতে
সিগারেটে সুখটান দিয়ে পিষেছে নির্মম
আসুন কবিতায় আজ তার কথা লিখি, তাদের কথা লিখি

আসুন একটা কবিতা লিখি স্বপ্নের,
স্বপ্নভাঙ্গার আর স্বপ্ন পতনের
পাহাড়ের সেই মেয়েটার কথা মনে আছে
চোখে গাঢ় কাজল আঁকতো সে
মল পায়ে ঝর্নার মতো নেচে যেতো অবিরাম
প্রতিবাদে মাঝে মাঝেই যেন হতো ক্ষুদ্ধ কর্ণফুলী
ভাসিয়ে চারধার কি হিংস্র আবেগে
জড়াতো যেন অজগর প্রায়
গিলে নেবে আমাদের সমস্ত মুখোশ
সে মেয়েটি, আজ ধর্ষিত, মৃত
আসুন কবিতায় আজ ক্রন্দনের উৎসমূখ আঁকি

অংশ:৪৭
২৪ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
সজল হাজারি

একটা কবিতা লিখি
যে চিরকালই গঙ্গার পানি চাইবে
সে ছোট্ট বাচ্চা নয়,টিপাই মুখ বাঁধ বুঝবে
যে রাজনীতিকের ভাসন লেখা পাতা নয়
সে হবে ধারাপাত,
সে একা রাজপথে দাড়িয়ে রুখে দেবে রুক্ষতার জলকামান
যে ছিড়ে দেবে নষ্ট পুলিশের বুকপকেট
যে হবে না কোন সরকারী কেরানীর পেনশন কাটা কলম
যে বলবে শুধু আমাদের ভালবাসা
আমার বাঙালি'র দুখসুখকথা।

যে হবে না কোন ধনী দুলালের তীব্র গতিতে চলা গাড়ীর
কান ফাটা সিডি প্লেয়ারের গান
হবে না সে কোন মেজবানের টেবিল কুড়ানো খাবার
তার থাকবেনা কলিং বেল টিপার দু:সাহস
সে তার স্বভাবের রাজ পুত্র
সে দরজা ভাঙবে।
হৃদয়ে হৃদয় বাঁধবে...এতটুকুন নিশ্চিত।

সে জোছনা দেখবে
হাঁটু পানির জোছনা, বন বাদারের জোছনা
সাগর পাড়ের জোছনা
হিজলের লম্বা ফুলে দোলনা চাপিয়ে, সে জোছনা দেখবে
উদভ্রান্তের মতো ছুটবে, আর বাতাস খাবে
তারে বাধা দিসনে ভাই
সে হবে বাধাহীন বেদুইন।

সে হোঁচট খাবে ছন্দে
রূপে অলংকারে
সে ধরা পড়বে বাসের পুরানো টিকিটে
তার মন পরে রইবে গাঁয়ের সে পুকুর পাড়ে
ভর দুপরে , ভুট্টার কচি মাচাতে হঠাৎ ভারী কামড়ে বসাতে দাঁত দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কথা,সাপুরের হাতের ইশারায় গোখরা সাপের নাচন,কাঠের থ্রি নট থ্রি নিয়ে কবর নাটকের রিহার্সেল অথবা ভার্সিটি বাসে চড়তে চড়তে জানলার বাইরে সুন্দরী তটিনীর বাহাসে ..........।
তবে সে গঙ্গা ব্যারেজ বানাবে
বৈশাখে ঢোল ফাটাবে
বুকের রক্তাক্ত ব্যালট নিয়ে রাজনিতিক কে বলবে "এবার চোষ"
তবে সময় হলে আমি তোমার মাথা ভাঙ্গবো....এটা নিশ্চিত
চেয়ে দেখ আমাকে..আমি কে!
আমি চিত্রগুপ্তের খাতা।

অংশ:৪৮
২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
রক্ত রঙ

আহবান জানাই একটি কবিতা লেখার
অক্ষরের পরে অক্ষর সাজিয়ে সূনিপূন এক ভাষ্কর্য

জীবনের আশাগুলো এখনো তলানীতে ঠেকেনি
যদিও বেঁচে আছি কাগজ-কলমে
অন্ধকার মুহূর্তগুলো এখনো স্বাধীনতা পায়নি
তবুও ভবিষ্যত ভেবে আঁধারে থাকি কিছুক্ষন
অভূক্ত সময় গননা থামেনা।

অসাড় বোধ গুলো ক্ষনিকের ভালবাসা জন্ম দেয়
মৃত হতেও বেশি সময় নেয় না
অক্ষমতা গুলো মাঝে মাঝে প্রতিবাদ জানায়
কিছুটা সময় অতীতে কাটে শৈশব বেলায়
বেঁচে থাকার আশা গুলো কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়।


সময়ের নিষ্পাপ সাক্ষী হয়ে থাকা অক্ষরের মাঝে
যত্ন করে তুলে রাখি বিবেক আর বোধ

অংশ:৪৯
২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৪:৫৪
জুন

আসুন একটা কবিতা লিখি
কিন্ত বিষয়টা কি নিয়ে বলুনতো ?

সেখানে কি বলবো আমার দেশের মাটির কথা!
যেইখানেতে লুকিয়ে আছে কত করুন গাথা
মায়ের চোখের পানি আর বাবার হাহাকার,
সামনে ছেলের লাশ পড়ে রয় সকল অন্ধকার।

সামনে তবু তাকিয়ে থাকি আলোর রেখার আশায়।
নিশ্চয় সব যাবেনা মিশে রাঙা পথের ধুলায়।
সেই আশাতেই বুক বেধে রই সেই আশাতেই বাঁচি
যাইনি মরে আমরা যারা, সেই আশাতেই আছি!

অংশ: ৫০
২৬ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:১১
কাঠফুল

কবি নই তবুও কম্পিত বক্ষে
সামিল হলাম মিছিলে
আসুন আমরা লিখে যাই
অবিরাম সহস্র হাতে
স্রোতস্বিনীর মতো চঞ্চল
একটি কবিতা যা, নিরন্তর
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে
সমাজের যতো ক্লেদ ও কলুষ ..অংশ: ৫১
২৬ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:৫১
শাহেদ খান

আমি পুবের বাতাস....

শৈলচূড়ার ওপার থেকে মাতাল আবেগে ছুটে আসা
কাপ্তাই হ্রদের শান্ত বুকে সাঝেঁর মায়ায় অবাধ ভাসা
এলোপাথারি সোঁদা মাটির ভেজা-করুণ গন্ধে ঠাসা
এক পশলা বাতাস...

হে উত্তরের উত্তাল সুর
কবি আর কবিতার ডাক শুনে ছুটে আসা মোর এতদূর...

এসে যে স্তব্ধ আমি !
চমকে গিয়ে থমকে যাওয়া দমকা আমি হঠাৎ থামি !

কত যে গল্প বলার ছিল,
তোমার কাছে
তোমাদের কাছে-
কাঁচবালিকা'র করুণ আর্তি, চাপা-কৈশোর-কাহিনী
শেষ বিকেলের সোনাঝরা রোদে ভেসে আসত যে রাগিনী
সবটুকুই যে বলতে এসেছি
তোমাদের এ সভায়...

আরো কত-শত গল্প আমার
পুবের দেশের গল্প !
সবুজ পাহাড়চূড়ার গল্প, নীল সাগরের ঢেউয়ের ফেনা
সাংগুর পাড়ে শেষ প্রহরে ঝরে পড়া শেষ শিশিরটুকুর
সকরুণ কান্না !

কোথায় কি বলব আর,
তোমাদের কাছে, এযে দেখি আছে, ঢের বেশি সম্ভার...

বিষ্ময়ে রই চেয়ে
পুবালী তান মোর হয়না ছড়ানো - তোমাদের ঘ্রাণ পেয়ে

সীমানার কোনও সীমা নাই
জানি; তবু তো থামতে হয় -
কবি তার এই কবিতার তাই
লাগামটা টেনে রয়...

পুবের গল্প শুনতে হলে
আমার দেশেই এসো
তোমাদের মনে এত ভালবাসা
আমায় একটু বেসো?

অংশ: ৫২
২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১১:৩২
ইসমাইল চৌধুরী

কবিতা লিখবো বলে গাঁট বেঁধে বসে পড়েছি ল্যাপটপে
ভুলতে বসেছি নাওয়া খাওয়া আর প্রিয়তমার মুখ,,. দিনাতিপাতের
ক্লান্তি কিংবা ছোট্ট সোনামনির আদুরে ডাক.. "বাবা খেতে আসো... আমি
না খেয়ে বসে আছি তোমার জন্য" সবই বিস্মৃতির অতলে
ক্রমশ:ই বিলীন হয়ে যাচ্ছে।.

আজ কবিতা লিখতেই হবে... নজরুলের ভোরের পাখির মতো
ডেকে ঘুমের বাড়িতে লাগাতে হবে আগুন,.. না খেয়ে একটি শিশুও ঘুমের
নিবিঢ় কোলে ঢলে পড়বে না... তার বাবা দু'' মুঠো ভাতের জোগাড়
করতে পারেনি ভাগাড় থেকেও...

জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে অনেক আগেই... মহাশুন্য
ছাড়িয়ে যাবে- এই তার চাওয়া.
তোমার আদুরে ডাকে আমি সাড়া দেই কি করে বলো.. বাবা আমার
তোমায় কোলে তুলে নিয়ে গোগ্রাসে গিলবো সুস্বাদু
সব আয়োজন. মনোহর তরকারী.. পায়েস... পোলাউ... কোর্মা
ভাবতেই ঘেন্না লাগছে...
এতো নীচে নামবো বলে মহান প্রভু আমাদের গড়েছেন
মানুষ করে! আশরাফুল মাখলুকাত!!
না বাবা মানুষের কবিতা আজ আমায় লিখতেই হবে।.

অংশ: ৫৩
২৭ শে মে, ২০১০ রাত ১১:৪৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়

এসো সবাই মিলে এক কবিতা লিখি
নতুন এক পথ রচনা করি;
সবার আমিত্ব কে ঝেড়ে ফেলে
সৌহার্দ্যের ঝান্ডা ধরি ।
কবিতায় বঞ্চিতদের কথা বলি
যাদের কারনে আমাদের এই আমিত্ব;
আর তারা রয়ে গেলো চিরবঞ্চিত ।

অংশ: ৫৪
২৮ শে মে, ২০১০ রাত ১২:১৬
শামীম শরীফ সুষম

একটি কবিতা হয়ে উঠুক একটি বাঁধনভাঙ্গা গান
আমার ভায়ের শেকল ছেঁড়া রাঙা দু'চোখ
একটি কবিতা বলুক আমার বুকে জমানো না বলা শব্দগুলি
আমার সব সত্যগুলি অক্ষরে মুক্ত হোক

অংশ:৫৫
২৯ শে মে, ২০১০ রাত ৯:৫৯
হারুন আল নাসিফ

আসুন একটি কবিতা লিখি
যে কবিতা আমাদের আশান্বিত করবে
শেখাবে মুর্খতা থেকে মুক্তির মন্ত্র
যে কবিতা আমাদের ভেতরে বপন করবে
মনুষ্যত্বের বীজ

অংশ: ৫৬
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১
ফকির আবদুল মালেক

আসুন কবিতায লিখি....
গণতন্ত্র! এক উল্লাসিত আর আনন্দঘন গান আমার।

গনতন্ত্র! এক উল্লাসিত আর আনন্দঘন গান আমার।

আমাদের সন্তানেরা যারা আমাদের নাগালের বাইরে বা ভিতরে
যারা এখানে বর্তমান আর যারা ভবিষ্যতের
তাদের প্রতি একটি গান গাইতে আমি প্রস্তুত-
বলিষ্ট আনন্দ সংগীত-অহংকারী, বহু আকাঙ্খিত।

আমি আমার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি উইল করে যাব সন্তানে
যার উচ্চারণে তারা পথ চলবে এবং
হে প্রতিক্রিয়াশীল! তোমার গানতো ডাকাতিয়া
আর অপরাধী তোমার পদচারণা,
আমি তোমাকে ছেকে নিব আমার আপন ছাকুনিতে
আর আমি তোমাকে সাথী করব অন্যদের যেমন করি।

আমার কবিতা সত্যিকারের ঐশ্বর্য্য তৈরী করবে
আমার শরীর আর আত্মার অনুগত থাকবে,
এগিয়ে যাবে আর মৃত্যুজয়ী হবে।
আমি আমার আমিত্ব সকলের মাঝে বিলিয়ে দেব
এবং অনন্য ব্যক্তিত্ব রূপে আবির্ভুত হব।
এবং আমি দেখাব-
নারী-পুরুষ সমান ছাড়া অন্য কিছু নয় সম্পদে আর যৌনতায়।
এবং হে আমার মত-বিরোধকারী! আমার ভিতর জাগরিত হও
আমি তোমার মাহত্ম প্রতিষ্ঠা করতে উচ্ছ্বসিত গান গাই।
আমি দেখাব, যা কিছু প্রকাশিত হয় সকলের ঐক্যমত হতে
অনন্য ফলাফল এনে দেয় সফলতার,
আমি দেখাব, অন্যের মত প্রকাশের জন্য আমি মরে যেতে পারি
এবং আমি দেখাব, মৃত্যুর চেয়ে সুন্দর ঘটনা ঘটে না কিছুই।

এবং আমি আমার কবিতার প্রতি এক সতর্কবাণী পৌছে দিব-
সময় আর জীবন সমার্থবোধক
এবং মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই এক একটি অলৌকিক বিস্ময়।

আমি খন্ডিত উচ্চারণ করব না
আমি আমার কবিতা, গান, চিন্তাকে সামগ্রিক আকার দিব
এবং আমি শুধু আজকের গান গাইব না,
আমি গাইব চিরকালীন সংগীত।
আমি আমার কবিতায় আমার হৃদয়ের নির্দেশ খুজি,
সমগ্র মহাবিশ্বে মেলে দিয়ে আমার প্রখর তীক্ষ্ম দৃষ্টি
আমি দেখি পুরোটাই একটি নির্দেশ মাত্র।

অংশ: ৫৭
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬
জিয়া চৌধুরী

কবিতাটি লিখবো বলে
প্রস্তুতি নিচ্ছি অনেক দিন ধরে
অন্যায় অসত্য শোষনের বিরুদ্ধে লিখব
এবার আর কোন কিছুতেই পিছিয়ে যাবোনা।

কবিতাটি লিখবো বলে
খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে লিখতে বসেছি।
হঠাৎ দেখি খাকি পোশাক দুদ্দাড়
কেড়ে নিল আমার লেখার কলম খাতা
আমি আর কি লিখব।

ওরা কেড়ে নিয়েছে আমার লিখার কলম
ওরা কেড়ে নিয়েছে আমার লিখার কাগজ
ওরা কেড়ে নিয়েছে আমাকেও
আমি এখন কিভাবে লিখব।

অংশ: ৫৮
০২ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫
আজম মাহমুদ

একটা কবিতা কিন্তু শুধুই কবিতা নয়,
কবিতা মানে জীবনেরই কথা কয়।
খন্ড খন্ড কবিতা দিয়ে সাজিয়ে দিবো মন,
আমাদের এই কবিতা লেখা চলবে আমরণ।

অংশ: ৫৯
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৮:০৫
আজাদ আল্-আমীন :

তোমরা কী চাও; অসময়ে আমাকে করছো বিরক্ত
সভ্যতা তোমাদের কিছুই দেয়নি?
নাকি এখনো না খেয়ে আছো সহ্য করতে পারছো
না ক্ষুধার অসহ্য যন্ত্রণাকে।
এই নাও কবিতা দিলাম।
কি বিনিমার্ণ করলে তবে? নষ্ট পৃথিবীর ভূ-পৃষ্টে
কালে কালে দিয়েছো ব্যাথা, কেড়ে নিয়েছো সুখ
দাওনি যন্ত্রণাবিহিন একটি সেকেন্ডও
তারচেয়ে আমাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করো
লোনা পানির সাথে মিশে অনেক ভালো থাকবো।


দুঃশাষণের ধুসর আবরণে আমাকে আবদ্ধ করো না
তাহলে আমার চিৎকার সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দেব
তারপর এর আওয়াজ পৌছে দিবো প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্রে
তখন আমাকে কী করে ঠেকাবে?
যখন আপদামস্তক কবিতা হবো?

অংশ: ৬০
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১০:২১
মাধব :

আজ কবিতায় ভালবাসার কথা বলব,
ভাই ও বোনেরা আমার, আপনারাও সামিল হোন।
ভালবাসি মা কে, ভালবাসি বাংলা মা কে,
প্রেমিকার জন্য ভালবাসাও থাকবে কবিতার অন্তরালে,
একটি ছোট কিশোরীর কথাও আজ মনে পড়ছে।
মনে পড়ছে মন ভোলানো কণ্ঠস্বর,
সম্পর্ক নিয়ে তাড়নাবোধ কাজ করে সময়ে অসময়ে।
এইতো বেশ আছি, ভাল আছি
ভালবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা দায়
চলে যেতে হবে আর সবার মত ঐ ওপারে।
শুধু রেখে যাব ভালবাসা তোমাদের জন্যে
আমার ভাল লাগা কবিতার মাঝে।

অংশ:৬১
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১০:৩৪
জাভেদ জামাল :

আসুন
একটা কবিতায় লিখি
"আমি যে দেশে জন্মেছি,
সেই দেশ কোন পাপের ফল নয়;
আমি জন্মেছি যে মা’র গর্ভে,
তাঁর আঁচল ছায়ায় এই সবুজ শ্যামল।
তোমরা কি হায়েনা নাকি হানাদারের ফসল ?
তোমার রক্ত চক্ষু অকার্যকর,
মরে যাওয়া এই পুণ্যভূমির ভেতর
মুখ ফস্কে গালি আসে,
গলা টিপে,চেপেও লাভ নেই।

আমি আজ বেপরোয়া,
ধরন পালটে গেছে প্রতিবাদের,
ভয় পেলে ?"

অংশ: ৬২
০৩ রা জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৫
প্লেটো :

কবিতা লিখতে এসেছি, ঝিনুক দিয়ে
কবিতা লিখব আজ, সোনা মাখা রোদ দিয়ে
কবিতা লিখতে এসেছি, পেয়ারা কদবেল নিয়ে
কবিতা লিখব আজ, সোনার বাংলা নিয়ে।

অংশ: ৬৩
০৪ ঠা জুন, ২০১০ রাত ১২:২৮
সাদাকালামন:

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা হবে একাত্তরের সাহসী বুলেট
রক্তের অক্ষরে লেখা আমাদের বীর শহীদদের নাম
অপেক্ষায় ক্লান্ত আমাদের মায়েদের মুখচ্ছবি
প্রিয়তমার হাতে লাল গোলাপের বদলে রক্তমাখা শার্ট
আসমান ভারী করা ক্রন্দনের আহাজারি।...

আসুন একটা কবিতা লিখি
যে কবিতা আগামী প্রজন্মকে শিখাবে
বীরের দেশে কিভাবে অশুভকে প্রতিহত করতে হয়
কিভাবে মাথা উঁচু করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়
সাহসী যোদ্ধাদের সম্মান করতে হয়
দেশের দুর্দিনে সামনে এসে হাল ধরতে হয়।

ক্লান্ত পথিকের পদভারে মুখরিত আমার স্বদেশ
আসুন আমরা একবার তার কাঁধে রাখি স্পর্শের হাত
সকল মৌনতা ডিঙ্গিয়ে আমরাও হয়ে যাই
বুকের উষ্ণ জমিনে এক একটা বাংলাদেশ।

অংশ: ৬৪
০৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১১
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন :

কবিতা লিখতে হবে,
সময়ের গায়ে আঁচড় কাটবার প্রতিজ্ঞায়,
আত্মঘাতী বয়ানের শোকে,
প্রয়াত অতীতের ক্রোধে,
মরচে' পড়া কাগজ কলমে
ভারী শ্বাসে আগুন জ্বেলে,
শব্দগুলো লিখতে হবে।

চেতনার প্রতিটি ফাটলে
গজিয়ে ওঠা বিষবৃক্ষের মূল
স্নায়ুর মোচড়ে উপড়ে ফেলে,
লিখতে হবে
কবিতা লিখতে হবে......

অংশ:৬৫
০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৫
হোদল রাজা :

হটাৎ করে, একদম হটাৎ করেই যেন লিখার সামর্থ্যটা হারায়ে ফেললাম!
অনন্ত সময় বসে থেকে, দেয়ালে মাথা ঠুকি
মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের ব্যর্থতাটা চিৎকারের পিছনে আড়াল করি!
আমি লিখতে চাই, আমি অনেক ভালো লিখতে চাই! পারি না।

অথচ এই আমাকেই লিখতে হতো অনেক চিঠি, কার্ড ইভেন কবিতা
ছয় বছরের প্রেম টিকাতে বা সেলিব্রেটের উছিলায় বা হয়তো অনেক ভালোবাসায়!
লেখায়, পাতার পর পাতায় বা হয়তো ফোনে কথায়!
সেই আমি কত কি বলে যেতাম আবোল-তাবোল বা গোছানো স্বপ্ন!

তারপর একদিন সব হারালাম যে দিন আমাদের মধ্যে চলে আসলো আরেকজন
আরো একজন তৃতীয় পক্ষ!
আর হয়তো তার পর তাই ভালোবাসা শুকায়ে গেলো আমাদের?
না কি কিছু ভালোবাসা চুরি করে নিয়ে গেলো থার্ড পারসন? জানি না।
শুধু জানি আমি লিখতে পারি না আর!
তবুও আহবান আসুন বন্ধু একটা কবিতা লিখি....

অংশ: ৬৬
. ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১:৫৫
১৯৭১স্বাধীনতা:

কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং করে যে শিশু
বাংলায় লিখতে শিখেছে -মা
তার জন্যে একটা কবিতা,যে জেলেনী
শাড়ির বদলে গায়ে জড়িয়েছে জাল-সেজেছে
ডাঙ্গায় তুলে আনা ছটফটে মাছ-
তার জন্যে একটা কবিতা-

একটি কবিতায় উচ্চারিত হবে
সাহসের বীজমন্ত্র,বিরানে ফোটাবে ফুল
যে কবিতা-তার ডাকে জাগতিক বিষাদ হোক ম্লান।
ডুরে শাড়ি গাছকোমরে বাঁধা কিশোরীর প্রাণ
যে কবিতার সাথে গাঁটছড়া বাঁধে,
অযান্ত্রিক জন্ম আজ হোক তার।

অবলীলায় যে কবিতা শোনাবে সত্যের সাতকাহন,
শোষণের বিলাসিতাকে করবে শাসন-
তেমন কবিতা হোক,

যেমন হয় নববধূর নাকছাবিতে পবন-কাঁপন
যেমন ঋষিত্ত্ব হয় সাধন-মগন-
তেমনই কবিতা হোক।

একটা কবিতা যদি ষোল কোটি আওয়াজের
ঝঙ্কার তোলে,ক্রুদ্ধ স্বভাব যদি পার্থিব ভোলে-
তেমনই জ্বলুক এক কাব্য-মশাল।
ঘোড়াশালে ঘোড়া আর হাতিশালে হাতি যদি নাহয়
না হোক,একটি কবিতা যেন খুলে দেয়
ষোল কোটি বিষণ্ণ ঘুমঘুম চোখ।

অংশ: ৬৭
১২ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৭
অগ্নিলা :

কাব্যের বাগানে..
আমি চোখ বুজি,
কত পাপ বুনেছি রক্তে?
যে আমি কবিতা লিখি?
আমি চোখ বুজি,
সনির রক্তের স্রোত
অথবা বকরের মিষ্টি হাসি?
আমি চোখ বুজি
শোনিত হৃদয় আমার
অভিমানী, অভিযোগী
আমি তাকাতে চাই,
তবু তীব্র ঘৃণা অপমানে
আমি চোখ বুজি।

কথাগুলো পংতি মালায় সাজাই
আমি কবি
শত বর্ষের না বলা কথার ডালি,
পরতে পরতে জমে থাকা ধুলা, ব্রীড়া মুছি
আমি আঁকি ছবি।

আমি চোখ বুজি
আমি স্বপ্ন দেখি
যে স্বপ্নে সিগ্ধ বাতাস, ফুলে বসে
(শুধু) প্রজাপতি
নীল আকাশ, হাজার পাখি
আর নদী নিরবধি.......
রিক্ত বুকে আশা, স্বপ্ন দেখব, হ্যাঁ স্বপ্ন
তাই চোখ বুজি।
সেই স্বপ্নকে বাঁচাতে, আজ আমি কবি
আসুন কবিতায় আঁকি শুভ্র স্বপ্নের ছবি।

অংশ: ৬৮
১২ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
মিয়াজী :

রক্তের আখরে লেখা যে কবিতা
হৃদয়ের ঘাম দিয়ে লেখা যে কবিতা
শত কবির চিন্তায় লেখা যে কবিতা
বাংলার প্রতিটি হৃদয়ে দোলা দিক সে কবিতা
প্রতি হদয়কে জাগিয়ে তুলুক সে কবিতা
সমৃদ্ধির শেষ প্রান্তে পৌছে দিক সে কবিতা।
কবিরাও চিৎকার করে ঊঠুক সমস্বরে
দিকে দিকে বাংলার প্রান্তরে.......

অংশ: ৬৯
১৪ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৫০
আবদুর রহমান (রোমাস):

কতগুলো অক্ষর দিয়ে শব্দের জট পাকিয়ে
রং-তুলির আঁকা-আঁকিতে ক্যাম্পাস সাজিয়ে
কিছু কথা অথবা না বলা কথা,
সেগুলো মিলিয়েই হয়তো হবে একটি কবিতা।

হয়তো বাঙলা-মা তোকে অনেক ভালবাসি
অথবা এও হতে পারে নিজেকেই অনেক বেশি ভালবাসি
দিনে দিনে আরো অনেক বেশি স্বার্থপর হয়ে উঠেছি
না হয় তোকে ছেড়ে কেন আজ হাজারো মাইল দুরে?

মা বিশ্বাস কর আমি স্বার্থপর ঠিকই কিন্তু তোকে সত্যিই ভালবাসি
আজো এই মুল্লুকে কোথাও তোর পতাকা দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়
এই মুল্লুকে বিনদেশীদের কাছে নিজেকে বাঙালী বলতে পেরে আমি গর্বিত
আমি যখন ওদের কে ভাষার জন্য তোর ছেলেদের বীরত্বের গল্প বলি
জানিস মা আমি যখন গর্বের সাথে তোর স্বাধীনতার গল্প বলি
এখানের কালো-সাদা বিনদেশীগুলো তোর প্রতি সম্মানে ভালোবাসায় আকৃষ্ট হয়

মা তোকে অনেক ভালবাসি এই জন্যে তোর একটু দুরাবস্থায় অনেক বেশি কষ্ট পাই
মা তোর বুকে যখন তোর নিস্পাপ সন্তান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তখন খুব দুখ: হয়
তোর কোন ছেলে যখন অবিচারে, অত্যাচারে জর্জরিত হয় তখন বড়ই কষ্ট পাই।
মা এমন কি হতে পারে না? তোর একটি বানী, একটি শপথ না হয় একটি কবিতা
শুধুই একটি কবিতা যে কবিতাই হবে একটি বানী, একটি শপথ একটি বাস্তব
যেখানে থাকবে তোর প্রতিটি বর্গমাইলের ন্যায় আর সাম্যের কথন যাকে ধারন করবে তোর সকল সন্তান
যে কবিতায় তোর অনাগত সন্তান খুজে পাবে তোর বীরত্ব গাঁথা কথন
যে কবিতায় গড়বে সে তার আদর্শ খুজবে তার ভবিষ্যত সম্ভাবনা
তুই মা হয়ে দেখবি তোর সন্তানের উজ্জল, আনন্দময় জীবন
যা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে তোর সন্তানের পাপ্য
মা তুই দে, একটি বার দে এমন একটি কবিতা……….

অংশ: ৭০
২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০৯
আবদুল্লাহ তানভীর :

কবিতা
আমাদের ভালবাসা, আমাদের প্রণয়
আমাদের স্বেদ মিশ্রিত কাম
আমাদের পবিত্রতা অপার;
মিশে থাকা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রীতে
বিলীন আমাদের বোধ ও বোধহীনতায়-
কবিতা।

আমাদের প্রশ্ন কবিতা
উত্তর আমাদের কবিতা
আমাদের সংগ্রাম কবিতা
শান্তি আমাদের কবিতা

আদি ও অন্তে খুঁজে পাওয়া
আমাদের নতুন ঠিকানা-
কবিতা।

অংশ: ৭১
২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৮
সাজেদা সুলতানা :

নিসর্গ আমায় উপহার দেয় কবিতার মমতা
সেই মুগ্ধতায় আমি গড়ে তুলি কবিতা।
নয়ন মেলে শত মমতায় আমি দেখি তারে
যত তারে ভালবাসি আরো যায় বেড়ে।
আমি র চি কবিতা, সে রচে আমায়
আমি তার সে আমার একাকার হয়ে যাই।
সে আমার দুরন্ত অনুভব,
অনুপম আকর্ষণে মানি পরাভব।
নিসর্গ আমার স্বর্গ, সে বুঝবেনা কেউ
হয়ত একটু হেসে বলবে পাগল, কেউ।
সে আমায় দেয় অফুরান ভাবনা
সুখ দেয়, মন কাড়ে, নেই ছলনা।
আমি এক শিক্ষিকা,
কবিতায় নেই কোন ভূমিকা।
শুধুই হৃদয়ে অনুভব খেলা করে
সে কথাই বলি আমি কবিতা করে।
কবিতায় নেই কোন শৃঙ্খলিত শাসন
নেই কোন কাব্যরীতি, মানে না বারণ।
অপক্ক শিল্পীর মত কল্প ছবি এঁকে
হৃদয়ের কাব্য লিখে যাই রেখে।
কখনও বিষন্ন ধরা, কখনও প্রসন্ন
বিস্ময়ে বৈচিত্রে হয়ে উঠি অনন্য!
চোখ ভরে সাতরঙে প্রশ্ন থাকে চুপ,
ভাবতেই থাকি আলো আঁধারের রূপ।
হৃদ্যতা, অভিমান, গান আর সুরে
ধরণীকে ধরে রাখি হৃদয় জুড়ে।

অংশ: ৭২
২১ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৫
হতাশার স্বপ্ন :

একটা কবিতা লিখি , বসন্তের কবিতা
ফুলে ফুলে সুশোভিত সহজ প্রঞ্জল ভাষায়
যে কবিতায় প্রাণ আছে, হৃদয় আছে ,
আছে হৃদয় এর ভালবাসা।
লাজুকতার মত ছুয়ে দিলেই নুয়ে যাবেনা,
থাকবে তার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট। ""

অংশ: ৭৩
২১ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:১৪
রাষ্ট্রপ্রধান :

আমাদের এই কবিতা
হাজার জড়ানো পাতা ।

কত মানুষের ভালবাসা
আর নিয়ে শত আশা ।

লেখা হলো অবশেষে
একসাথে মিলেমিশে ।

তবু রইলো বাকি হাজার কথা
শেষ হইয়াও হইলো না যা।

অংশ: ৭৪
০৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:০৪
মিটন আলম

শাসনতন্ত্র ছুঁড়ে ফেলে দাও আদিগন্ত অন্ধকারে, বিবিধ বিধান
উত্থান প্রণেতার ভুল করেনি কবুল কেউ তবু সিদ্ধান্তে পৌঁছাই,
বাঁধি আট-ঘাট, প্রসঙ্গ ও প্রেক্ষিত ফেলে উঠে চলে যাই
সাংকেতিক লিপি পাঠ শেষে একটি কবিতা লিখব বলে মিলে সকলেই।

অংশ: ৭৫
৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৩
নীল_পরী

একটি কবিতা,
হাজারো রঙের রাংতা সুতোয় বোনা কোন স্বপ্ন
বুকের ওমে তিল তিল করে বেড়ে উঠা কোন আবেগ
মনের নিভৃত কোণে পরম মমতায় আগলে রাখা তোমার স্মৃতি
মান অভিমানে ভরা আমাদের খুনসুটি।
আবার একটি কবিতা, একটি ইতিহাস
নিপীড়নের ঝান্ডাতলে পিষ্ট হওয়া
আমাদের প্রেমের ইতিহাস
শৌর্য ও বীর্যের উন্মত্ত ইতিহাস
অজানার স্রোতে ভেসে চলা কোন তরুনীর-
সম্ভ্রমের ইতিহাস
রক্ত আর হাজারো লাশ,ভয়াবহ ভয়ংকর সেই আর্তনাদ
আমাদেরকে আগলে রাখা মায়ের বুকের ঢিপঢিপ শব্দ
এই কবিতা তারই ইতিহাস,
যৌতুকের যাতাকলে পিষ্ট হয় যে গৃহবধূ
ইভ টিজিং এর ভয়ালথাবায়, অপমানে
আত্মহত্যা করতে হয় যে কিশোরীকে
এ তাদেরই ইতিহাস।
তাই আজ লিখতে এসেছি
আজ কোন মিথ্যা নয়, কোন আবেগ নয়
আজ শুধু সত্য
আজ আমি পিছন থেকে সামনে আসবো
বদলে যাব বৃক্ষের বুকে হেঁটে
শামিল হব শতদের দলে।

অংশ: ৭৬
৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:১৬
মাহবুবুল আজাদ

বসন্তের চোখ জুড়ে বিন্দু বিন্দু অশ্রু,গ্রীষ্ম নিঃস্বাসে কুয়াশার আচল।
এ কোন কালের ভেলা।
আজ জোত্স্নার আলোতে লিখে রাখব কবিতা রুপোলী পালকে,
পূর্ণিমা রাতে পড়ে নিও চাঁদের সাথী হয়ে।
একদিন পেছনে ফেলে আসা বীজে আজ
বিশাল বৃক্ষ আনন্দের ডালপালা নিয়ে।
নিঃসঙ্গতায় জৌলুস হারায় সব,শুকনো পাতা,
তবুও তুমি একফোটা জল দিলেনা।চোখের জলের সাধ্য নেই,বিদায়।
ওগো বর্ষা ভাসিয়ে নিও
ভালবাসা বানের জলে। শুধু একটা কবিতা দিয়ে যেও,ইতিহাস সাজাব বলে।






অংশঃ৯৯
১০ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৩৬
আবদুল্লাহ আল মনসুর

... এবং অবশেষে শিকড়েই ফিরে যাওয়া তবে; ক্রমে ক্রমে হামাগুড়িতে, পিচ্ছিল সুর বাজিয়ে বাজিয়ে


মরে যাওয়া স্বপ্ন ঘোড়া, স্মৃতির পিঠে ঘুরে
বিষাদ কালো ছেঁড়া চাদর, ঝাপসা চোখে উড়ে

দুধ সাদা ঐ শাপলা ফুলে, হলদে শালিক ভাসে
কাব্যে ঘেরা নদীর বুকে, গদ্যেরা আজ হাসে

লাজুক রাঙা প্রিয়ার ঠোঁটে, ভুল ব্যকরণ ফোটে
শুভ্র বরণ বেলীর মালা, অন্য কারও জোটে

পথ হারিয়ে পথের শেষে, আকাশ যখন কাঁদে
মেঘেদের দল ছুটে এসে, বুকটা দিয়ে বাধে

নতুন ভোরের প্রতীক্ষাতে, সময় চলে ছুটে
মিছে আশার মিছে ঘন্টায়, জীবন গেল টুটে

না লেখা সব লেখাগুলো, দুখি কলম খোঁজে
না পাওয়ার বেদনাতে, মৃত্যুতে চোখ বোজে




অংশ: ১০০
২৩ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল

আমি নদু শেখ
লাউতলী গ্রামে বাস করি
বাপ ও দাদার কাছে যে কবিতা
রচনা শিখেছি, মাঠে মাঠে ফুটে থাকে
সবুজ সবুজ ধান, পরে হয় সোনা সোনা রঙ
নানান শাকের সাথে
আলু ও পটল, লাউ, সীম কবিতায় ফোটে !

আমি শিশু মিয়া
মেঘনার চরে বসবাস
বাপের সাথেই শুরু কবিতার পালা
নাওয়ের গলুই জুড়ে কেটে যায়
কতো দিন রাত
ঝিরঝিরে বাতাসের নীরব পরশ
ঝড়ো জলে প্রবল লড়াই
কতো রূপ ধরে কবিতারা !

রমাকান্ত কামারের সৎপুত্র আমি
দীনু শীল আমার প্রপিতা
পালপাড়া হয়ে আমি
জোলাদের তাঁতে ঝুলে থাকি
চণ্ডীদাশ-রজকিনী জুটি
আমাকে বসিয়ে গেছে
ঘাটের কিনারে
একগাদা কাপড়ের
কালিমা ওঠাতে;
কলুর বলদ আমি
সরিষার খোঁজে ফিরি
পথে প্রান্তরে...

খাই বা না খাই আমি
তবু চলে কবিতার খেলা
কতো লোভ খেয়ে চলে
আমার কবিতাগুলো
বসে সেই খাদকের
বেরহম ডাকাতির মেলা !

চলবে...............

Monday 4 October 2010

স্বপ্নচারী- এগেইন

বন্য আদিমতা নিয়ে বসবাস
স্বপ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
দৌড়ে বেড়াই, স্বপ্ন দেখি ও স্বপ্ন দেখাই।
বন্য আমি, দুরন্ত স্বপ্নচারী।


মেঘমালা ঝড় হয়ে অঝোরে ঝড়ে
ঝর বরিষন, হিম হয় আবার রোদ্দুর
উকি দেয়, স্বপ্ন থেকে।


স্বপ্নের কোন আগা আর গোড়া নাই
ক্লাইমেক্স, এন্টিক্লাইমেক্স নেই
ক্ষনিকের দীর্ঘশ্বাসে ভোর হয়ে আসা
নিকষ রাতের শেষে স্বপ্নরা মারা যায়।


ফুটপাতে কান্না হাসিতে বেড়ে উঠা
শ্যামল শিশু - আর বহুতল ভবনে
ইশ্বর সন্তান, কে বেশি অবুঝ?
নাকি আমিই বুঝিনা কিছু।


স্বপ্ন পুরোটাই সাদাকালো টেলিকাষ্ট
রং নেই এতটুকুন, স্বাদ নেই- গন্ধ নেই
স্বপ্নে কোন আইন নেই শাসন নেই
শুধু আছে ভালভাবে বেচে থাকা
অজানা শিহরণ, ছলকে উঠা রক্ত
আর ভীতু হতে থাকা ভয়।


যদি সবকিছুই হতো স্বপ্নের মত
তাহলে বড় বাচা বেচে যেতাম
কারন স্বপ্নে এই রাত এই ভোর
এই হাসি এই কান্না। অনুভুতি হীন
অথচ স্বপ্ন ভেংগে গেলে অনুভুতিটুকু ফিরে আসে।


এভাবেই ভোর হয় কালপ্রকৃতি
আমি স্বপ্ন দেখিয়ে যাব, যাই।


অর্পণ: শ্রদ্ধাবরেষু রহমান হেনরী ভাইকে।

Thursday 2 September 2010

আকুলতা

প্রিয় রাহিন, কিসের মোহে পড়ে প্রবাসী হয়েছি জানিনা। তবে এইটুকু জানি প্রতি মুহূর্তে আমি তোমাকে মিস করছি। জানি তুমিও ঠিক একই ভাবে আমার কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড় এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার আমাকেই ভাব। এভাবেই কেটে যাচ্ছে তোমার সময়গুলো। আমরা দুজনের দুজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যে খুব সুখে নেই তা আমাদের মত করে আর কেউ ভেবে দেখবেনা।

আমরা দুজন দুজনকে ঠিক যেভাবে আগের মতই প্রাণপণে কাছে পেতে চাইব, সেই চাওয়ার কাছে জগতের আর সবকিছুই তুচ্ছ। আমরা দুজন বিগত সময়গুলোতে যে সুখস্মৃতি জমিয়েছি সেটা ছাড়া আমার এ মুর্হূতে অন্য কোন সম্বল নেই। তোমাকে খুব করে কাছে পেতে চাই বলে তোমার মায়াবী কণ্ঠ শুনতে চাই বলে প্রতি ঘন্টায় একবার তোমাকে ফোন করতে চেষ্টা করি।

ভাল থেকো, সুখে থেকো। একান্তই আমার হয়ে থেকো। আমাদের দুজনের জন্য যেটা মঙ্গল ইশ্বর অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য পাঠাবেন। তার আগ পর্যন্ত শুধু অপেক্ষা কর আমি ফিরে আসার। যেদিন সব কাজ শেষ হবে সেদিন প্রথমেই শুধু তোমার জন্যই ফিরে আসব। তার আগ পর্যন্ত একটু ধৈর্য্য ধর। পৃথিবী ধ্বংসের আগেও স্বয়ং ইশ্বর ও আমা হতে তোমাকে বিচিছন্ন করতে পারবেনা এই বিশ্বাস টুকু বুকে ধারন করে রেখো।

Tuesday 31 August 2010

স্বভুমে পরবাসী

বড় হতে চাওয়ার স্বাভাবিক প্রবনতা ভাল লক্ষন। কিন্তু বড় হতে গিয়ে অতি লোভে তাতী নষ্ট। কুয়োর ব্যঙ্গের মত নিজেকেই শুধু বড় মনে করে চলে সমাজের সবার সামনে দম্ভ ভরে হেটে চলা নিজের বিপদ ডেকে আনে। মানুষের স্বভাব এমনই নিজের সামান্য লাভের জন্য আরেকজনের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলে।
বাংগালী হয়ে বাংগালীকে ঠকায়। মাড়োয়ারী সমাজে দেখেছি তারা একে অপরকে বিশ্বাস করে। পরিচয় থাক বা না থাক। কিন্তু আমরা বাংগালী থাকি বাংগালীর ক্ষতি কেমনে করা যায় সে চিন্তায়। আমরা পিছিয়ে পড়ি কারণ আমাদের পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। অন্যরা বলে বাংগালী হারামী। হারামী মানে জারজ। তারা বাংগালীকে জারজ বলে গালি দেয়। কারন যত নিষিদ্ধ কাজ তাতে আমাদের আগ্রহ বেশী। চুরি করতে দ্বিধা করিনা। এক বাংগালীর জন্য হাজার বাংগালীর কষ্ট। কুয়েত সৌদি আরবে বাংগালীরা অষ্পৃষ্য। যেতে চাইলেও যেতে পারেনা। কারন বাংগালী হারামী। সব জায়গায় বাংগালীর উপর নিষেধাজ্ঞা। বাংগালী হওয়া যেন আজন্ম পাপ। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পরও নিজ দেশে আমরা পরাধীন। আর প্রবাসে কিভাবে আমাদের স্বাধীনতা দিবে।
নিজ দেশে সরকার অত্যাচার করতে দ্বিধা করেনা বিরোধী দলকে। আর তা দেখে বিদেশীরা বাহ্বা দেয়। নীল কুঠি থেকেও আমরা শিক্ষা নেইনি। স্বদেশীদের অত্যাচার করি বিদেশীদের উৎসাহে।
প্রবাসে ও এর ভিন্নরুপ চোখে পড়েনা। মাসের পর মাস কাজ শেষে বেতনের জন্য গেলে দুর দুর করে তাড়িয়ে দেয়। এক মাসের বেতন দিয়ে দশ মাসের বেতন বাকি রেখে ভিসা ক্যান্সেল করে দেয়। ভিটা বাড়ি বিক্রি করে আসা অসহায় বাংগালী আরেক বাংগালীর প্রতারণার শিকার হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে। প্রতারণা করে তার কাছ থেকে আগেই নেয়া হয়েছে ভিসার দ্বিগুন অর্থ। আর তাতেই মরণযাত্রা সন্নিকট হয়।
দেশে ও বিদেশে সব জায়গায় হাসফাস অবস্থা। নিরাপত্তা হীনতা এতই প্রকট তা বলার বাইরে। সমাজে যেন কুকুর বেড়ালের মত বেচে থাকতেই জন্ম। জোর যার মুল্লুক তার এই প্রবাদের সত্যতা প্রমাণ করতে গিয়ে গরীবের গলায় ফাসঁ।
এভাবেই বেচে থাকতে গিয়ে ভালভাবে বেচে থাকা ভুলে গেছি।
স্বভুমে প্রবাসী এই কথাটা আজ শতভাগ স্বার্থক।

Thursday 26 August 2010

এখানে মানবতার অস্থিত্ব নেই

এখানে মানবতা নামে কোন কিছুর অস্থিত্ব আছে কিনা
আমার ঘোর সন্দেহ জাগে,
এখানে আইনের কোন শাসন আছে কিনা
তা আমার অন্ধ চোখ দেখতে পায়না।

এখানে মানুষ অসহায় হযে ঘোরে পথে পথে
এখানে মানুষের জন্য কোন মানুষ নেই,
এখানে শাসকের নেই শ্রমিকের জন্য মায়া
এখানে মানুষ যেন মানুষ নয়, পশুর অধম।

অথচ বাড়ি ভিটা বিক্রি করে স্বপ্নের সোনার হরিণের
পিছু পিছু চলে আসা তপ্ত মরুর বুকে
তন্দুরের মত গরমে শ্রম বিনিময় করা সোনার শ্রমিক
অথচ মাসের পর মাস শেষে এরা পায়না শ্রমের মূল্য।

এখানে ক্ষুধিতের দু:খ বোঝার কেউ নেই
স্বদেশে অল্পতেই আমরা গাড়ি ভাংচুর, শ্রমিক ধর্মঘট ডাকি,
এখানে শত নির্যাতন নিষ্পেশনেও আমরা মুখ খুলি না।
যেন ফিরে গেছি সেই কাল দাস প্রথায়।

হাজারে হাজারে শ্রমিক বেকার, নেই কাজ
নেই পকেটে চালের টাকা, বাড়িতে অসুস্থ মা
আর প্রেয়সীর বারবার মুঠোফোনে তাগাদা
 কতদিন হয়ে গেল, এভাবে আর তো চলেনা ।

অথচ সামান্য স্বচ্ছলতার আশায় প্রবাসী হয় স্বদেশী মানুষ
 বছরের পর বছর কেটে গেলেও অভাব কাটেনা তাদের
অভাব তাদের নিত্য সঙ্গী, স্বদেশে ও বিদেশে
শত শত শ্রমিকের অসহায় কান্না এখানে নিরবে গুমরে মরে।

Thursday 29 July 2010

আমি কি নিয়ে লিখব কবিতা

এখানে নেই কবিতার মশলা
ধু ধু বালিচর, সাগরের জল
একটু নোনতা লাগে, কিন্তু তা দিয়ে তো কবিতা হয়না।
কে যেন বলেছিল মরুর জোছনা বড়ই সুন্দর
অথচ এখনও দেখিনি তা।

কবিতা লিখতে তো মাল মশলা প্রয়োজন।
কি নিয়ে লিখবো কবিতা?
ফিলিপাইনি রমনী নিয়ে কি বাংলাদেশী তরুন কবিতা লিখে?
হয়তো লিখে, কিন্তু আমি পারিনা।

সার সার ছুটে চলা দামী দামী গাড়ি
আর উচু উচু সব দালান কোটা।
আর কাজ করেও বেতন না পাওয়া শত শত
মুটে মজুর এর দল-
এদের নিয়ে তো আর কবিতা হয়না।

এখানে তো মিছিল নেই স্লোগান নেই
আমি কি নিয়ে লিখব কবিতা?

Wednesday 21 July 2010

মরুতে বাস (জিয়া চৌধুরীর অনুকাব্য -১)

শুকনো মরুতে বসবাস
জল হীন প্রেম হীন,
শুন্য মরুর বুকে খা খা শূন্য মরুহৃদয়
জলের জন্য অপেক্ষা,
অপেক্ষার জল বড়ই মধুর,
ফয়সল বলে - তুই বালু খাইয়া মর।

Thursday 3 June 2010

বিপ্লব উপাখ্যান-১

সত্যিকারের বিপ্লবীরা জানেনা ভয় কাকে বলে
জানেনা কিভাবে ভয় পেতে হয়।
সত্যিকারের বিপ্লবীরা পিছু হঠতে জানেনা
জানেনা পিছু হঠা কাকে বলে।
সত্যিকারের বিপ্লবীরা মাড়াতে জানে,
তারা ভাঙ্গতে জানে, গড়তে জানে।
আরে মুখোশপরার দল শুধুই ভান করে
যেন তারা কত বড় বিপ্লবী।

Wednesday 2 June 2010

কেড়ে নিল স্বাধীনতা

আমি চাই পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে আমি মানুষ
ওরা বলে তুমি মানুষ নও, জানোয়ার।
আমি চাই পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে আমার আছে
বেচেঁ থাকার অধিকার।
ওরা বলে তুমি বেচে থাকবে অনাহারে ছেড়া কাথায়।
আমি বলি আমি শিখতে চাই জানতে চাই,
ওরা বলে শিখবে ভাল কথা, তবে আমি যা বলি তাই শিখ।
আমি বলি আমি কথা বলব স্বধীনভাবে, আমি স্বাধীন
ওরে বলে চুপ থাক, তুই পরাধীন।
আমি নাকি বেশি কথা বলি
তাই ওরা কেড়ে নিল আমার কথা বলার অধিকার
আর কেড়ে নিল মুক্ত পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতাটুকু
এখন আমি স্বাধীন দেশের এক পরাধীন।

Monday 31 May 2010

কাক চালাকী ও বন্ধ ফেসবুক

এভাবে সত্যকে রুদ্ধ করা যায়না
এভাবে পাপকে ঢাকা যায়না।
হাশরের ময়দানে বন্ধ থাকবে মুখ
আপন অংগ-প্রত্যঙ্গ দেবে সাক্ষ্য।

আর আমরা হলাম কাকের মত চালাক
পরনের কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বলি
কই আমাদের ফেস তো কেউ দেখছেনা
অথচ পচ্ছাতদেশ পুরো উম্মুক্ত এ খবর টুকুও নেই।

নিজের কুকর্ম কি সহজে ঢাকা যায়
পাকঁ যত ঘোলা হয় ততই দুর্গন্ধ বের হয়,
কাক চালাকী দিয়ে পাপ ঢাকা যায়না
আগে নিজের কুকর্ম বন্ধ করা দরকার।

Thursday 27 May 2010

আমি এখন অবাক হইনা

আমি এখন খুব সহজে অবাক হইনা
যখন তখন যা তা দেখে চমকে উঠিনা
আমি এখন সবাক হয়েছি
সবকিছু অতিসহজে মানতে শিখেছি।
আমি এখন রাষ্ট্রযন্ত্র, তন্ত্রমন্ত্র গড়তে শিখেছি
আমি এখন সত্য মিথ্যা মিশিয়ে দেয়ার সিষ্টেম বুঝেছি।

আমি এখন খুব সহজে অবাক হইনা
ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়া শত মেয়ের আত্মহত্যায় অবাক হইনা
রাস্তার ধারে অজ্ঞাতনামা লাশ দেখেও অবাক হইনা
গৃহবধুর ধর্ষনেও অবাক হইনা
ভার্সিটিতে যুদ্ধের ডামাডোলেও অবাক হইনা।
আমি এখন সত্যি সত্যি সবাক হয়েছি।

আমি এখন আমলাদের লাল ফাইল চাপাচাপিতে অবাক হইনা
RAB এর ক্রসফায়ারে মৃত্যুতেও অবাক হইনা
মন্ত্রী এমপির দুর্নীতিতে অবাক হইনা
সরকারদলীয় ক্যাডারের তান্ডবেও অবাক হইনা।
আমি এখন সবাক হয়ে চেয়ে থাকি।
আর বদলে দেওয়ার মিথ্যা বুলি আকড়ে ধরেছি।

Wednesday 17 March 2010

যে কথা হয়নি বলা (জিয়া চৌধুরী)



কতবার তোমাকে বলতে চেয়েছি,
বলবো বলবো করে যেকথা
কখনো তোমাকে বলা হয়নি।

পার্কের বেঞ্চিতে অলস দুপুরে বাদাম খাওয়ার সময়
অন্যদিকে তাকিয়ে এক নি:শ্বাসে
বলতে চেয়েও পারিনি।

ক্লাসের ফাকেঁ সময়ের ব্যবচ্ছেদে
বলতে চেয়েছিলাম, সে-
না বলা কথাটুকু, পারিনি।

অলস সন্ধ্যায় ক্লান্ত চরণে দুজনে
একসাথে বাড়ি ফিরে আসার সময়েও
চোখ বুজে বলেছিলাম, একটা কথা শুনবে, তাও পারিনি।

আজ আমি তা বলবো
বলবো বলবো করে যে কথাটা
কখনো তোমাকে বলা হয়নি।

আমি তোমাকে ভালবাসি
শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
আমার প্রাণের চাইতেও বেশি, অনেকখানি।

Sunday 14 March 2010

নারী ও পুরুষ

নারী ও পুরুষ
জিয়া চৌধুরী

এবার তবে শোনো----------
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয় জেনো।
নারী অধিকারের নামে যদি যা খুশি তাই করে
অশান্তির আগুন তবে জ্বলবে ঘরে ঘরে।

নারী হল ঘরের লক্ষী মনের অলংকার
পুরুষ হল সতী নারীর দারুন গলার হার।
নারী পুরুষ যদি চায় সমান পাল্লা দিতে
শান্তি কভু মিলবে না ভাই আগুন পড়বে ঘি'তে।

বলি সবাই শোনো
যার কাজ তাকেই মানায় এ সত্যিটা জেনো।
ঘরের যত কাজ-কর্ম গুছিয়ে করবে নারী
পুরুষের কাজ করতে গেলে হবে বাড়াবাড়ি।

বাইরের যত হাঙ্গামা আর কঠিন কর্মকাজ
পুরুষ মিলে করবে তার সঠিক সজ্জা সাজ।
পুরুষের কাজ কভু জেনো নারীর সাজেনা
নারীর কাজে তাই কখনো পুরুষ এগোয়না।

তবে--------
কঠিন এই ভবে
পুরুষশূন্য সংসারের হাল
নারীকেই ধরতে হবে।